মার্সিয়াকে ভালবাসবে বাংলাদেশ -বিদায়ের আগে ড্যান মজিনা
বিদায়ের
আগে উত্তরসূরি মার্সিয়া বার্নিকাটের ভূয়সী প্রশংসা করে গেছেন ড্যান মজিনা।
বলেছেন, মার্সিয়া খুব চমৎকার মানুষ। তাকে আমি ২০ বছর থেকে জানি। সে আমার
ভাল বন্ধুও। আশা করি বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালবাসবে। নয়া মার্কিন
রাষ্ট্রদূত হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি ঢাকায় দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলেও
জানিয়েছেন বিদায়ী দূত। ঢাকায় ১১২২ দিনের দূতিয়ালী মিশনের ইতি টেনে গতকাল
রাতে বিদায় নিয়েছেন ড্যান মজিনা। রাত পৌনে ১১টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ার
লাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ও
হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক সূত্রে এ তথ্য মিলেছে।
এদিকে বিদায়ের আগে দেয়া এক ফেসবুক স্টাটাসে ড্যান মজিনা বলেছেন, ‘আর
কিছুক্ষণ পরেই আমি ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছি। আমার বুকটা ভারি লাগছে। আশা করি
আপনারাও আমার অনুভূতি বুঝতে পারছেন।’ মজিনা জানান, ঢাকা থেকে তিনি
ক্যালিফোর্নিয়া যাবেন। সেখানে ছেলের পরিবারের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করবেন।
এরপরে যাবেন তার ৯৩ বছর বয়সী মায়ের কাছে আইওয়াতে। নতুন বছরে (জানুয়ারি)
ওয়াশিংটনে পৌছে স্টেট ডির্পাটমেন্টে রিপোর্ট করবেন। ওই সময় থেকেই তার অবসর
প্রস্তুতি ছুটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর
এয়ারলাইন্সের গত রাতের ফ্লাইটটি সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা ছাড়ার সিডিউল থাকলেও
একি আধঘণ্টা বিলম্বে আকাশে উড়ে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিলম্বের কারণ
জানা যায়নি। এদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে বাংলাদেশই ছিল ড্যান মজিনার
শেষ মিশন। তিনি তার ৩৩ বছরের বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করতে
চলেছেন বরাবরের মত বিদায়ের দিনেও ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটিয়ে গেছেন আমেরিকান
ওই দূত। বিদায়ী দিনটি ছিল একান্তই তার মিশনের সহকর্র্মীদের জন্য। সারা দিন
তাদের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। বাইরে কোন কর্মসূচী রাখেননি। অবশ্য সহকর্মীদের
তরফে বিদায়ী সংবর্ধনাও পেয়েছেন তিনি। দূতাবাসে অতীতের যে কোন আয়োজনের চেয়ে
গতকালের দিনটি ছিল ব্যতিক্রম। সেখানে মিশনের কর্মকর্তারা যেমন আবেগাপ্লুত
বিদায় জানিয়েছেন তাদের মিশন প্রধানকে, তেমনি ড্যান মজিনাও আবেগাপ্লুত
ছিলেন। বাইরের কর্মসূচীতে, বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছ থেকে বিদায়ের
পর থেকে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত বিদায়ী সব ক’টি আয়োজনে তিনি আবেগাপ্লুত হলেও
আবেগ প্রকাশে সংযত ছিলেন ওই পেশাদার। কিন্তু গতকাল দূতাবাসের আয়োজনে
সহকর্মীরা তার জন্য যেমন চোখের পানি ফেলেছেন, তেমনি তিনিও চোখ মুছেছেন।
কেবল দূতাবাসের আনুষ্ঠানিকতায় শেষ হয়নি তার বিদায় পর্ব। মজিনার সহকর্মীরা
তাকে বিদায় জানাতে বিমান বন্দর পর্যন্ত যান।
No comments