রাজনীতিবিদরা অসুস্থ, চিকিৎসা দরকার : এরশাদ
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন,
দেশে এখন অসুস্থ রাজনীতি চলছে। আমরা রাজনীতিবিদরা অসুস্থ। জনগণ অসুস্থ
রাজনীতির শিকার। আমাদের চিকিৎসা প্রয়োজন। একইসঙ্গে তিনি দেশের বর্তমান
সঙ্কটকে মহাদুর্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যা, সাইকোনে নয়, দেশ আজ
ভয়াবহ রাজনৈতিক দুর্যোগে। আওয়ামী লীগ-বিএনপির অপরাজনীতি আমরা চাই না।
এজন্যই দেশের রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলগুলোকে শনিবার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি
দিয়েছি। আসুন আমরা সবাই এক টেবিলে বসি। এই দুই দলের হাত থেকে দেশকে রক্ষা
করতে হবে। শনিবার রাজধানীর ভাটারা থানার পাশে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর
উত্তর আয়োজিত চলমান সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও অরাজকতা বন্ধের দাবিতে এক শান্তি
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির ঢাকা
মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়শল চিশতীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে পার্টির
মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান
এমপি, সুনীল শুভরায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া,
যুগ্ম-মহাসচিব বাহাউদ্দিন বাবুল, নুরুল ইসলাম নুরু, কোষাধ্য মেজর (অব.)
খালেদ আখতার, শ্রমিক পার্টির সভাপতি শাহ আলম তালুকদার, ছাত্র সমাজের সভাপতি
সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা তারেক এ আদেল প্রমুখ
বক্তৃতা করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, আসুন একটেবিলে বসে নির্ধারণ করি কিভাবে আগামীর রাজনীতি নির্ধারিত হবে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কেমন হবে। কিভাবে রাজনীতি পরিচালিত হবে। আমরা শান্তি চাই, সন্ত্রাস চাই না। আমরা বাঁচতে চাই, মরতে চাই না। তিনি বলেন, আসুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলি। মানুষ এগিয়ে এলে পেট্রোল বোমা বন্ধ হবে। এরশাদ যাদের চিঠি দিয়েছেন তাদের নিয়ে শান্তির দাবিতে কনভেনশন করারও তার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সবার মুখে একটাই কথা, সামনের দিনে কী হবে। আমরা এই অবস্থা চাই না। আমরা পরিবর্তন চাই।
এরশাদ বলেন, আমরা মানুষকে ভালোবাসতে ভুলে গেছি। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, সমস্ত ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু আমরা সব ভুলে গেছি। আমরা নিজেকে মনে করি, দেশের মালিক। সব সম্পদ আমাদের। দেশের মানুষ আমাদের প্রজা। অথচ দেশের মালিককে আমরা পুড়িয়ে মারছি। গণতন্ত্র হয় একদিনের জন্য। তা হচ্ছে ভোটের দিন। ভোট শেষ, গণতন্ত্র শেষ। আমরা সব ভুলে যাই। নির্বাচনী ইশতেহারে অনেক ভালো কথা লেখা থাকে। কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।
এরশাদ বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার শপথ নেয়। কিন্তু, কতজন মারা যাচ্ছে! কিন্তু বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছে তারা। তারা লজ্জাবোধ করছে না। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সবার একটাই কথা সামনের দিকে কী হবে? সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি শান্তি চান তাহলে জাতীয় পার্টিকে মতা দিন।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, মানুষ এখন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। প্রতিদিন আগুন দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। আমরা আগুন চাই না। পেট্রোল বোমা চাই না। সরকার এই অরাজকতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে ব্যর্থ সরকার, অন্যদিকে ব্যর্থ ২০ দলীয় জোট। আমরা এই দুই ব্যর্থ থেকে মুক্তি চাই। মানুষ মুক্তি চায় ব্যর্থ সরকারের হাত থেকে। মানুষ মুক্তি চায় ২০ দলের হাত থেকে।
এরশাদ অনশনে বসবেন মঙ্গলবার
রাজনৈতিক সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও, দমন নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে দুই দফা শান্তি সমাবেশ করার পর এবার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাজধানীর কাকরাইলে দলটির দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ৪টা পযর্ন্ত এ প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে ঢাকা মহানগর দণি জাতীয় পার্টি। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে এরশাদ নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দণি জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো ধরনের সহিংস রাজনীতি বিশ্বাস করে না। বর্তমানে দেশে রাজনীতি নামে জ্বালাও-পোড়াও সহিংসতা আর দমন-নিপীড়ন চলছে। এ সহিংস রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান দুই দফা শান্তি সমাবেশ করেছেন। একই সঙ্গে আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদও এ সব বন্ধ করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, আসুন একটেবিলে বসে নির্ধারণ করি কিভাবে আগামীর রাজনীতি নির্ধারিত হবে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কেমন হবে। কিভাবে রাজনীতি পরিচালিত হবে। আমরা শান্তি চাই, সন্ত্রাস চাই না। আমরা বাঁচতে চাই, মরতে চাই না। তিনি বলেন, আসুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলি। মানুষ এগিয়ে এলে পেট্রোল বোমা বন্ধ হবে। এরশাদ যাদের চিঠি দিয়েছেন তাদের নিয়ে শান্তির দাবিতে কনভেনশন করারও তার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সবার মুখে একটাই কথা, সামনের দিনে কী হবে। আমরা এই অবস্থা চাই না। আমরা পরিবর্তন চাই।
এরশাদ বলেন, আমরা মানুষকে ভালোবাসতে ভুলে গেছি। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, সমস্ত ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু আমরা সব ভুলে গেছি। আমরা নিজেকে মনে করি, দেশের মালিক। সব সম্পদ আমাদের। দেশের মানুষ আমাদের প্রজা। অথচ দেশের মালিককে আমরা পুড়িয়ে মারছি। গণতন্ত্র হয় একদিনের জন্য। তা হচ্ছে ভোটের দিন। ভোট শেষ, গণতন্ত্র শেষ। আমরা সব ভুলে যাই। নির্বাচনী ইশতেহারে অনেক ভালো কথা লেখা থাকে। কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।
এরশাদ বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার শপথ নেয়। কিন্তু, কতজন মারা যাচ্ছে! কিন্তু বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছে তারা। তারা লজ্জাবোধ করছে না। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সবার একটাই কথা সামনের দিকে কী হবে? সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি শান্তি চান তাহলে জাতীয় পার্টিকে মতা দিন।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, মানুষ এখন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। প্রতিদিন আগুন দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। আমরা আগুন চাই না। পেট্রোল বোমা চাই না। সরকার এই অরাজকতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে ব্যর্থ সরকার, অন্যদিকে ব্যর্থ ২০ দলীয় জোট। আমরা এই দুই ব্যর্থ থেকে মুক্তি চাই। মানুষ মুক্তি চায় ব্যর্থ সরকারের হাত থেকে। মানুষ মুক্তি চায় ২০ দলের হাত থেকে।
এরশাদ অনশনে বসবেন মঙ্গলবার
রাজনৈতিক সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও, দমন নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে দুই দফা শান্তি সমাবেশ করার পর এবার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাজধানীর কাকরাইলে দলটির দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ৪টা পযর্ন্ত এ প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে ঢাকা মহানগর দণি জাতীয় পার্টি। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে এরশাদ নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দণি জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো ধরনের সহিংস রাজনীতি বিশ্বাস করে না। বর্তমানে দেশে রাজনীতি নামে জ্বালাও-পোড়াও সহিংসতা আর দমন-নিপীড়ন চলছে। এ সহিংস রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান দুই দফা শান্তি সমাবেশ করেছেন। একই সঙ্গে আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদও এ সব বন্ধ করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন।
No comments