অশ্লীল নৃত্য বেন্ধ উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন
বাগেরহাট জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলায় আনন্দ মেলার নামে রাতভর অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। গত মঙ্গলবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপস্থিত জেলার দুটি আসনে নির্বাচিত দুজন সাংসদ এসব অশ্লীলতা বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেলা বন্ধে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
বাগেরহাট শহরের রেল রোডে লাইটহল প্রেক্ষাগৃহ, সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, ফকিরহাট উপজেলার গোদাড়া, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ডেউয়াতলা, চিতলমারী উপজেলার কুরমনি, রামপাল উপজেলার বেলাই ও মংলা উপজেলার দ্বিগরাজে আনন্দ মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্দির কমিটির নামে ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য এসব মেলার অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন সদস্য জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ মীর শওকাত আলী বাদশা ও বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। সভায় তাঁরা মেলার নামে অশ্লীলতা ও জুয়া বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত কমিটির অন্য সদস্যরাও একই দাবি তোলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি জেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে এ ধরনের মেলার আয়োজনকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। বিভিন্ন উপলক্ষ সামনে রেখে তাঁরা এই মেলার আয়োজন করেন। এ জন্য তাঁরা ব্যবহার করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুমতির আবেদনে স্থানীয় সাংসদদের সুপারিশ স্বাক্ষর নেওয়া হয়। অনুমোদন পেলে চুক্তি অনুযায়ী এককালীন টাকা দেওয়া হয় অনুমতি গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে তাঁদের নাম ব্যবহারের জন্য।
জেলা প্রশাসক শুকুর আলী বলেন, ফকিরহাটে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই একটি মেলা চলছিল। মঙ্গলবার সেটি বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া লাইটহল প্রেক্ষাগৃহসহ কয়েকটি মেলার বিষয়ে জেলা পুলিশের কাছে গোপন তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মেলাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ফকিরহাটের মেলাটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানালেও মঙ্গলবার ও গত বুধবার রাতেও মেলার কার্যক্রম চলেছে বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মেলা আয়োজনের আবেদনে সুপারিশ করা প্রসঙ্গে সাংসদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এলাকার মানুষের বিভিন্ন আবেদনে সুপারিশ করি, এটা রেওয়াজ। মেলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক, বাতিলও করেন তিনি।’
বাগেরহাট শহরের রেল রোডে লাইটহল প্রেক্ষাগৃহ, সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, ফকিরহাট উপজেলার গোদাড়া, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ডেউয়াতলা, চিতলমারী উপজেলার কুরমনি, রামপাল উপজেলার বেলাই ও মংলা উপজেলার দ্বিগরাজে আনন্দ মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্দির কমিটির নামে ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য এসব মেলার অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন সদস্য জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ মীর শওকাত আলী বাদশা ও বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। সভায় তাঁরা মেলার নামে অশ্লীলতা ও জুয়া বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত কমিটির অন্য সদস্যরাও একই দাবি তোলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি জেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে এ ধরনের মেলার আয়োজনকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। বিভিন্ন উপলক্ষ সামনে রেখে তাঁরা এই মেলার আয়োজন করেন। এ জন্য তাঁরা ব্যবহার করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুমতির আবেদনে স্থানীয় সাংসদদের সুপারিশ স্বাক্ষর নেওয়া হয়। অনুমোদন পেলে চুক্তি অনুযায়ী এককালীন টাকা দেওয়া হয় অনুমতি গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে তাঁদের নাম ব্যবহারের জন্য।
জেলা প্রশাসক শুকুর আলী বলেন, ফকিরহাটে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই একটি মেলা চলছিল। মঙ্গলবার সেটি বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া লাইটহল প্রেক্ষাগৃহসহ কয়েকটি মেলার বিষয়ে জেলা পুলিশের কাছে গোপন তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মেলাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ফকিরহাটের মেলাটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানালেও মঙ্গলবার ও গত বুধবার রাতেও মেলার কার্যক্রম চলেছে বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মেলা আয়োজনের আবেদনে সুপারিশ করা প্রসঙ্গে সাংসদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এলাকার মানুষের বিভিন্ন আবেদনে সুপারিশ করি, এটা রেওয়াজ। মেলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক, বাতিলও করেন তিনি।’
No comments