বগুড়ার ৬৫ কিলোমিটারে একের পর এক নাশকতা by আনোয়ার পারভেজ
(সড়কের
গতিরোধকের সামনে যানবাহন ধীরে চলে। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা যানে পেট্রলবোমা
ছুরে মারে বা অগ্নিসংযোগ করে। এ ধরনের নাশকতা এড়াতে বগুড়া-রংপুর সড়কের
মহাস্থান এলাকায় গতিরোধক তুলে দিচ্ছে সড়ক ও জনপথ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে
তোলা ছবি l প্রথম অালো) রংপুর-ঢাকা
মহাসড়কের বগুড়ার ৬৫ কিলোমিটার অংশ এখন পরিবহনচালক-যাত্রীদের কাছে
আতঙ্কের পথে পরিণত হয়েছে। অবরোধ শুরুর পর মহাসড়কের ওই অংশের ১৪টি স্থানে
যানবাহনে পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগে এ পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
দগ্ধ হয়েছেন চারজন। ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন অর্ধশত যাত্রী ও চালক। পুড়ে
গেছে কোটি টাকার সম্পদ। পরিবহনচালক, শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে
জানা গেছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে
রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়া অংশ, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও
রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকা চরম ‘নাশকতাপ্রবণ’ হয়ে উঠেছে। তবে চালক ও
যাত্রীদের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের জায়গা হচ্ছে বগুড়া অংশ। এই অংশে
প্রতিদিনই যানবাহনে হামলার ঘটনা ঘটছে।
যাত্রী ও চালকদের দেওয়া তথ্যমতে, মহাসড়কের বগুড়ার চান্দাইকোনা, মহিপুর, নয়মাইল, ফটকিব্রিজ, বনানী লিচুতলা, শহরতলির মেডিকেল কলেজ-সিলিমপুর এলাকা, চারমাথা-নিশিন্দারা, ঝোপগাড়ি, বারপুর, মাটিডালি, গোকুল, মহাস্থান, চণ্ডীহারা এবং মোকামতলা-ফাঁসিতলা এলাকায় ওত পেতে থাকছে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা নামলেই তারা ইটপাটকেল ও ককটেল ছুড়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। পেট্রলবোমা ছুড়ে ও অগ্নিসংযোগ করে যানবাহন পুড়িয়ে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পেট্রলবোমা, গানপাউডার ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২৮টি ট্রাক-বাস। সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে ঝোপগাড়ি ও বারপুর এলাকায়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ শুরু হওয়ার দুই দিন আগে ৪ জানুয়ারি রাতে যানবাহনে পেট্রলবোমা হামলা শুরু হয়। ওই রাতে বারপুর এলাকায় আলুবোঝাই ট্রাকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে দগ্ধ হন ট্রাকচালক পটল মিয়া। এরপর প্রায় প্রতিদিনই পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী দুটি বাসও। ১০ জানুয়ারি রাতে চণ্ডীহারা এলাকায় একটি ট্রাকে দুর্বৃত্তদের হামলায় হাসপাতালে মারা যান ট্রাকচালক ইমাদুর রহমান। তবে ইমাদুরের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
১৭ জানুয়ারি ঝোপগাড়ি এলাকায় চিনিবোঝাই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন সন্ধ্যায় ঝোপগাড়ি, শাকপালা, গোকুল ও ফটকিব্রিজ এলাকায় আরও চারটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত বুধবার রাতে শহরের স্টেশন সড়কের প্রেসক্লাবের সামনে চালবোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা ছুড়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। প্রায় একই সময়ে মহাস্থান এলাকায় ধানবোঝাই ট্রাকে ও শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের নিশ্চিন্তপুর-সাবগ্রাম এলাকায় মুরগির খাদ্যবাহী দুটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর এক দিন আগে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সাতটি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নুনগোলা এলাকায় আসবাববাহী একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলায় চালকসহ তিনজন দগ্ধ হন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার মারা যান চালকের সহকারী আবদুর রহিম (৩০)।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, অবরোধের নামে ১০ থেকে ১২টি স্থানে যানবাহনে পেট্রলবোমা হামলা ও নাশকতা চালানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
যাত্রী ও চালকদের দেওয়া তথ্যমতে, মহাসড়কের বগুড়ার চান্দাইকোনা, মহিপুর, নয়মাইল, ফটকিব্রিজ, বনানী লিচুতলা, শহরতলির মেডিকেল কলেজ-সিলিমপুর এলাকা, চারমাথা-নিশিন্দারা, ঝোপগাড়ি, বারপুর, মাটিডালি, গোকুল, মহাস্থান, চণ্ডীহারা এবং মোকামতলা-ফাঁসিতলা এলাকায় ওত পেতে থাকছে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা নামলেই তারা ইটপাটকেল ও ককটেল ছুড়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। পেট্রলবোমা ছুড়ে ও অগ্নিসংযোগ করে যানবাহন পুড়িয়ে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পেট্রলবোমা, গানপাউডার ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২৮টি ট্রাক-বাস। সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে ঝোপগাড়ি ও বারপুর এলাকায়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ শুরু হওয়ার দুই দিন আগে ৪ জানুয়ারি রাতে যানবাহনে পেট্রলবোমা হামলা শুরু হয়। ওই রাতে বারপুর এলাকায় আলুবোঝাই ট্রাকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে দগ্ধ হন ট্রাকচালক পটল মিয়া। এরপর প্রায় প্রতিদিনই পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী দুটি বাসও। ১০ জানুয়ারি রাতে চণ্ডীহারা এলাকায় একটি ট্রাকে দুর্বৃত্তদের হামলায় হাসপাতালে মারা যান ট্রাকচালক ইমাদুর রহমান। তবে ইমাদুরের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
১৭ জানুয়ারি ঝোপগাড়ি এলাকায় চিনিবোঝাই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন সন্ধ্যায় ঝোপগাড়ি, শাকপালা, গোকুল ও ফটকিব্রিজ এলাকায় আরও চারটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত বুধবার রাতে শহরের স্টেশন সড়কের প্রেসক্লাবের সামনে চালবোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা ছুড়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। প্রায় একই সময়ে মহাস্থান এলাকায় ধানবোঝাই ট্রাকে ও শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের নিশ্চিন্তপুর-সাবগ্রাম এলাকায় মুরগির খাদ্যবাহী দুটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর এক দিন আগে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সাতটি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নুনগোলা এলাকায় আসবাববাহী একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলায় চালকসহ তিনজন দগ্ধ হন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার মারা যান চালকের সহকারী আবদুর রহিম (৩০)।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, অবরোধের নামে ১০ থেকে ১২টি স্থানে যানবাহনে পেট্রলবোমা হামলা ও নাশকতা চালানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
No comments