আটকে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র পে-স্কেল
লাল ফিতায় আটকে আছে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ও
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র পে-স্কেল। চূড়ান্ত করার পরও তা ঘোষণা দেয়া
হয়নি। চূড়ান্তের আগে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের ওপর ভেটিং নেয়া হয় আইন
মন্ত্রণালয়ের। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন শাখায় এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করা
হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নতুন পে-স্কেলটি আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ
করছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ওই কমিটির দশম বৈঠকে সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কর্পোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক পে-স্কেল বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। পরে সংসদীয় কমিটি থেকে পৃথক পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ কমিশনের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পে-স্কেল চূড়ান্ত করা হবে। তবে এ চূড়ান্ত বেতন স্কেলের ওপর ভিত্তি করে খাতভিত্তিক বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের পে-স্কেল ঠিক করা হবে।
বেতন কাঠামো নিয়ে জটিলতা : সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিচালিত হওয়ায় এতে আলাদা বেতন কাঠামো রয়েছে। যেটি সরকারের সম্মতি সাপেক্ষে বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ নির্ধারণ করে। সরকারি চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ফলে এগুলোর বেতন কাঠামোও বেসিক ব্যাংকের মতো সরকারের সম্মতি নিয়ে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ নির্ধারণ করার কথা। বর্তমানে শুধু বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো সরকারি বেতন স্কেলের আওতায় আসার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দাবি করছেন তাদের জন্য আলাদা পে-স্কেল। যেটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ নির্ধারণ করবে। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলে থাকলেও সরকার থেকে বিষয়টি ছাড়া হচ্ছে না।
আলাদা বেতন কাঠামো : এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অভিন্ন বেতন কাঠামো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই কমিটি ১৯টি পে-স্কেলকে ১১টি গ্রেডে সমন্বয় করে। তবে কমিটির অভিন্ন বেতন কাঠামোতে সর্বশেষ রূপালী ব্যাংককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিটি চার রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ১১টি গ্রেড নির্ধারণ করে সুপারিশ করেছিল।
কমিটি নতুন স্কেলে সর্বোচ্চ ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা ও সর্বনিু ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন নির্ধারণের সুপারিশ করে। নতুন বেতন কাঠামোতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের অবস্থান প্রায় সমান। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কার্যদিবসে ২শ টাকা হারে লাঞ্চ ভাতা ও নিজ উদ্যোগে আয়কর দেয়ার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি জিএম থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য ২০ লাখ টাকা মোটর কার ঋণের সুপারিশ করা হয়। যারা গাড়ির ঋণ নেবেন না তাদের জন্য গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি ও চালকের বেতন বাবদ মাসিক ৩০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে প্রায় ৬১ হাজার ব্যাংকার কাজ করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী মোট ৪ হাজার ৯৫১ জন। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকে ২৩ হাজার ৩৮৩, জনতা ব্যাংকে ১৫ হাজার, অগ্রণী ব্যাংকে ১৩ হাজার ২৫৯ ও রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ২৯৩ জন।
পৃথক বেতন কাঠামো আটকে পড়ায় অনেকের ভেতর ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে সরকারের সাড়ে ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য জাতীয় পে-কমিশন তাদের সুপারিশ অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন আটকে রাখা হয় সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য। বেতন কমিশন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন স্কেলের ব্যাপারে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। এখন সরকারকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের ব্যাপারে ভাবতে হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম যুগান্তরকে বলেন, পৃথক বেতন কাঠামোর ব্যাপারে আমাদের করণীয় নেই। এখন বিষয়টি দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আমাদের সুপারিশ জমা দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং শেষে ফেরত আসার পর বাস্তবায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান একাধিক বৈঠক করেছেন পৃথক বেতন কাঠামো নিয়ে। তবে দু-এক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এলেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেখানে পড়ে আছে বেতন কাঠামো।
পৃথক বেতন কাঠামোতে যা থাকছে : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের বেতন ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা, মহাব্যবস্থাপক বা সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপকের বেতন ৭৭ হাজার ২৫০ টাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকের বেতন ৬২ হাজার ৪০০ টাকা।
এ ছাড়া উভয় ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসারের বেতন ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা, প্রিন্সিপাল অফিসারের ৪৫ হাজার টাকা, সিনিয়র অফিসারের ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা, অফিসারের ক্ষেত্রে ২৮ হাজার ২৫০ টাকা ও জুনিয়র অফিসারের বেতন সুপারিশ করা হয় ২৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি অ্যাসিসটেন্ট অফিসার ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, সিএলডিএ/ড্রাইভার/কেয়ারটেকারের ১৬ হাজার টাকা, সাপোর্ট স্টাফ-১, সাপোর্ট স্টাফ-২, সাপোর্ট স্টাফ-৩ এমএলএসএস/সমমান পদে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকার সুপারিশ করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ওই কমিটির দশম বৈঠকে সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কর্পোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক পে-স্কেল বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। পরে সংসদীয় কমিটি থেকে পৃথক পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ কমিশনের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পে-স্কেল চূড়ান্ত করা হবে। তবে এ চূড়ান্ত বেতন স্কেলের ওপর ভিত্তি করে খাতভিত্তিক বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের পে-স্কেল ঠিক করা হবে।
বেতন কাঠামো নিয়ে জটিলতা : সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিচালিত হওয়ায় এতে আলাদা বেতন কাঠামো রয়েছে। যেটি সরকারের সম্মতি সাপেক্ষে বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ নির্ধারণ করে। সরকারি চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ফলে এগুলোর বেতন কাঠামোও বেসিক ব্যাংকের মতো সরকারের সম্মতি নিয়ে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ নির্ধারণ করার কথা। বর্তমানে শুধু বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো সরকারি বেতন স্কেলের আওতায় আসার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দাবি করছেন তাদের জন্য আলাদা পে-স্কেল। যেটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ নির্ধারণ করবে। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলে থাকলেও সরকার থেকে বিষয়টি ছাড়া হচ্ছে না।
আলাদা বেতন কাঠামো : এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অভিন্ন বেতন কাঠামো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই কমিটি ১৯টি পে-স্কেলকে ১১টি গ্রেডে সমন্বয় করে। তবে কমিটির অভিন্ন বেতন কাঠামোতে সর্বশেষ রূপালী ব্যাংককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিটি চার রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ১১টি গ্রেড নির্ধারণ করে সুপারিশ করেছিল।
কমিটি নতুন স্কেলে সর্বোচ্চ ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা ও সর্বনিু ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন নির্ধারণের সুপারিশ করে। নতুন বেতন কাঠামোতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের অবস্থান প্রায় সমান। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কার্যদিবসে ২শ টাকা হারে লাঞ্চ ভাতা ও নিজ উদ্যোগে আয়কর দেয়ার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি জিএম থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য ২০ লাখ টাকা মোটর কার ঋণের সুপারিশ করা হয়। যারা গাড়ির ঋণ নেবেন না তাদের জন্য গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি ও চালকের বেতন বাবদ মাসিক ৩০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে প্রায় ৬১ হাজার ব্যাংকার কাজ করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী মোট ৪ হাজার ৯৫১ জন। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকে ২৩ হাজার ৩৮৩, জনতা ব্যাংকে ১৫ হাজার, অগ্রণী ব্যাংকে ১৩ হাজার ২৫৯ ও রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ২৯৩ জন।
পৃথক বেতন কাঠামো আটকে পড়ায় অনেকের ভেতর ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে সরকারের সাড়ে ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য জাতীয় পে-কমিশন তাদের সুপারিশ অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন আটকে রাখা হয় সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য। বেতন কমিশন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন স্কেলের ব্যাপারে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। এখন সরকারকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের ব্যাপারে ভাবতে হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম যুগান্তরকে বলেন, পৃথক বেতন কাঠামোর ব্যাপারে আমাদের করণীয় নেই। এখন বিষয়টি দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আমাদের সুপারিশ জমা দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং শেষে ফেরত আসার পর বাস্তবায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান একাধিক বৈঠক করেছেন পৃথক বেতন কাঠামো নিয়ে। তবে দু-এক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এলেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেখানে পড়ে আছে বেতন কাঠামো।
পৃথক বেতন কাঠামোতে যা থাকছে : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের বেতন ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা, মহাব্যবস্থাপক বা সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপকের বেতন ৭৭ হাজার ২৫০ টাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকের বেতন ৬২ হাজার ৪০০ টাকা।
এ ছাড়া উভয় ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসারের বেতন ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা, প্রিন্সিপাল অফিসারের ৪৫ হাজার টাকা, সিনিয়র অফিসারের ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা, অফিসারের ক্ষেত্রে ২৮ হাজার ২৫০ টাকা ও জুনিয়র অফিসারের বেতন সুপারিশ করা হয় ২৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি অ্যাসিসটেন্ট অফিসার ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, সিএলডিএ/ড্রাইভার/কেয়ারটেকারের ১৬ হাজার টাকা, সাপোর্ট স্টাফ-১, সাপোর্ট স্টাফ-২, সাপোর্ট স্টাফ-৩ এমএলএসএস/সমমান পদে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকার সুপারিশ করা হয়েছিল।
No comments