সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়ক- বড় বড় গর্তের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা
(সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পারুলিয়া এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো) সংস্কার
না করার কারণে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের অসংখ্য স্থানে বড় বড় গর্তের
সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সড়কের পাশের মাটি সরে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে
মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে
জানা যায়, জেলা শহর থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার।
সর্বশেষ ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে সড়কটিতে নতুন করে কাজ করা হয়। সরেজমিনে
দেখা গেছে, সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের শহরের বাঙ্গালের মোড়, ইটেগাছা,
বাঁকাল, কুলিয়া, পারুলিয়া, চাঁদপুর, গাজীরহাট, হাদীপুরের অনেক স্থানের
পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। আবার অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কের পাশের অনেক স্থানের মাটি সরে গেছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গত
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর এলাকার সড়কের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পড়ে একটি
মাছের খাদ্যবোঝাই ট্রলি উল্টে যায়। উল্টে যাওয়া ট্রলির চালক জাহিদ হাসান
জানান, সড়ক খারাপ হওয়ায় ৫০০ টাকার ভাড়া খাটতে কখনো কখনো গাড়ি নষ্ট
হয়ে আরও বেশি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
ট্রাকচালক রকিব হোসেন বলেন, ৩৫ কিলোমিটার সড়কের কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার সড়কে পিচ ও খোয়া উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা থেকে মালামাল নিয়ে কালীগঞ্জ ও শ্যামনগরের দিকে গেলে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
এ ছাড়া সড়কের পাশে মাটি না থাকায় অন্য গাড়িকে জায়গা (সাইড) দেওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়কে পণ্য বহন করতে গেলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়। যাত্রীবাহী বাসচালক আবদুর রহমান বলেন, এ সড়ক পার হতে ৪০ মিনিটের জায়গায় সময় লাগে সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা।
দেবহাটা উপজেলার দেবীশহরের ব্যবসায়ী আনন্দ রায় বলেন, প্রায় প্রতিদিন তিনি দেবী শহর থেকে সাতক্ষীরা যান। সড়কের এ অবস্থার কারণে রাস্তার মধ্যে অনেক সময় বাস নষ্ট হয়ে যায়। আর ঝাঁকিতে শরীরও ব্যথা হয়।
ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক মনোরঞ্জন কর বলেন, গত শুক্রবার তাঁর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ঘুষড়ি গ্রামের হরিপদ মণ্ডল আহত হন।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলী নূরায়েন বলেন, সড়কটি পুরোপুরি নতুন করে করতে হলে ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। বরাদ্দ না থাকায় অনেক দিন মেরামত করা যায়নি। প্রায় এক কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব জায়গা খুব খারাপ এমন সাত কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা হবে।
ট্রাকচালক রকিব হোসেন বলেন, ৩৫ কিলোমিটার সড়কের কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার সড়কে পিচ ও খোয়া উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা থেকে মালামাল নিয়ে কালীগঞ্জ ও শ্যামনগরের দিকে গেলে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
এ ছাড়া সড়কের পাশে মাটি না থাকায় অন্য গাড়িকে জায়গা (সাইড) দেওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়কে পণ্য বহন করতে গেলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়। যাত্রীবাহী বাসচালক আবদুর রহমান বলেন, এ সড়ক পার হতে ৪০ মিনিটের জায়গায় সময় লাগে সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা।
দেবহাটা উপজেলার দেবীশহরের ব্যবসায়ী আনন্দ রায় বলেন, প্রায় প্রতিদিন তিনি দেবী শহর থেকে সাতক্ষীরা যান। সড়কের এ অবস্থার কারণে রাস্তার মধ্যে অনেক সময় বাস নষ্ট হয়ে যায়। আর ঝাঁকিতে শরীরও ব্যথা হয়।
ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক মনোরঞ্জন কর বলেন, গত শুক্রবার তাঁর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ঘুষড়ি গ্রামের হরিপদ মণ্ডল আহত হন।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলী নূরায়েন বলেন, সড়কটি পুরোপুরি নতুন করে করতে হলে ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। বরাদ্দ না থাকায় অনেক দিন মেরামত করা যায়নি। প্রায় এক কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব জায়গা খুব খারাপ এমন সাত কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা হবে।
No comments