লক্ষ্মীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান দাউদকান্দিতে ক্রসফায়ারে নিহত
লক্ষ্মীপুরের
শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যাসহ ৪৪ মামলার পলাতক আসামি সোলাইমান উদ্দিন জিসান
বাহিনীর প্রধান জিসান কুমিল্লার দাউদকান্দিতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে
নিহত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত
ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জিসানের লাশ
আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে কুমিল্লায় দাফন করা হয়েছে। নিহত জিসান
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের মৃত আবু
বক্করের ছেলে। পুলিশ জানায়, জিসান বাহিনীর প্রধান জিসান বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল করে লক্ষ্মীপুর আসার পথে কুমিল্লার
দাউদকান্দি এলাকায় রাতে পৌঁছে। ওই সময় র্যাব তল্লাশি চালিয়ে তার
মোটরসাইকেলটি থামানোর জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু সোলাইমান উদ্দিন জিসান
মোটরসাইকেলটি না থামিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাবের
সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে। এ সময় জিসান র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। শুরু
হয় দু-পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি। একপর্যায়ে বন্দুকযুদ্ধে
সোলাইমান উদ্দিন জিসান ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সূত্রে জানায়, এক সময় সোলাইমান উদ্দিন জিসান বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে ছাত্র থাকাকালীন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রদল নেতা থাকাকালীন জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ফলে সন্ত্রাসী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০০৪ সালের তাৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাইন উদ্দিন হামীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোলাইমান উদ্দিন জিসানকে জেলা ছাত্রদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রদল থেকে বহিষ্কারের পর জিসান ২০০৬ সালের শেষের দিকে চলে যান সৌদি আরবে। চার বছর বিদেশে থেকে ২০১০ সালের শেষের দিকে ফিরেন নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ লতিফপুর গ্রামের বাড়ি। ২০১১ সালে পুনরায় শুরু করেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। দুই বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী জেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চল, চন্দ্রগঞ্জ, দেওপাড়া, লতিফপুর, পাচপাড়া, নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গড়ে তোলেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। বাহিনীর সদস্য ছিল ১৫০ জন। সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তার, ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে জিসান বাহিনী থেকে বের হয়ে আলাদা বাহিনী গড়ে তোলেন ডাকাত নাছির বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অন্তত দেড়শত। এরপর শুরু হয় দুই বাহিনীর মধ্যে হামলা, চাঁদার দাবিতে বাড়ি বাড়ি অগ্নিসংযোগ ও বন্দুকযুদ্ধ।
এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাত নাছির ও জিসান বাহিনীর সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অপহরণ ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিল লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, স্কুল শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ। রেহাই পায়নি পার্শ্ববর্তী জেলার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার সাধারণ মানুষও। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাছির ও জিসান বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই বন্দুকযুদ্ধ হতো। এছাড়া গত এক বছরে দুই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মধ্যে পুলিশের অসংখ্যবার গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নাছির ও জিসানকে ধরতে চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে রাত ব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর পরে নাছির এলাকায় থেকে গা-ঢাকা দেয়। কিন্তু সোলাইমান উদ্দিন জিসান এলাকায় অবস্থান করে। সম্প্রতি দুই বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ, স্কুল ছাত্রসহ অনেকেই। পঙ্গু হয়েছে নিরীহ অনেক মানুষ। জিসান বাহিনীর মৃত্যুর খবর শুনে তার সমর্থকদের মধ্যে যেমন চলছে শোকের মাতম, তেমনি তার হাতে নির্যাতিত মানুষের মধ্যে চলছে আনন্দ উল্লাস। তবে এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কোন নেতাই মুখ খুলতে নারাজ। অপরদিকে নাছির বাহিনীর প্রধান নাছিরকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়া, জিসান বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন, লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহসিন, প্রতাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর স্কুলছাত্র রবিউল ইসলাম, কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মুন্না, চন্দ্রগঞ্জ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নোমান, সর্বশেষ দেওপাড়ায় আব্বাছ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গুলি ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পঙ্গুত্ব বরণ করেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরিদুল ইসলাম দিপুসহ অসংখ্য মানুষ। লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলাইমান উদ্দিন জিসান। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানা, চন্দ্রগঞ্জ, নোয়াখালীর সুধারাম, বেগমগঞ্জ, চাটখিল থানাসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ৪৪টি মামলা রয়েছে। জিসান বাহিনীকে গেপ্তারের জন্য একাধিক বার পুলিশ অভিযান চালালে তাদের সঙ্গে বহুবার গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে পুলিশসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
সূত্রে জানায়, এক সময় সোলাইমান উদ্দিন জিসান বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে ছাত্র থাকাকালীন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রদল নেতা থাকাকালীন জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ফলে সন্ত্রাসী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০০৪ সালের তাৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাইন উদ্দিন হামীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোলাইমান উদ্দিন জিসানকে জেলা ছাত্রদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রদল থেকে বহিষ্কারের পর জিসান ২০০৬ সালের শেষের দিকে চলে যান সৌদি আরবে। চার বছর বিদেশে থেকে ২০১০ সালের শেষের দিকে ফিরেন নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ লতিফপুর গ্রামের বাড়ি। ২০১১ সালে পুনরায় শুরু করেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। দুই বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী জেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চল, চন্দ্রগঞ্জ, দেওপাড়া, লতিফপুর, পাচপাড়া, নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গড়ে তোলেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। বাহিনীর সদস্য ছিল ১৫০ জন। সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তার, ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে জিসান বাহিনী থেকে বের হয়ে আলাদা বাহিনী গড়ে তোলেন ডাকাত নাছির বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অন্তত দেড়শত। এরপর শুরু হয় দুই বাহিনীর মধ্যে হামলা, চাঁদার দাবিতে বাড়ি বাড়ি অগ্নিসংযোগ ও বন্দুকযুদ্ধ।
এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাত নাছির ও জিসান বাহিনীর সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অপহরণ ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিল লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, স্কুল শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ। রেহাই পায়নি পার্শ্ববর্তী জেলার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার সাধারণ মানুষও। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাছির ও জিসান বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই বন্দুকযুদ্ধ হতো। এছাড়া গত এক বছরে দুই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মধ্যে পুলিশের অসংখ্যবার গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নাছির ও জিসানকে ধরতে চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে রাত ব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর পরে নাছির এলাকায় থেকে গা-ঢাকা দেয়। কিন্তু সোলাইমান উদ্দিন জিসান এলাকায় অবস্থান করে। সম্প্রতি দুই বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ, স্কুল ছাত্রসহ অনেকেই। পঙ্গু হয়েছে নিরীহ অনেক মানুষ। জিসান বাহিনীর মৃত্যুর খবর শুনে তার সমর্থকদের মধ্যে যেমন চলছে শোকের মাতম, তেমনি তার হাতে নির্যাতিত মানুষের মধ্যে চলছে আনন্দ উল্লাস। তবে এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কোন নেতাই মুখ খুলতে নারাজ। অপরদিকে নাছির বাহিনীর প্রধান নাছিরকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়া, জিসান বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন, লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহসিন, প্রতাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর স্কুলছাত্র রবিউল ইসলাম, কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মুন্না, চন্দ্রগঞ্জ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নোমান, সর্বশেষ দেওপাড়ায় আব্বাছ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গুলি ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পঙ্গুত্ব বরণ করেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরিদুল ইসলাম দিপুসহ অসংখ্য মানুষ। লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলাইমান উদ্দিন জিসান। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানা, চন্দ্রগঞ্জ, নোয়াখালীর সুধারাম, বেগমগঞ্জ, চাটখিল থানাসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ৪৪টি মামলা রয়েছে। জিসান বাহিনীকে গেপ্তারের জন্য একাধিক বার পুলিশ অভিযান চালালে তাদের সঙ্গে বহুবার গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে পুলিশসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
No comments