দূষিত খাবারে মরছে ২০ লাখ মানুষ
পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এবারের স্লোগান নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার, সুষ্ঠু জীবনের অঙ্গীকার |
ক্ষুধা
লাগুক আর না লাগুক সব সময়ই এটা-সেটা খাচ্ছি আমরা। তৃষ্ণা মেটাতে পান করছি
পানি, কোমল পানীয় ও চা-কফি। কিন্তু এসব খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর তার খবর
কি আমরা রাখি? খাবারের সঙ্গে মিশে থাকছে বিষ! তা তিলে তিলে আমাদের ঠেলে
দিচ্ছে মরণব্যাধি ক্যানসারসহ নানা রোগের দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
হিসাবে দূষিত খাদ্য খেয়ে ও পানি পান করে প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ২০ লাখ
মানুষ মারা যায়।
আজ ৭ এপ্রিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। বাংলাদেশে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে ‘নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার: সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্য ‘খামার থেকে বাসন পর্যন্ত নিরাপদ রাখুন খাবার’।
খাদ্য ও পানিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস, ভাইরাস ও নানা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দুই শরও বেশি রোগ হতে পারে। লাখ লাখ মানুষ এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে মৃত্যুও ঘটে অনেকের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে বছরে ১৫ লাখ শিশু মারা যায়। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার এসব ঘটনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটে খাবার ও পানীয় থেকে। অথচ সঠিকভাবে খাবার প্রস্তুত করা হলে খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ অনেকটাই সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ বিষয়ে জানিয়েছে।
অনিরাপদ খাবার থেকে স্নায়বিক রোগ এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। খাবারের সমস্যা থেকে সাধারণত যেসব উপসর্গ বেশি দেখা যায় তার মধ্যে আছে পেটে ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া। খাবারের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ধাতব কিংবা প্রাকৃতিকভাবে থাকা টক্সিনের কারণে এমন হতে পারে। অন্যদিকে ভেজাল দুধ হচ্ছে আরেক সমস্যা। দুধ যেন দ্রুত নষ্ট না হয়, সে জন্য সরবরাহকারীরা দুধের মধ্যে অনেক সময় লবণ ও আখের রসের চিনি মেশায়। এ দুধ পানের ফলে একাধিক ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়।
যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময় নানাভাবে খাবারে পচন ধরতে পারে। খাবার ঠিকমতো সংরক্ষণ না করলে, রান্না বা খাবারের আগে তা ভালোভাবে ধোয়া না হলে, অথবা ভালোভাবে রান্না না হলে খাবারে পচন ধরতে পারে। বর্তমানে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত ফসল উৎপাদন, কর্তন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিতরণের মতো নানা ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই খাবার নিরাপদ থাকাটা জরুরি। খাদ্যবাহিত রোগে সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অসুস্থ এবং বয়স্করা। এমন কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আছে যা ওষুধের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা এখন পুরো বিশ্বেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে সরকার, শিল্প কারখানা, উৎপাদক, বিদ্যায়তন ও ভোক্তা পর্যায়ে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
নিরাপদ খাবারের জন্য বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। আপনি নিজে এ বিষয়ে সচেতন হোন, আপনার পরিবারকে সচেতন করুন এবং কাছের মানুষদেরও এ বিষয়ে উৎসাহিত করুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
-খাবার ধরার আগে বা তৈরির আগে হাত ধুয়ে নিন
-শৌচাগার থেকে বের হয়ে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিতে হবে
-রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন। কেননা সেখানেই সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে
-পোকামাকড় ও পোষা প্রাণী থেকে খাবার দূরে রাখুন
খাবার আলাদা রাখুন
-মাংস, পোলট্রি ও সামুদ্রিক খাবার অন্য খাবার থেকে আলাদা রাখুন
-শুধু ঘরেই নয়, কেনাকাটার সময়ও এগুলো খেয়াল রাখতে হবে
-টাটকা খাবার প্রক্রিয়াজাত করার সময় ছুরি ও কাটিং বোর্ড ব্যবহার করতে হবে
-কাঁচা খাবার ও তৈরি খাবার যাতে মিশে না যায় সে জন্য আলাদা পাত্রে রাখুন
রান্না করতে হবে ভালো করে
-বিশেষ করে মাংস, ডিম ও সামুদ্রিক খাবার ভালো করে রান্না করতে হবে। যাতে মাংসের ভেতরকার পানি না থাকে
-স্যুপ জাতীয় খাবার অবশ্যই ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে
-রান্না করা খাবার পরে খেলে খাওয়ার আগে আবার গরম করে নিন
খাবার রাখতে হবে নিরাপদ তাপমাত্রায়
-ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় খাবার দুই ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না
-রান্না করা সব খাবার এবং পচনশীল খাবার ফ্রিজে ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে রাখতে হবে
-ফিজে রাখা খাবার পরিবেশনের আগে ৬০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় গরম করতে হবে
-ফ্রিজেও বেশিদিন খাবার সংরক্ষণ করা উচিত নয়
-ফ্রিজে রাখা খাবার কখনো ঘরের তাপমাত্রায় গলানো উচিত নয়
নিরাপদ পানি ব্যবহার
-নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন অথবা পানিকে আগে নিরাপদ করুন
-তাজা ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করুন
-স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার ব্যবহার করুন। যেমন পাস্তুরিত দুধ
-মেয়াদউত্তীর্ণ খাবার ব্যবহার করবেন না
আজ ৭ এপ্রিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। বাংলাদেশে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে ‘নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার: সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্য ‘খামার থেকে বাসন পর্যন্ত নিরাপদ রাখুন খাবার’।
খাদ্য ও পানিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস, ভাইরাস ও নানা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দুই শরও বেশি রোগ হতে পারে। লাখ লাখ মানুষ এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে মৃত্যুও ঘটে অনেকের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে বছরে ১৫ লাখ শিশু মারা যায়। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার এসব ঘটনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটে খাবার ও পানীয় থেকে। অথচ সঠিকভাবে খাবার প্রস্তুত করা হলে খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ অনেকটাই সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ বিষয়ে জানিয়েছে।
অনিরাপদ খাবার থেকে স্নায়বিক রোগ এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। খাবারের সমস্যা থেকে সাধারণত যেসব উপসর্গ বেশি দেখা যায় তার মধ্যে আছে পেটে ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া। খাবারের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ধাতব কিংবা প্রাকৃতিকভাবে থাকা টক্সিনের কারণে এমন হতে পারে। অন্যদিকে ভেজাল দুধ হচ্ছে আরেক সমস্যা। দুধ যেন দ্রুত নষ্ট না হয়, সে জন্য সরবরাহকারীরা দুধের মধ্যে অনেক সময় লবণ ও আখের রসের চিনি মেশায়। এ দুধ পানের ফলে একাধিক ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়।
যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময় নানাভাবে খাবারে পচন ধরতে পারে। খাবার ঠিকমতো সংরক্ষণ না করলে, রান্না বা খাবারের আগে তা ভালোভাবে ধোয়া না হলে, অথবা ভালোভাবে রান্না না হলে খাবারে পচন ধরতে পারে। বর্তমানে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত ফসল উৎপাদন, কর্তন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিতরণের মতো নানা ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই খাবার নিরাপদ থাকাটা জরুরি। খাদ্যবাহিত রোগে সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অসুস্থ এবং বয়স্করা। এমন কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আছে যা ওষুধের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা এখন পুরো বিশ্বেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে সরকার, শিল্প কারখানা, উৎপাদক, বিদ্যায়তন ও ভোক্তা পর্যায়ে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
নিরাপদ খাবারের জন্য বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। আপনি নিজে এ বিষয়ে সচেতন হোন, আপনার পরিবারকে সচেতন করুন এবং কাছের মানুষদেরও এ বিষয়ে উৎসাহিত করুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
-খাবার ধরার আগে বা তৈরির আগে হাত ধুয়ে নিন
-শৌচাগার থেকে বের হয়ে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিতে হবে
-রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন। কেননা সেখানেই সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে
-পোকামাকড় ও পোষা প্রাণী থেকে খাবার দূরে রাখুন
খাবার আলাদা রাখুন
-মাংস, পোলট্রি ও সামুদ্রিক খাবার অন্য খাবার থেকে আলাদা রাখুন
-শুধু ঘরেই নয়, কেনাকাটার সময়ও এগুলো খেয়াল রাখতে হবে
-টাটকা খাবার প্রক্রিয়াজাত করার সময় ছুরি ও কাটিং বোর্ড ব্যবহার করতে হবে
-কাঁচা খাবার ও তৈরি খাবার যাতে মিশে না যায় সে জন্য আলাদা পাত্রে রাখুন
রান্না করতে হবে ভালো করে
-বিশেষ করে মাংস, ডিম ও সামুদ্রিক খাবার ভালো করে রান্না করতে হবে। যাতে মাংসের ভেতরকার পানি না থাকে
-স্যুপ জাতীয় খাবার অবশ্যই ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে
-রান্না করা খাবার পরে খেলে খাওয়ার আগে আবার গরম করে নিন
খাবার রাখতে হবে নিরাপদ তাপমাত্রায়
-ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় খাবার দুই ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না
-রান্না করা সব খাবার এবং পচনশীল খাবার ফ্রিজে ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে রাখতে হবে
-ফিজে রাখা খাবার পরিবেশনের আগে ৬০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় গরম করতে হবে
-ফ্রিজেও বেশিদিন খাবার সংরক্ষণ করা উচিত নয়
-ফ্রিজে রাখা খাবার কখনো ঘরের তাপমাত্রায় গলানো উচিত নয়
নিরাপদ পানি ব্যবহার
-নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন অথবা পানিকে আগে নিরাপদ করুন
-তাজা ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করুন
-স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার ব্যবহার করুন। যেমন পাস্তুরিত দুধ
-মেয়াদউত্তীর্ণ খাবার ব্যবহার করবেন না
No comments