মাংসের দাম লাগামহীন by সামছুর রহমান
তিন
মাস আগে বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দফায়
দফায় দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। মাংস ব্যবসায়ীরা
বলছেন, কয়েক দিনের মধ্যে দাম আরও বাড়তে পারে।
খাসির মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। লাগামহীনভাবে এই মূল্য বৃদ্ধি হলেও নজরদারি করার যেন কেউ নেই। রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য দেখভালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। গতকাল রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা জানতেন না।
গত বছর রমজান মাস উপলক্ষে সিটি করপোরেশন প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ২৮০ টাকা ও খাসির মাংসের দাম ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। এরপর আর দাম নির্ধারণ করা হয়নি।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বলছে, বছরের শুরুতে ২০-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ-হরতালের কারণে গরুর সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছিল। বর্তমানে ভারতীয় গরু সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে মাংসের দাম বাড়ছে। সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে ভারত থেকে গরু আমদানি অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে এই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন মাংস ব্যবসায়ীরাও। মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও কমেছে।
গত শনিবার কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, মিরপুর ১ নম্বরের বাজার ও দোলাইরপাড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজারদরের তালিকা অনুয়ায়ী এ বছরের ১ জানুয়ারি প্রতি কেজি গরুর মাংস ছিল ২৮০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান বললেন, ‘মাংসের বাজার এখন আন্তর্জাতিক হয়ে গেছে। ভারত থেকে যদি গরু আসত, তাইলে দাম কমত। এক রেট ৩৫০ টাকা বেইচ্যাও আজকে লোকসান দিছি। আর ১০ দিনের আগেই ৪০০ টাকায় গরুর মাংস খাইতে হইব।’
গরুর মাংসের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মাংসের দামেও। বছরের শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা। তা বেড়ে এখন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। বছরের শুরুতেও খাসির মাংস ছিল ৪৫০ টাকা কেজি।
যেকোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেই বিপাকে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা। মিরপুর ১ নম্বরে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আহসান হাবীব মাংসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ। তিনি বললেন, ‘যে যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে, সবাই তাতেই কিনতে বাধ্য হচ্ছি। বাজারে এলে মনে হয় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই।’
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির হিসাবমতে, রাজধানীতে ছয় শতাধিক মাংসের দোকান আছে। সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম গতকাল দাবি করলেন, পশু সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনেক মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধেও এত প্রভাব পড়ে নাই। ভারত গরু ঢোকা বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে। সামনে রমজান মাস। সরকার দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নিলে মাংস ব্যবসায়ীরা কী করবেন, তা বুঝতে পারছি না।’
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসুদ আহসান বললেন, ‘দাম যেন মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, সে জন্য মূল্যতালিকা করা হয়। নানা কারণে ব্যবসায়ীরা তা মানতে পারছেন না। আগামীকালই (আজ সোমবার) মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। সব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খাসির মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। লাগামহীনভাবে এই মূল্য বৃদ্ধি হলেও নজরদারি করার যেন কেউ নেই। রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য দেখভালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। গতকাল রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা জানতেন না।
গত বছর রমজান মাস উপলক্ষে সিটি করপোরেশন প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ২৮০ টাকা ও খাসির মাংসের দাম ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। এরপর আর দাম নির্ধারণ করা হয়নি।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বলছে, বছরের শুরুতে ২০-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ-হরতালের কারণে গরুর সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছিল। বর্তমানে ভারতীয় গরু সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে মাংসের দাম বাড়ছে। সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে ভারত থেকে গরু আমদানি অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে এই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন মাংস ব্যবসায়ীরাও। মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও কমেছে।
গত শনিবার কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, মিরপুর ১ নম্বরের বাজার ও দোলাইরপাড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজারদরের তালিকা অনুয়ায়ী এ বছরের ১ জানুয়ারি প্রতি কেজি গরুর মাংস ছিল ২৮০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান বললেন, ‘মাংসের বাজার এখন আন্তর্জাতিক হয়ে গেছে। ভারত থেকে যদি গরু আসত, তাইলে দাম কমত। এক রেট ৩৫০ টাকা বেইচ্যাও আজকে লোকসান দিছি। আর ১০ দিনের আগেই ৪০০ টাকায় গরুর মাংস খাইতে হইব।’
গরুর মাংসের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মাংসের দামেও। বছরের শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা। তা বেড়ে এখন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। বছরের শুরুতেও খাসির মাংস ছিল ৪৫০ টাকা কেজি।
যেকোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেই বিপাকে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা। মিরপুর ১ নম্বরে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আহসান হাবীব মাংসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ। তিনি বললেন, ‘যে যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে, সবাই তাতেই কিনতে বাধ্য হচ্ছি। বাজারে এলে মনে হয় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই।’
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির হিসাবমতে, রাজধানীতে ছয় শতাধিক মাংসের দোকান আছে। সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম গতকাল দাবি করলেন, পশু সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনেক মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধেও এত প্রভাব পড়ে নাই। ভারত গরু ঢোকা বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে। সামনে রমজান মাস। সরকার দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নিলে মাংস ব্যবসায়ীরা কী করবেন, তা বুঝতে পারছি না।’
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসুদ আহসান বললেন, ‘দাম যেন মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, সে জন্য মূল্যতালিকা করা হয়। নানা কারণে ব্যবসায়ীরা তা মানতে পারছেন না। আগামীকালই (আজ সোমবার) মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। সব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments