এমন ঘরে, এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলেন কেন
মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডা. শামারুখ মাহজাবীন সুমির বাবা প্রকৌশলী
নুরুল ইসলাম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার কাছে চারটি বিষয়ে জানতে চান। তার
প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল- এমন ঘরে, এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিলেন কেন? রোববার
দুপুর ১২টায় যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা জানান
ডা. শামারুখের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। ১৫ ডিসেম্বর রাতে গণভবনে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
আমাকে দশ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময় দিয়েছিলেন। আমার মেয়ের গলার দুই পাশে
গলাটিপে ধরার দাগ আছে, এই ছবিটা হাতে নিয়ে তিনি নিজে পরখ করেন। এ সময় তিনি
দুবার ইশ বলে আফসোস প্রকাশ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আমাকে চারটি প্রশ্ন
করেন। আমি প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। এছাড়া ৭১ পৃষ্ঠার একটি ফাইল
প্রধানমন্ত্রী নিজে আমার হাত থেকে গ্রহণ করেছেন। নুরুল ইসলাম জানান, গণভবনে
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি তার মেয়ের হত্যার বিচার চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ডা. শামারুখ হত্যার বিচার দাবিতে মামলা ও তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ১৫ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৫০ মিনিটে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নগুলো হল- ১.এমন ঘরে, এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিলেন কেন? ২. যৌতুকলোভী এ রকম একজন লোকের ঘর থেকে আপনার মেয়ে নিজে থেকে কেন বেরিয়ে এলো না? ৩. একটি কোয়ালিফাইড মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়ির মন জুগিয়ে চলে কি লাভ হল? ৪. দ্বিতীয় পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কি অবস্থা? প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা শামারুখের মামা কাজী ফিরোজ আমার উত্তরের রেফারেন্স হিসেবে ৭১ পৃষ্ঠার ফাইলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমার কথা ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছেন। তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটি কাক মরে গেলে অন্য কাকরা এসে ভিড় জমায়। কোনো শ্রমিক মারা গেলে তার সহকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু ডা. মাহজাবীনের মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা প্রতিবাদে শামিল হননি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ হলেও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ টুঁ শব্দও করেনি। চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের স্ত্রী ডা. জেসমিন আরা। তিনি নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ফলে পুনঃময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রভাবমুক্ত হবে এ কথা বলা কঠিন।
শামারুখের বাবা বলেন, কয়েকদিন আগে বিএমএ কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। তিনি তার সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন। ফলে পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে শংকা থেকেই যাচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর পুনঃময়নাতদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। তবে আদালত থেকে তারিখ নির্ধারণ করে না দেয়ায় পূর্ণাঙ্গ পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমাদানে গড়িমসি হওয়ার আশংকাও থেকে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইডিইবি যশোর শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবা শেফা, যশোর বিএএফ শাহীন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন প্রমুখ।
১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় নিহত হন যশোর-৫ আসনের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবীন সুমি। এ ঘটনায় শামারুখের বাবা নুরুল ইসলাম মেয়ের শ্বশুর খান টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাবের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।
ডা. শামারুখ হত্যার বিচার দাবিতে মামলা ও তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ১৫ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৫০ মিনিটে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নগুলো হল- ১.এমন ঘরে, এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিলেন কেন? ২. যৌতুকলোভী এ রকম একজন লোকের ঘর থেকে আপনার মেয়ে নিজে থেকে কেন বেরিয়ে এলো না? ৩. একটি কোয়ালিফাইড মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়ির মন জুগিয়ে চলে কি লাভ হল? ৪. দ্বিতীয় পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কি অবস্থা? প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা শামারুখের মামা কাজী ফিরোজ আমার উত্তরের রেফারেন্স হিসেবে ৭১ পৃষ্ঠার ফাইলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমার কথা ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছেন। তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটি কাক মরে গেলে অন্য কাকরা এসে ভিড় জমায়। কোনো শ্রমিক মারা গেলে তার সহকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু ডা. মাহজাবীনের মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা প্রতিবাদে শামিল হননি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ হলেও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ টুঁ শব্দও করেনি। চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের স্ত্রী ডা. জেসমিন আরা। তিনি নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ফলে পুনঃময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রভাবমুক্ত হবে এ কথা বলা কঠিন।
শামারুখের বাবা বলেন, কয়েকদিন আগে বিএমএ কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। তিনি তার সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন। ফলে পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে শংকা থেকেই যাচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর পুনঃময়নাতদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। তবে আদালত থেকে তারিখ নির্ধারণ করে না দেয়ায় পূর্ণাঙ্গ পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমাদানে গড়িমসি হওয়ার আশংকাও থেকে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইডিইবি যশোর শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবা শেফা, যশোর বিএএফ শাহীন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন প্রমুখ।
১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় নিহত হন যশোর-৫ আসনের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবীন সুমি। এ ঘটনায় শামারুখের বাবা নুরুল ইসলাম মেয়ের শ্বশুর খান টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাবের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।
No comments