বনভূমি দখলের পক্ষে পাঁচ মন্ত্রীর সুপারিশ -২৭ একর বনভূমির মালিকানা দাবি আট আওয়ামী লীগ নেতার by ইফতেখার মাহমুদ
গাজীপুরে ২৭ একরের বেশি বনভূমির মালিকানা দাবি করছেন আওয়ামী লীগের আটজন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এই বনভূমি কয়েক দফা দখলেও নেন তাঁরা। কিন্তু সরকারি নথি বলছে, জমিটি বন বিভাগের। বন বিভাগও তা-ই বলছে। অথচ আওয়ামী লীগের পাঁচ মন্ত্রী ওই আট নেতার পক্ষে সুপারিশ করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোনাবাড়ী মৌজার এই বনভূমিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ রয়েছে। ২৭ একর ৪০ শতাংশ এই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। সরেজমিনে জানা যায়, মালিকানা দাবিদারেরা ওই জমির এক অংশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করলে তা ভেঙে দেয় বন বিভাগ।
আওয়ামী লীগের ওই আট নেতার মধ্যে চারজন হলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সিরাজগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম তাহের, আওয়ামী ওলামা লীগের নেতা আবদুল লতিফ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল হাকিম। এঁদের অন্তত দুজনের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে বলে জানা গেছে। অন্য চারজনের নাম জানা যায়নি।
ফয়েজউদ্দিন ও হাকিম গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর জমিটির মালিকানা দাবি করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। আর এতে সুপারিশ করেছেন আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী। পরে এ বছরের মে মাসে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল পাঁচ মন্ত্রীর সুপারিশের কথা উল্লেখ করে জমিটি আট নেতাকে বুঝিয়ে দিতে প্রধান বন সংরক্ষককে চিঠি দেন।
এদিকে জমির মালিকানা দাবি করে শারমিন শাহারা নামে একজন গাজীপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন। আবার গাজীপুরের কাশিমপুরের জমিদার সারদা প্রসাদ রায় চৌধুরীর উত্তরাধিকার পরিচয় দিয়ে গঙ্গা প্রসাদ রায় চৌধুরী, পূর্ণিমা রায় চৌধুরী ও উত্তম প্রসাদ চৌধুরী পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে গত বছরের অক্টোবরে একটি আবেদন করেন। তাঁরা জমিটির মালিক বলে দাবি করেন। মামলা চলা অবস্থায় আওয়ামী লীগের আট নেতা জমিটি ৫২ জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফয়েজউদ্দিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন বিভাগের কত জমি কতজনে দখল করে খাচ্ছে। আমরা আওয়ামী লীগের নেতারা তো জমিটি কিনে দখল নিতে চাইছি। আর বন বিভাগ তাতে বাধা দিচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলী বলেন, আইন অনুযায়ী জমিটি বন বিভাগের। মামলা হলেও আদালত এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশ বা রায় দেননি। ফলে এই বনভূমি ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতায় আসায় কোনাবাড়ী মৌজার লস্করপুর এলাকার এই জমির দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে ওই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগের আট নেতা জমিটি স্থানীয় এমদাদুল হকের কাছ থেকে কিনেছেন বলে দাবি করেছেন। এমদাদের দাবি, তিনি জমিটির আমমোক্তারনামা নিয়েছেন (দেখাশোনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন) শারমিন শাহারার কাছ থেকে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে শারমিনের ভাগনে পরিচয় দিয়ে কথা বলেন সজীব আহমেদ নামে একজন। তিনি বলেন, শারমিন সিলেটে থাকেন, অসুস্থ। তাঁর পক্ষে তিনিই দেখাশোনা করছেন। বন বিভাগের সঙ্গে ‘ঝামেলা’ মিটিয়ে জমিটি বিক্রি করার জন্য এমদাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা করতে না পারায় গাজীপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন শারমিন।
তবে এই আমমোক্তারনামা ও কেনাবেচার বিষয়টি সাজানো বলে বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর মাধ্যমে কয়েকবার জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে বন বিভাগ পুলিশ পাঠিয়ে তা ব্যর্থ করে দেয়।
মন্ত্রীর সুপারিশ: গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আট নেতার পক্ষে আবেদন করা হয়। আবেদনপত্রে তাঁদের পক্ষে সুপারিশ করেন পাঁচ মন্ত্রী। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান লিখেছেন, ‘সুপারিশ করছি’। সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম লিখেছেন ‘বিবেচনার জন্য জোর সুপারিশ করছি’। সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসও লিখিত সুপারিশ করেন। ওই সময়ের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘বিধি মোতাবেক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হোক’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য সমাজের সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি। কেউ আমাদের কাছে সুপারিশ চাইতে এলে না করি না। ওই জমি যদি বনের হয়ে থাকে, তাহলে বন বিভাগ তা দেবে না। এতে তো কোনো সমস্যা দেখছি না।’
লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তো শুধু সুপারিশ করেছি। বলি নাই তো যে জমিটা দিয়ে দেন। বন বিভাগ যদি ওই জমি দিতে না চায়, তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জমিটির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার আবেদন এলে আমি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। আইন অনুযায়ী না হলে তো আর জমিটি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
এ বছরের ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল প্রধান বন সংরক্ষকের কাছে একটি চিঠি পাঠান। নিজের টেলিকম ব্যবসার প্রতিষ্ঠান ওমেগা টেকনোলজিস এবং ডেল্টা ইনফোকম প্রাইভেট লিমিটেডের প্যাডে দেওয়া ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, আমমোক্তারনামা দলিলমূলে ওই জমির মালিক এমদাদুল হক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছেন। আবেদনের পক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থার সুপারিশ করেছেন সাবেক বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ পাঁচ মন্ত্রী। তিনি আবেদনকারীদের কোনো হয়রানি না করা এবং ভূমি উন্নয়নে বাধা না দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন।
জানতে চাইলে তানভীর শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এলাকার কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা জমিটি কিনেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। বন বিভাগ থেকে জমিটি নিয়ে ঝামেলা করছে জানালে আমি তা খতিয়ে দেখতে বন বিভাগকে অনুরোধ করেছি। বন বিভাগ যেটা সঠিক মনে করবে, সেটাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
যোগাযোগ করা হলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, বন আইনের নানা ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গাজীপুরের জমি দখল করে নিচ্ছে। তাই গাজীপুরের বনভূমি ইজারা দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা উচিত। সেখানে তিন হাজার একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি আছে, সেগুলো অধিগ্রহণ করে বনভূমি ঘোষণা করলে অনেক জটিলতা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোনাবাড়ী মৌজার এই বনভূমিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ রয়েছে। ২৭ একর ৪০ শতাংশ এই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। সরেজমিনে জানা যায়, মালিকানা দাবিদারেরা ওই জমির এক অংশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করলে তা ভেঙে দেয় বন বিভাগ।
আওয়ামী লীগের ওই আট নেতার মধ্যে চারজন হলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সিরাজগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম তাহের, আওয়ামী ওলামা লীগের নেতা আবদুল লতিফ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল হাকিম। এঁদের অন্তত দুজনের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে বলে জানা গেছে। অন্য চারজনের নাম জানা যায়নি।
ফয়েজউদ্দিন ও হাকিম গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর জমিটির মালিকানা দাবি করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। আর এতে সুপারিশ করেছেন আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী। পরে এ বছরের মে মাসে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল পাঁচ মন্ত্রীর সুপারিশের কথা উল্লেখ করে জমিটি আট নেতাকে বুঝিয়ে দিতে প্রধান বন সংরক্ষককে চিঠি দেন।
এদিকে জমির মালিকানা দাবি করে শারমিন শাহারা নামে একজন গাজীপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন। আবার গাজীপুরের কাশিমপুরের জমিদার সারদা প্রসাদ রায় চৌধুরীর উত্তরাধিকার পরিচয় দিয়ে গঙ্গা প্রসাদ রায় চৌধুরী, পূর্ণিমা রায় চৌধুরী ও উত্তম প্রসাদ চৌধুরী পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে গত বছরের অক্টোবরে একটি আবেদন করেন। তাঁরা জমিটির মালিক বলে দাবি করেন। মামলা চলা অবস্থায় আওয়ামী লীগের আট নেতা জমিটি ৫২ জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফয়েজউদ্দিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন বিভাগের কত জমি কতজনে দখল করে খাচ্ছে। আমরা আওয়ামী লীগের নেতারা তো জমিটি কিনে দখল নিতে চাইছি। আর বন বিভাগ তাতে বাধা দিচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলী বলেন, আইন অনুযায়ী জমিটি বন বিভাগের। মামলা হলেও আদালত এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশ বা রায় দেননি। ফলে এই বনভূমি ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতায় আসায় কোনাবাড়ী মৌজার লস্করপুর এলাকার এই জমির দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে ওই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগের আট নেতা জমিটি স্থানীয় এমদাদুল হকের কাছ থেকে কিনেছেন বলে দাবি করেছেন। এমদাদের দাবি, তিনি জমিটির আমমোক্তারনামা নিয়েছেন (দেখাশোনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন) শারমিন শাহারার কাছ থেকে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে শারমিনের ভাগনে পরিচয় দিয়ে কথা বলেন সজীব আহমেদ নামে একজন। তিনি বলেন, শারমিন সিলেটে থাকেন, অসুস্থ। তাঁর পক্ষে তিনিই দেখাশোনা করছেন। বন বিভাগের সঙ্গে ‘ঝামেলা’ মিটিয়ে জমিটি বিক্রি করার জন্য এমদাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা করতে না পারায় গাজীপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন শারমিন।
তবে এই আমমোক্তারনামা ও কেনাবেচার বিষয়টি সাজানো বলে বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর মাধ্যমে কয়েকবার জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে বন বিভাগ পুলিশ পাঠিয়ে তা ব্যর্থ করে দেয়।
মন্ত্রীর সুপারিশ: গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আট নেতার পক্ষে আবেদন করা হয়। আবেদনপত্রে তাঁদের পক্ষে সুপারিশ করেন পাঁচ মন্ত্রী। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান লিখেছেন, ‘সুপারিশ করছি’। সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম লিখেছেন ‘বিবেচনার জন্য জোর সুপারিশ করছি’। সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসও লিখিত সুপারিশ করেন। ওই সময়ের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘বিধি মোতাবেক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হোক’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য সমাজের সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি। কেউ আমাদের কাছে সুপারিশ চাইতে এলে না করি না। ওই জমি যদি বনের হয়ে থাকে, তাহলে বন বিভাগ তা দেবে না। এতে তো কোনো সমস্যা দেখছি না।’
লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তো শুধু সুপারিশ করেছি। বলি নাই তো যে জমিটা দিয়ে দেন। বন বিভাগ যদি ওই জমি দিতে না চায়, তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জমিটির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার আবেদন এলে আমি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। আইন অনুযায়ী না হলে তো আর জমিটি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
এ বছরের ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল প্রধান বন সংরক্ষকের কাছে একটি চিঠি পাঠান। নিজের টেলিকম ব্যবসার প্রতিষ্ঠান ওমেগা টেকনোলজিস এবং ডেল্টা ইনফোকম প্রাইভেট লিমিটেডের প্যাডে দেওয়া ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, আমমোক্তারনামা দলিলমূলে ওই জমির মালিক এমদাদুল হক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছেন। আবেদনের পক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থার সুপারিশ করেছেন সাবেক বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ পাঁচ মন্ত্রী। তিনি আবেদনকারীদের কোনো হয়রানি না করা এবং ভূমি উন্নয়নে বাধা না দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন।
জানতে চাইলে তানভীর শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এলাকার কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা জমিটি কিনেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। বন বিভাগ থেকে জমিটি নিয়ে ঝামেলা করছে জানালে আমি তা খতিয়ে দেখতে বন বিভাগকে অনুরোধ করেছি। বন বিভাগ যেটা সঠিক মনে করবে, সেটাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
যোগাযোগ করা হলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, বন আইনের নানা ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গাজীপুরের জমি দখল করে নিচ্ছে। তাই গাজীপুরের বনভূমি ইজারা দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা উচিত। সেখানে তিন হাজার একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি আছে, সেগুলো অধিগ্রহণ করে বনভূমি ঘোষণা করলে অনেক জটিলতা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
No comments