বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তরুণদের হাত ধরে -চট্টগ্রামে প্রাণের মেলায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
চট্টগ্রামে
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের পুরস্কার
বিতরণ অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ
আবু সায়ীদ তরুণদের বাংলাদেশের হাল ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, তাদের
মাঝেই লুকিয়ে আছে এদেশের স্বপ্ন। ৩৬ বছর আগে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যখন শুরু
করেছিলেন, তখন সভ্য সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ জন। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫
লাখ। বেড়েছে এক লাখ গুণ। গতকাল শুক্রবার সকালে ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে
দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের (বইপড়া) পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব
তথ্য দেন তিনি। চট্টগ্রাম মহানগরের ৭৩ বিদ্যালয়ের ৪৫৯৬ বিজয়ীকে দুই পর্বে
পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এই সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকদের
প্রাণের মেলা বসেছিল শহরের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২৫ বছর আগে আমি একটি লেখায় লিখেছিলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র হবে গোটা বাংলাদেশ। তখন এক বন্ধু হেসেছিলেন। আজ সার দেশে এ কেন্দ্রর কার্যক্রম চলছে। তখন আমি আরেকটি লেখা লিখেছিলাম, বাংলাদেশে জনসংখ্যা আছে কিন্তু মানুষ নাই। আমি বলতে চেয়েছিলাম, ১৮ কোটি মানুষ আছে তাদের জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা কখনো বলবে না খারাপ আছি। বলবে না মন খারাপ। সবসময় বলবে ভাল আছি।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, তোমরা বই পড়বে স্বপ্ন দেখার জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য, মানুষ হওয়ার জন্য। বর্তমানে পৃথিবীতে অদ্ভুত সব ব্যাপার ঘটছে-তা হলো যা কিছু বইতে আছে তা শিশুরা বিশ্বাস করতে চাইছে না। এর জন্য শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের উদাসীনতা দায়ী। বই থেকে অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে কাজে লাগাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তানকে নম্বর বেশি পাওয়ার জন্য পড়াবেন না। তাদের মানুষ হওয়ার, স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিন।
টিভি ব্যক্তিত্ব আবদুন নূর তুষার বলেন, তোমরা মনে রাখবে আজ যা রূপকথা তা আগামী দিনের বাস্তবতা। প্রথমে স্বপ্ন দেখতে হয়। যে মানুষ স্বপ্ন দেখে না সে সৃষ্টিশীল মানুষ হয় না। বড় হতে পারে না। তোমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। আমাদের সম্পদ হচ্ছে মানুষ। সেরা মানুষ তৈরি করতে পারলে আমরা পৃথিবী জয় করতে পারবো।
উৎকর্ষ কার্যক্রমের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের চট্টগ্রামের হেড অব রিজিওনাল শাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আজাদ বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন বই পড়ার এত সুযোগ ছিল না। স্কুলে লাইব্রেরি ছিল না। একজন একটি বই সংগ্রহ করতে পারলে সব বন্ধু পড়তাম। তোমাদের বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বই পড়ার এ অভ্যাস বজায় রাখলে তোমরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি তোমরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেবে, দিতে পারবে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সাবেক ডেপুটি টিম লিডার নজরুল ইসলাম, মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, অধ্যক্ষ এইচএম ফজলুল কাদের, কেন্দ্রের চট্টগ্রাম মহানগর কর্মসূচির সমন্বয়কারী, সাংবাদিক সুমি খান প্রমুখ। কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার মেজবাহ উদ্দিন সুমনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর কর্মসূচির সংগঠক আলেক্স আলীম। অনুষ্ঠানে ২০১৪ জন স্বাগত, ১৫১২ জন শুভেচ্ছা, ৮৯২ জন অভিনন্দন ও ১৭৮ জন শিক্ষার্থীকে সেরা পাঠক পুরস্কার হিসেবে বই তুলে দেন অতিথিরা। ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে পঠিত বইয়ের ওপর মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এছাড়া ৭টি স্কুলের ন্যূনতম ১৫ জন সেরা পাঠক নির্বাচিত হওয়ায় একজন করে, ৭টি বিদ্যালয়ের ১০ জন ও ৪ জন অভিভাবককে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার টাকার করে বই উপহার দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের ম্যাগি নুডলস ও অতিথি-অভিভাবকদের নেসক্যাফে পরিবেশন করে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড। ১০ বছর ধরে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করেছে গ্রামীণফোন। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো। সারা দেশে ৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির সদস্য।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২৫ বছর আগে আমি একটি লেখায় লিখেছিলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র হবে গোটা বাংলাদেশ। তখন এক বন্ধু হেসেছিলেন। আজ সার দেশে এ কেন্দ্রর কার্যক্রম চলছে। তখন আমি আরেকটি লেখা লিখেছিলাম, বাংলাদেশে জনসংখ্যা আছে কিন্তু মানুষ নাই। আমি বলতে চেয়েছিলাম, ১৮ কোটি মানুষ আছে তাদের জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা কখনো বলবে না খারাপ আছি। বলবে না মন খারাপ। সবসময় বলবে ভাল আছি।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, তোমরা বই পড়বে স্বপ্ন দেখার জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য, মানুষ হওয়ার জন্য। বর্তমানে পৃথিবীতে অদ্ভুত সব ব্যাপার ঘটছে-তা হলো যা কিছু বইতে আছে তা শিশুরা বিশ্বাস করতে চাইছে না। এর জন্য শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের উদাসীনতা দায়ী। বই থেকে অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে কাজে লাগাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তানকে নম্বর বেশি পাওয়ার জন্য পড়াবেন না। তাদের মানুষ হওয়ার, স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিন।
টিভি ব্যক্তিত্ব আবদুন নূর তুষার বলেন, তোমরা মনে রাখবে আজ যা রূপকথা তা আগামী দিনের বাস্তবতা। প্রথমে স্বপ্ন দেখতে হয়। যে মানুষ স্বপ্ন দেখে না সে সৃষ্টিশীল মানুষ হয় না। বড় হতে পারে না। তোমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। আমাদের সম্পদ হচ্ছে মানুষ। সেরা মানুষ তৈরি করতে পারলে আমরা পৃথিবী জয় করতে পারবো।
উৎকর্ষ কার্যক্রমের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের চট্টগ্রামের হেড অব রিজিওনাল শাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আজাদ বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন বই পড়ার এত সুযোগ ছিল না। স্কুলে লাইব্রেরি ছিল না। একজন একটি বই সংগ্রহ করতে পারলে সব বন্ধু পড়তাম। তোমাদের বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বই পড়ার এ অভ্যাস বজায় রাখলে তোমরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি তোমরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেবে, দিতে পারবে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সাবেক ডেপুটি টিম লিডার নজরুল ইসলাম, মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, অধ্যক্ষ এইচএম ফজলুল কাদের, কেন্দ্রের চট্টগ্রাম মহানগর কর্মসূচির সমন্বয়কারী, সাংবাদিক সুমি খান প্রমুখ। কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার মেজবাহ উদ্দিন সুমনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর কর্মসূচির সংগঠক আলেক্স আলীম। অনুষ্ঠানে ২০১৪ জন স্বাগত, ১৫১২ জন শুভেচ্ছা, ৮৯২ জন অভিনন্দন ও ১৭৮ জন শিক্ষার্থীকে সেরা পাঠক পুরস্কার হিসেবে বই তুলে দেন অতিথিরা। ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে পঠিত বইয়ের ওপর মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এছাড়া ৭টি স্কুলের ন্যূনতম ১৫ জন সেরা পাঠক নির্বাচিত হওয়ায় একজন করে, ৭টি বিদ্যালয়ের ১০ জন ও ৪ জন অভিভাবককে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার টাকার করে বই উপহার দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের ম্যাগি নুডলস ও অতিথি-অভিভাবকদের নেসক্যাফে পরিবেশন করে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড। ১০ বছর ধরে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করেছে গ্রামীণফোন। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো। সারা দেশে ৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির সদস্য।
No comments