এডিসি-এসির বিরুদ্ধে ওসি-এসআইর জিডি by বকুল আহমেদ
পুলিশের উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনারের অফিসে নিয়ে রিমান্ডের আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ২৭ ও ২৮ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি, পরিদর্শক ও এক এসআই উত্তরা পশ্চিম থানায় পৃথক এই তিনটি জিডি করেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের পুল ক্লাবের মালিক সোবহান খানকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ৩ মার্চ রাতে গুলি করে। তার পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনায় সোবহান বাদী হয়ে সিফাত আহমেদ রাব্বিকে সন্দেহভাজন আসামি করে ৪ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় ৩২৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ৫ মার্চ সিফাতকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময় তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলে ২৬ মার্চ তাকে কারাগার থেকে উত্তরা পশ্চিম থানায় নেয়া হয়। থানায় নেয়ার সময় সে সুস্থ ছিল। ২৭ মার্চ রাতে উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানা উত্তরা পূর্ব থানার দ্বিতীয় তলায় তার অফিসে সিফাতকে নেন। সেখানে সিফাতকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই রাতেই তাকে অসুস্থ অবস্থায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ফেরত পাঠানো হয়। সুস্থ আসামিকে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ফেরত পাঠানোয় ওই রাতেই থানার পরিদর্শক মঈনুল কবির একটি জিডি করেন। একই সঙ্গে জিডি করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সলেমান। ২৮ মার্চ সকালে ওসি রফিকুল ইসলাম একটি জিডি করেন। সূত্র জানায়, ওসি জিডিতে উল্লেখ করেছেন- ২৭ মার্চ রাতে আমার অনুপস্থিতিতে রিমান্ডে থাকা সুস্থ আসামি সিফাতকে উত্তরা জোনের এসির অফিসে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এসি, এডিসি নির্যাতন করেন। আসামিকে সুস্থভাবে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাঠানো হয়েছে। আসামি নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। এ জিডির পর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি রফিকুল ইসলাম যুগন্তরকে বলেন, এটা বিভাগীয় বিষয়। তথ্য অধিকার আইন মোতাবেক এটি তথ্য প্রকাশের বিষয় নয়। এ ব্যাপারে এ মুহূর্তে আমার কোনো মন্তব্য নেই। পরিদর্শক মঈনুল কবির যুগান্তরকে বলেন- এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। এ ব্যাপারে এসআই সলেমান বলেন, ২৭ মার্চ রাতে থানায় এসে দেখি আমার রিমান্ডের আসামি থানায় নেই। ডিউটি অফিসার আমাকে জানান, উত্তরা জোনের এসি স্যারের নির্দেশে আসামিকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রিমান্ডের আসামি নিতে হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া আমার আসামিকে অসুস্থ অবস্থায় পাই। এ বিষয় উল্লেখ করেই আমি জিডি করেছি।
এদিকে ২৮ মার্চ সিফাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির করার নির্দেশ এলে কারাগার থেকে জানানো হয় সে অসুস্থ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ১ এপ্রিল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক প্রতিবেদনে বলেছেন- হাজতি নং-৭৬৪৯/১৫ নাম সিফাত আহমেদ রাব্বি, বয়স ২৬ বছর। তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানানো যাচ্ছে যে, তার হাত-পা ফোলা, তার পায়ের পাতাসহ শরীরের জখম। সে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সোমবার বিকালে অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানার অফিসে গেলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন- এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত চলছে। যেহেতু তদন্ত চলছে, আমি যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলব। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। একপর্যায়ে এ কর্মকর্তা বলেন- মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশে পশ্চিম থানা থেকে আসামি সিফাত আহমেদ রাব্বিকে ২৭ মার্চ তার অফিসে আনেন। তিনি এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আধা ঘণ্টা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামিকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে সুস্থ আসামি ফেরত পাঠিয়েছি। থানায় গিয়ে কী হয় তা আমি জানি না। শুনেছি সে অসুস্থ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমার এখানে তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিফাতদের বাসা উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডের ৮ নম্বর ভবনে গেলে কেয়ারটেকার জানান, সিফাতের পরিবার ভবনের ৭ম ফ্লোরে ভাড়ায় থাকে। কেয়ারটেকার হাসান জানান, সিফাতের বাবা ফিরোজ আহমেদ বাসায় নেই। মোবাইল ফোনে সিফাতের মা সাবিকুন্নাহার আইরিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-সিফাতের বাবা বাসায় নেই, বাইরে আছেন। এ বিষয়ে সিফাতের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি সিফাতের বাবার মোবাইল নম্বর দেন। বাসার নিচে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে পূর্ব থানায় এসির অফিসে নিয়ে আমার ছেলেকে অতিমাত্রায় নির্যাতন করা হয়েছে। এডিসি, এসি সাহেব নির্যাতন করেন। নির্যাতন করার পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাও দেয়া হয়। তার বাম পা ফ্রাকচার হয়েছে। রিমান্ড শেষে ২৮ মার্চ তাকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়। আমার ছেলেকে কারগার থেকে সুস্থ এনে অসুস্থ করে পাঠানো হয়েছে। এর ২-৩ দিন পর আমি কারাগারে ছেলেকে দেখতে যাই। সে ভালোভাবে হেঁটে আসতে পারেনি। ক্র্যাচে ভর করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। তার বাম পায়ে ব্যান্ডেজ করা। ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন- রাব্বি আমাকে জানায়, তাকে পূর্ব থানার দোতলায় নিয়ে কয়েকজন মিলে খুব মারধর করেছে।
তিনি জানান, সিফাত ২০১০ সালে স্কলাস্টিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ-লেভেল পরীক্ষা দিয়ে একটি বিষয়ে ফেল করে। এরপর সে আর পড়ালেখা করেনি। বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা চলছিল। ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, পূর্বশত্র“তার জের ধরে তাকে আসামি করা হয়েছে। তার তিন ছেলের মধ্যে সিফাত দ্বিতীয়।
উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, তদন্তাধীন বিষয় আসলে মন্তব্য করা যায় না। যেহেতু তদন্ত হচ্ছে সেহেতু কমিটির সঙ্গে কথা বললে ভালো হবে। যদি নির্যাতনের বিষয় আসে তাহলে তো আমিও অভিযুক্তদের পক্ষে চলে যাই। ফলে আমার এখানে কমেন্ট করার সুযোগ নেই। জিডির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা অ্যাবনরমাল প্র্যাকটিস। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে জিডি করার আগে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি, অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছে কিনা আমার জানা নেই।
জানা যায়, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের পুল ক্লাবের মালিক সোবহান খানকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ৩ মার্চ রাতে গুলি করে। তার পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনায় সোবহান বাদী হয়ে সিফাত আহমেদ রাব্বিকে সন্দেহভাজন আসামি করে ৪ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় ৩২৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ৫ মার্চ সিফাতকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময় তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলে ২৬ মার্চ তাকে কারাগার থেকে উত্তরা পশ্চিম থানায় নেয়া হয়। থানায় নেয়ার সময় সে সুস্থ ছিল। ২৭ মার্চ রাতে উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানা উত্তরা পূর্ব থানার দ্বিতীয় তলায় তার অফিসে সিফাতকে নেন। সেখানে সিফাতকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই রাতেই তাকে অসুস্থ অবস্থায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ফেরত পাঠানো হয়। সুস্থ আসামিকে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ফেরত পাঠানোয় ওই রাতেই থানার পরিদর্শক মঈনুল কবির একটি জিডি করেন। একই সঙ্গে জিডি করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সলেমান। ২৮ মার্চ সকালে ওসি রফিকুল ইসলাম একটি জিডি করেন। সূত্র জানায়, ওসি জিডিতে উল্লেখ করেছেন- ২৭ মার্চ রাতে আমার অনুপস্থিতিতে রিমান্ডে থাকা সুস্থ আসামি সিফাতকে উত্তরা জোনের এসির অফিসে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এসি, এডিসি নির্যাতন করেন। আসামিকে সুস্থভাবে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাঠানো হয়েছে। আসামি নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। এ জিডির পর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি রফিকুল ইসলাম যুগন্তরকে বলেন, এটা বিভাগীয় বিষয়। তথ্য অধিকার আইন মোতাবেক এটি তথ্য প্রকাশের বিষয় নয়। এ ব্যাপারে এ মুহূর্তে আমার কোনো মন্তব্য নেই। পরিদর্শক মঈনুল কবির যুগান্তরকে বলেন- এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। এ ব্যাপারে এসআই সলেমান বলেন, ২৭ মার্চ রাতে থানায় এসে দেখি আমার রিমান্ডের আসামি থানায় নেই। ডিউটি অফিসার আমাকে জানান, উত্তরা জোনের এসি স্যারের নির্দেশে আসামিকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রিমান্ডের আসামি নিতে হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া আমার আসামিকে অসুস্থ অবস্থায় পাই। এ বিষয় উল্লেখ করেই আমি জিডি করেছি।
এদিকে ২৮ মার্চ সিফাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির করার নির্দেশ এলে কারাগার থেকে জানানো হয় সে অসুস্থ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ১ এপ্রিল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক প্রতিবেদনে বলেছেন- হাজতি নং-৭৬৪৯/১৫ নাম সিফাত আহমেদ রাব্বি, বয়স ২৬ বছর। তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানানো যাচ্ছে যে, তার হাত-পা ফোলা, তার পায়ের পাতাসহ শরীরের জখম। সে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সোমবার বিকালে অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানার অফিসে গেলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন- এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত চলছে। যেহেতু তদন্ত চলছে, আমি যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলব। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। একপর্যায়ে এ কর্মকর্তা বলেন- মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশে পশ্চিম থানা থেকে আসামি সিফাত আহমেদ রাব্বিকে ২৭ মার্চ তার অফিসে আনেন। তিনি এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আধা ঘণ্টা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামিকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে সুস্থ আসামি ফেরত পাঠিয়েছি। থানায় গিয়ে কী হয় তা আমি জানি না। শুনেছি সে অসুস্থ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমার এখানে তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিফাতদের বাসা উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডের ৮ নম্বর ভবনে গেলে কেয়ারটেকার জানান, সিফাতের পরিবার ভবনের ৭ম ফ্লোরে ভাড়ায় থাকে। কেয়ারটেকার হাসান জানান, সিফাতের বাবা ফিরোজ আহমেদ বাসায় নেই। মোবাইল ফোনে সিফাতের মা সাবিকুন্নাহার আইরিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-সিফাতের বাবা বাসায় নেই, বাইরে আছেন। এ বিষয়ে সিফাতের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি সিফাতের বাবার মোবাইল নম্বর দেন। বাসার নিচে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে পূর্ব থানায় এসির অফিসে নিয়ে আমার ছেলেকে অতিমাত্রায় নির্যাতন করা হয়েছে। এডিসি, এসি সাহেব নির্যাতন করেন। নির্যাতন করার পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাও দেয়া হয়। তার বাম পা ফ্রাকচার হয়েছে। রিমান্ড শেষে ২৮ মার্চ তাকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়। আমার ছেলেকে কারগার থেকে সুস্থ এনে অসুস্থ করে পাঠানো হয়েছে। এর ২-৩ দিন পর আমি কারাগারে ছেলেকে দেখতে যাই। সে ভালোভাবে হেঁটে আসতে পারেনি। ক্র্যাচে ভর করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। তার বাম পায়ে ব্যান্ডেজ করা। ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন- রাব্বি আমাকে জানায়, তাকে পূর্ব থানার দোতলায় নিয়ে কয়েকজন মিলে খুব মারধর করেছে।
তিনি জানান, সিফাত ২০১০ সালে স্কলাস্টিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ-লেভেল পরীক্ষা দিয়ে একটি বিষয়ে ফেল করে। এরপর সে আর পড়ালেখা করেনি। বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা চলছিল। ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, পূর্বশত্র“তার জের ধরে তাকে আসামি করা হয়েছে। তার তিন ছেলের মধ্যে সিফাত দ্বিতীয়।
উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, তদন্তাধীন বিষয় আসলে মন্তব্য করা যায় না। যেহেতু তদন্ত হচ্ছে সেহেতু কমিটির সঙ্গে কথা বললে ভালো হবে। যদি নির্যাতনের বিষয় আসে তাহলে তো আমিও অভিযুক্তদের পক্ষে চলে যাই। ফলে আমার এখানে কমেন্ট করার সুযোগ নেই। জিডির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা অ্যাবনরমাল প্র্যাকটিস। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে জিডি করার আগে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি, অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছে কিনা আমার জানা নেই।
No comments