গাড়ি আমদানি শিল্পে কোটি টাকার ধস by মহিউদ্দীন জুয়েল
কাঁচাবাজার,
ভোগ্যপণ্যের পর এবার হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে দেশের গাড়ি আমদানি
শিল্পে। দেশের চলমান অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে গত ৬ মাসে চাহিদা
অনুযায়ী পর্যাপ্ত গাড়ি সরবরাহ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট
ব্যবসায়ীরা। বর্তমান পরিস্থিতির ভাল কোন সমাধান না হলে আগামীতে গাড়ি
শিল্পে ভয়াবহ ধস নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তাদের অনেকে। বলেছেন, বিএনপি ও
জামায়াতসহ ২০ দলের লাগাতার অবরোধে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কোটি টাকার বেশি
ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকে আগাম টাকা দিয়ে বন্দরে গাড়ি নিয়ে এলেও
পরিস্থিতির কারণে তা খালাস করতে পারেননি। অন্য সময়ে গাড়ি বিক্রিতে ধুম
পড়লেও গত ২০ দিনের চিত্র ছিল তার বিপরীত। গাড়ি আমদানির সঙ্গে যুক্ত একাধিক
ব্যবসায়ী জানান, স্বাভাবিক সময়ে দেশে প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে গাড়ি আমদানি
বৃদ্ধি পায়। গত ১০ বছরের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে গাড়ি শিল্পে
রিকন্ডিশন্ড সার্ভিসের ভাল ব্যবসা হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে
যেসব গাড়ি বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে তার বেশির ভাগই রিকন্ডিশন্ড।
প্রতিমাসে যেখানে একজন ব্যবসায়ী গাড়ি বিক্রি করে ৩০ ইউনিট, সেখানে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তা নেমে ৫ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) নামের একটি সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিমাসে গাড়ি বিক্রি করে একেকজন ব্যবসায়ী কয়েক কোটি টাকা লাভ করেছেন এমন নজিরও রয়েছে তাদের কাছে। সেই সময় প্রতিমাসে ৭০ ইউনিট পর্যন্ত গাড়ি আমদানির পর শোরুমে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে হরতালের অবরোধের সঙ্গে ২০১৪ সালের শেষের দিকে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের খানিক অবমূল্যায়নের কারণে প্রতিমাসে বিভিন্ন গাড়ির দাম কমে আসছে বলে তারা যোগ করেন। তবে সব সমস্যা কাটিয়ে গাড়ি শিল্পকে ফের চাঙ্গা করা যেত যদি দেশের পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের অনুকূলে থাকতো। বর্তমানে ১৫০০ সিসির টয়োটা এক্সিও গাড়ির দাম ২২ লাখ টাকা থেকে কমে ১২ লাখে নেমে এসেছে। এভাবে কমে এসেছে আরও মূল্যবান বেশ কিছু ব্র্যান্ডের গাড়ি।
জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, গাড়ি আমদানি শিল্প দেশের অন্যতম একটি বড় খাত। প্রতি বছর চট্টগ্রামের কয়েকজন শো-রুম ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে হরতাল-অবরোধের কারণে তাদের ব্যবসায় মন্দা চলছে। ২০১৪ সালে সরকারি ছুটি ছাড়াই ৬০ দিন বন্ধ ছিল গাড়ির বেশির ভাগ শো-রুম। নতুন বছরের শুরুতে আবারও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে টানা ১০ দিন ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখনও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে তাদের বিক্রি চালিয়ে যেতে হচ্ছে। মাসুদুর রহমান নামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একজন গাড়ি আমদানিকারক বলেন, দেশের বেশির ভাগ গাড়ি নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর দিয়ে। কিন্তু ২০ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে এখন গাড়ি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কেননা আমরা গাড়ি খালাস করতে পারলেও পরিস্থিতির কারণে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে বন্দরের ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, হরতাল-অবরোধে ব্যবসা বন্ধ থাকায় ব্যাংক থেকে নেয়া চড়া সুদ দিনদিন দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে একজন গাড়ি ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা নিলে তাকে প্রতিদিন ৫০ টাকা সুদ হিসেবে দিতে হয়। একইভাবে এককোটি টাকা ধার নিলে দিন হিসেবে তা ৫০০০-এ গিয়ে দাঁড়ায়। একজন ব্যবসায়ীকে গাড়ি বিক্রি করে সুদসহ ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে হয়। আগ্রাবাদ দেওয়ানহাট মোড়ের ক্রিস্টাল কার নামের একটি গাড়ি শো-রুমের মালিক ও আমদানিকারক শোহেবুল হাসান বলেন, গাড়ি শিল্পে ধস নেমে এসেছে। আমি গত ১৮ বছর ধরে এই ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। কিন্তু কখনোই এমন পরিস্থিতি দেখিনি। গত বছরও আমরা লসের মুখে ছিলাম। এবারও একই পরিস্থিতি। তিনি আরও বলেন, দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল থাকলে যে ব্যবসা হয় এখন তা হচ্ছে না। এতে করে আমাদের ওপর ব্যাংক সুদ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। গাড়ি শিল্পের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির বিকল্প নেই।
প্রতিমাসে যেখানে একজন ব্যবসায়ী গাড়ি বিক্রি করে ৩০ ইউনিট, সেখানে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তা নেমে ৫ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) নামের একটি সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিমাসে গাড়ি বিক্রি করে একেকজন ব্যবসায়ী কয়েক কোটি টাকা লাভ করেছেন এমন নজিরও রয়েছে তাদের কাছে। সেই সময় প্রতিমাসে ৭০ ইউনিট পর্যন্ত গাড়ি আমদানির পর শোরুমে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে হরতালের অবরোধের সঙ্গে ২০১৪ সালের শেষের দিকে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের খানিক অবমূল্যায়নের কারণে প্রতিমাসে বিভিন্ন গাড়ির দাম কমে আসছে বলে তারা যোগ করেন। তবে সব সমস্যা কাটিয়ে গাড়ি শিল্পকে ফের চাঙ্গা করা যেত যদি দেশের পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের অনুকূলে থাকতো। বর্তমানে ১৫০০ সিসির টয়োটা এক্সিও গাড়ির দাম ২২ লাখ টাকা থেকে কমে ১২ লাখে নেমে এসেছে। এভাবে কমে এসেছে আরও মূল্যবান বেশ কিছু ব্র্যান্ডের গাড়ি।
জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, গাড়ি আমদানি শিল্প দেশের অন্যতম একটি বড় খাত। প্রতি বছর চট্টগ্রামের কয়েকজন শো-রুম ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে হরতাল-অবরোধের কারণে তাদের ব্যবসায় মন্দা চলছে। ২০১৪ সালে সরকারি ছুটি ছাড়াই ৬০ দিন বন্ধ ছিল গাড়ির বেশির ভাগ শো-রুম। নতুন বছরের শুরুতে আবারও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে টানা ১০ দিন ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখনও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে তাদের বিক্রি চালিয়ে যেতে হচ্ছে। মাসুদুর রহমান নামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একজন গাড়ি আমদানিকারক বলেন, দেশের বেশির ভাগ গাড়ি নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর দিয়ে। কিন্তু ২০ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে এখন গাড়ি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কেননা আমরা গাড়ি খালাস করতে পারলেও পরিস্থিতির কারণে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে বন্দরের ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, হরতাল-অবরোধে ব্যবসা বন্ধ থাকায় ব্যাংক থেকে নেয়া চড়া সুদ দিনদিন দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে একজন গাড়ি ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা নিলে তাকে প্রতিদিন ৫০ টাকা সুদ হিসেবে দিতে হয়। একইভাবে এককোটি টাকা ধার নিলে দিন হিসেবে তা ৫০০০-এ গিয়ে দাঁড়ায়। একজন ব্যবসায়ীকে গাড়ি বিক্রি করে সুদসহ ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে হয়। আগ্রাবাদ দেওয়ানহাট মোড়ের ক্রিস্টাল কার নামের একটি গাড়ি শো-রুমের মালিক ও আমদানিকারক শোহেবুল হাসান বলেন, গাড়ি শিল্পে ধস নেমে এসেছে। আমি গত ১৮ বছর ধরে এই ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। কিন্তু কখনোই এমন পরিস্থিতি দেখিনি। গত বছরও আমরা লসের মুখে ছিলাম। এবারও একই পরিস্থিতি। তিনি আরও বলেন, দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল থাকলে যে ব্যবসা হয় এখন তা হচ্ছে না। এতে করে আমাদের ওপর ব্যাংক সুদ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। গাড়ি শিল্পের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির বিকল্প নেই।
No comments