কার কত অস্ত্র
মুখে ন্যায়নীতি আর সাম্যের কথা বিশ্বনেতারা যতই বলুন না কেন, বাস্তবে
কিন্তু জোর যার মুলুক তার। যার কবজি যত সবল, আধিপত্য বিস্তারেও তাঁর সুবিধা
তত। এক্ষেত্রে আসল খুঁটি হচ্ছে সমরাস্ত্র। এই সামরিক ক্ষমতা দিয়েই বিচার
করা হয়-কার খুঁটিতে কত জোর। সামরিক ক্ষমতায় বলীয়ান হতে বিত্তবান
দেশগুলোর চেষ্টার বিরাম নেই। ধনী দেশগুলো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢেলে
সর্বাধুনিক অস্ত্র বাগাতে তৎপর। এই সুযোগে পরাশক্তির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও
রাশিয়া অস্ত্র বেচে মোটা অঙ্কের দাঁ মারছে। এভাবে বিশ্বের কোনো দেশ
অস্ত্র তৈরি করে, কোনোটি বা অস্ত্র বাগিয়ে ক্ষমতাবান হচ্ছে। সম্প্রতি
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার (জিএফপি) বৈশ্বিক সামরিক সক্ষমতার একটি সূচক প্রকাশ
করেছে। এই সুচকে বিশ্বের ১২৬টি দেশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পারমাণবিক
অস্ত্র বাদ দিয়ে প্রচলিত যুদ্ধের সক্ষমতা নিয়ে করা এই সুচকে
শীর্ষস্থানীয় পাঁচ দেশ হলো-যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত ও
যুক্তরাজ্য। দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতা বিশ্লেষণে স্থল, নৌ ও বিমান
শক্তির পাশাপাশি সম্পদ, অর্থ, ভৌগোলিক বিষয়াবলি প্রভৃতি বিবেচনায় নেওয়া
হয়েছে। জিএফপির সূচক অনুযায়ী প্রথম পাঁচটি দেশের সামরিক সক্ষমতার একটা
সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরা হলো:
যুক্তরাষ্ট্র:
সামরিক সক্ষমতায় সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সামরিক বাহিনীতে যুদ্ধের
জন্য সক্রিয় সদস্য ১৪ লাখ। সংরক্ষিত সক্রিয় সদস্য ১১ লাখ।
স্থলযুদ্ধের জন্য ট্যাংক আছে আট হাজার ৮৪৮টি। সমরাসে৶র সাঁজোয়া যান (এএফভি) ৪১ হাজার ৬২টি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু আগ্নেয়াস্ত্র (এসপিজি) এক হাজার ৯৩৪টি। টাওয়েড-আর্টিলারি (এক হাজার ২৯৯ টি। মাল্টিপল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) এক হাজার ৩৩১ টি।
দেশটির সামরিক বাহিনীর মোট বিমান ১৩ হাজার ৮৯২টি। যুদ্ধবিমান দুই হাজার ২০৭টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্রাফট দুই হাজার ৭৯৭ টি। পরিবহন বিমান পাঁচ হাজার ৩৬৬ টি। প্রশিক্ষণ বিমান দুই হাজার ৮০৯ টি। হেলিকপ্টার ছয় হাজার ১৯৬ টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৯২০টি।
মোট নৌপথে সক্ষমতা বাড়ানোর মতো নৌযান ৪৭৩টি। বিমান বহনে সক্ষম রণতরী ২০ টি। ফ্রিগেট ১০ টি। ডেস্ট্রয়ার ৬২ টি, সাবমেরিন ৭২ টি। কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ১৩ টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার ১১ টি।
স্থলযুদ্ধের জন্য ট্যাংক আছে আট হাজার ৮৪৮টি। সমরাসে৶র সাঁজোয়া যান (এএফভি) ৪১ হাজার ৬২টি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু আগ্নেয়াস্ত্র (এসপিজি) এক হাজার ৯৩৪টি। টাওয়েড-আর্টিলারি (এক হাজার ২৯৯ টি। মাল্টিপল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) এক হাজার ৩৩১ টি।
দেশটির সামরিক বাহিনীর মোট বিমান ১৩ হাজার ৮৯২টি। যুদ্ধবিমান দুই হাজার ২০৭টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্রাফট দুই হাজার ৭৯৭ টি। পরিবহন বিমান পাঁচ হাজার ৩৬৬ টি। প্রশিক্ষণ বিমান দুই হাজার ৮০৯ টি। হেলিকপ্টার ছয় হাজার ১৯৬ টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৯২০টি।
মোট নৌপথে সক্ষমতা বাড়ানোর মতো নৌযান ৪৭৩টি। বিমান বহনে সক্ষম রণতরী ২০ টি। ফ্রিগেট ১০ টি। ডেস্ট্রয়ার ৬২ টি, সাবমেরিন ৭২ টি। কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ১৩ টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার ১১ টি।
রাশিয়া:
সামরিক সক্ষমতায় বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটির সামরিক
বাহিনীতে যুদ্ধের জন্য সক্রিয় সদস্য সাত লাখ ৬৬ হাজার ৫৫ জন। সক্রিয়
সংরক্ষিত সদস্য ২৪ লাখ ৮৫ হাজার।
স্থল যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ট্যাংক আছে ১৫ হাজার ৩৯৮ টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে ৩১ হাজার ২৯৮টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) পাঁচ হাজার ৯৭২টি। টাওয়েড-আর্টিলারি চার হাজার ৬২৫টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) তিন হাজার ৭৯৩টি।
দেশটির মোট সামরিক বিমান তিন হাজার ৪২৯টি। যুদ্ধবিমান ৭৬৯টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এক হাজার ৩০৫ টি। পরিবহন বিমান ১ হাজার ৮৩টি। প্রশিক্ষণ বিমান ৩৪৬টি। হেলিকপ্টার এক হাজার ১২০টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১১১টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ৩৫২টি। বিমানবহনে সক্ষম রণতরী একটি। ফ্রিগেট চারটি। ডেস্ট্রয়ার ১২টি, করভেট ৭৪টি, সাবমেরিন ৫৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ৬৫টি এবং মেরিন ওয়ারফেয়ার ৩৪টি।
স্থল যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ট্যাংক আছে ১৫ হাজার ৩৯৮ টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে ৩১ হাজার ২৯৮টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) পাঁচ হাজার ৯৭২টি। টাওয়েড-আর্টিলারি চার হাজার ৬২৫টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) তিন হাজার ৭৯৩টি।
দেশটির মোট সামরিক বিমান তিন হাজার ৪২৯টি। যুদ্ধবিমান ৭৬৯টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এক হাজার ৩০৫ টি। পরিবহন বিমান ১ হাজার ৮৩টি। প্রশিক্ষণ বিমান ৩৪৬টি। হেলিকপ্টার এক হাজার ১২০টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১১১টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ৩৫২টি। বিমানবহনে সক্ষম রণতরী একটি। ফ্রিগেট চারটি। ডেস্ট্রয়ার ১২টি, করভেট ৭৪টি, সাবমেরিন ৫৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ৬৫টি এবং মেরিন ওয়ারফেয়ার ৩৪টি।
চীন: সামরিক সক্ষমতায় তৃতীয় অবস্থানে আছে চীন। যুদ্ধের জন্য দেশটির সক্রিয় সদস্য ২৩ লাখ ৩৩ হাজার। সক্রিয় সংরক্ষিত সদস্য ২৩ লাখ।
স্থল যুদ্ধের জন্য চীনের ট্যাংক আছে নয় হাজার ১৫০টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে ৪ হাজার ৭৮৮টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ১ হাজার ৭১০টি। টাওয়েড-আর্টিলারি ছয় হাজার ২৪৬টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) এক হাজার ৭৭০টি।
দেশটির মোট সামরিক বিমান দুই হাজার ৮৬০টি। যুদ্ধবিমান এক হাজার ৬৬টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট এক হাজার ৩১১টি। পরিবহন বিমান ৮৭৬টি। প্রশিক্ষণ বিমান ৩৫২টি। হেলিকপ্টার ৯০৮টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১৯৬টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ৬৭৩টি। বিমান বহনে সক্ষম রণতরী একটি। ফ্রিগেট ৪৭টি। ডেস্ট্রয়ার ২৫টি, করভেট ২৩টি। সাবমেরিন ৬৭টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ১১টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার ছয়টি।
স্থল যুদ্ধের জন্য চীনের ট্যাংক আছে নয় হাজার ১৫০টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে ৪ হাজার ৭৮৮টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ১ হাজার ৭১০টি। টাওয়েড-আর্টিলারি ছয় হাজার ২৪৬টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) এক হাজার ৭৭০টি।
দেশটির মোট সামরিক বিমান দুই হাজার ৮৬০টি। যুদ্ধবিমান এক হাজার ৬৬টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট এক হাজার ৩১১টি। পরিবহন বিমান ৮৭৬টি। প্রশিক্ষণ বিমান ৩৫২টি। হেলিকপ্টার ৯০৮টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১৯৬টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ৬৭৩টি। বিমান বহনে সক্ষম রণতরী একটি। ফ্রিগেট ৪৭টি। ডেস্ট্রয়ার ২৫টি, করভেট ২৩টি। সাবমেরিন ৬৭টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ১১টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার ছয়টি।
ভারত:
সামরিক সক্ষমতায় ভারতের অবস্থান চতুর্থ। যুদ্ধের জন্য দেশটির সক্রিয়
সদস্য সংখ্যা ১৩ লাখ ২৫ হাজার। সক্রিয় সংরক্ষিত সদস্য ২১ লাখ ৪৩ হাজার।
স্থল যুদ্ধের জন্য ভারতের ট্যাংক আছে ছয় হাজার ৪৬৪টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে ৬ হাজার ৭০৪টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ২৯০টি। টাওয়েড-আর্টিলারি সাত হাজার ৪১৪টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) ২৯২টি।
ভারতের মোট সামরিক বিমান এক হাজার ৯০৫টি। যুদ্ধবিমান ৬২৯টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট ৭৬১টি। পরিবহন বিমান ৬৬৭টি। প্রশিক্ষণ বিমান ২৬৩টি। হেলিকপ্টার ৫৮৪টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২০টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ২০২টি। বিমানবহনে সক্ষম রণতরী দুটি। ফ্রিগেট ১৫টি। ডেস্ট্রয়ার নয়টি, করভেট ২৫টি, সাবমেরিন ১৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ৪৬টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার সাতটি।
স্থল যুদ্ধের জন্য ভারতের ট্যাংক আছে ছয় হাজার ৪৬৪টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে ৬ হাজার ৭০৪টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ২৯০টি। টাওয়েড-আর্টিলারি সাত হাজার ৪১৪টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) ২৯২টি।
ভারতের মোট সামরিক বিমান এক হাজার ৯০৫টি। যুদ্ধবিমান ৬২৯টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট ৭৬১টি। পরিবহন বিমান ৬৬৭টি। প্রশিক্ষণ বিমান ২৬৩টি। হেলিকপ্টার ৫৮৪টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২০টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ২০২টি। বিমানবহনে সক্ষম রণতরী দুটি। ফ্রিগেট ১৫টি। ডেস্ট্রয়ার নয়টি, করভেট ২৫টি, সাবমেরিন ১৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ৪৬টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার সাতটি।
যুক্তরাজ্য:
সামরিক সক্ষমতায় যুক্তরাজ্য আছে পঞ্চম অবস্থানে। যুদ্ধের জন্য দেশটির
সক্রিয় সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজার ৯৮০। সক্রিয় সংরক্ষিত সদস্য এক লাখ
৮২ হাজার।
স্থল যুদ্ধের জন্য যুক্তরাজ্যের ট্যাংক আছে ৪০৭টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে পাঁচ হাজার ৯৪৮ টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ৮৯টি। টাওয়েড-আর্টিলারি ১৩৮টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) ৪২টি।
যুক্তরাজ্যের মোট সামরিক বিমান ৯৩৬টি। যুদ্ধবিমান ৮৯টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট ১৬০টি। পরিবহন বিমান ৩৬৫টি। প্রশিক্ষণ বিমান ৩৪৩টি। হেলিকপ্টার ৪০২টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৬টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ৬৬টি। বিমান বহনে সক্ষম রণতরী একটি। ফ্রিগেট ১৩টি। ডেস্ট্রয়ার ছয় টি। সাবমেরিন ১০টি। কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ২৮টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার ১৫টি।
স্থল যুদ্ধের জন্য যুক্তরাজ্যের ট্যাংক আছে ৪০৭টি। অস্ত্রবাহী যুদ্ধযান (এএফভি) আছে পাঁচ হাজার ৯৪৮ টি। সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ৮৯টি। টাওয়েড-আর্টিলারি ১৩৮টি। মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) ৪২টি।
যুক্তরাজ্যের মোট সামরিক বিমান ৯৩৬টি। যুদ্ধবিমান ৮৯টি। ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট ১৬০টি। পরিবহন বিমান ৩৬৫টি। প্রশিক্ষণ বিমান ৩৪৩টি। হেলিকপ্টার ৪০২টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৬টি।
মোট নৌ-সক্ষমতা ৬৬টি। বিমান বহনে সক্ষম রণতরী একটি। ফ্রিগেট ১৩টি। ডেস্ট্রয়ার ছয় টি। সাবমেরিন ১০টি। কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ২৮টি, মেরিন ওয়ারফেয়ার ১৫টি।
No comments