আহাজারিতে ভারি বার্ন ইউনিট
‘বাবা
আমি বাঁচবো না। অনেক যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি সহ্য করতে পারছি না’। দগ্ধ
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাজমুলের এ বিলাপ ‘দগ্ধ’ করছে তার স্বজনদের। পরিবারের
একমাত্র উপার্জনকারী হারিছ মিয়া। তার দুই হাত এখন আগুনের দখলে। কাঁদতে
কাঁদতে বলেন, এ দুই হাতে কামাই করে আমি বৌ-বাচ্চারে খাওয়াই। আমার সব শেষ।
আল্লাহ তুমি বিচার কর। কষ্ট শুধু নাজমুল আর হারিছ মিয়ারই না, ঝলসে যাওয়া
মুখ দেখে স্বজনদের অনেকেই মুর্ছা যাচ্ছেন। চারদিকে চিৎকার, আর্তনাদ,
আহাজারি। এ চিত্র এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের। পেট্রলবোমার
আগুনে দগ্ধ বাস যাত্রী এবং তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে
ঢামেকের বার্ন ইউনিট। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর
কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৪৮৮৬) পেট্রল বোমা
নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত ২৯ জন যাত্রী দগ্ধসহ মোট ৪৭ জন আহত হন।
তাদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢামেক
বার্ন ইউনিটের সাবেক পরিচালক ডা. সামন্তলাল সেন ও প্রফেসর সাজ্জাদ খন্দকার
সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তিনজন নারীসহ ২৯ জন দগ্ধ রোগী পেয়েছি। এর মধ্যে
নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তারা আরও বলেন, এ
ঘটনার পরে বার্ন ইউনিটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সেখানে আরও ওয়ার্ড বাড়ানোর
চিন্তা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রোগীদের স্থানন্তর করা হবে সিএমএইচে।
No comments