অপরাধী ফিরিয়ে না নিলে বাংলাদেশে বৃটিশ সহায়তা বন্ধ হতে পারে
১০ হাজার অপরাধীকে ফিরিয়ে না নিলে বাংলাদেশ সহ কয়েকটি দেশে বৃটিশ সহায়তা বন্ধ হতে পারে। বৃটিশ টোরি দলের এমপি ফিলিপ হোলোবোনে এ বিষয়ে সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, রোমানিয়া, নাইজেরিয়া ও সোমালিয়ার ক্ষেত্রে ১০০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি অনুদান স্থগিত করতে তিনি বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃটিশ কারাগারগুলোতে মোট ১১ হাজার বিদেশী নাগরিক রয়েছে, যা মোট কারাবন্দিদের ১৩ শতাংশ। এদের পেছনে বৃটিশ করদাতাদের বার্ষিক ব্যয় হচ্ছে ৩০ কোটি পাউন্ড। ওয়েস্টমিনস্টার হলে এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে ফিলিপ বলেন, বিদেশী অপরাধীদের ২৫ শতাংশ এ ছয়টি দেশের। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদেরকে প্রতি বছর ১০০ কোটি পাউন্ড আন্তর্জাতিক সহায়তার উল্লেখযোগ্য অংশ দিচ্ছি। তারপরও তারা কোন অর্থবহ উপায়ে সহযোগিতা করছে না। বৃটেনে অপরাধ সংঘটিত করার পরও দেশগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না। কারাগার প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে দেশগুলোর সমর্থনের শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেয়া উচিত বলে তিনি অভিমত দেন। সাম্প্রতিক সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বৃটিশ কারাগারগুলোতে সব থেকে বেশি নাগরিক আছে পোল্যান্ডের (৯৩৮)। এর পরই ৭৭৯ জন আইরিশ, ৭৩৭ জন জ্যামাইকান আর রোমানিয়া ও পাকিস্তানের ৫৪৭ জন করে নাগরিক রয়েছে। নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ সদস্য রাষ্ট্রের মাত্র ১১টি রাষ্ট্র একটি নীতিমালায় স্বাক্ষর করেছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই চুক্তির আওতামুক্ত থাকার সুবিধা আদায় করে নিয়েছে পোল্যান্ড। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিলিপ। বৃটেনের কারাগারগুলোতে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মধ্যে লিথুয়ানিয়ার ৫০২ জন, নাইজেরিয়ার ৪৬৯ জন, সোমালিয়ার ৪৩০ জন, ভারতের ৪২৬ জন, বাংলাদেশের ২৭৬ জন, আলবেনিয়ার ২৭৫ জন ও ভিয়েতনামের ২৪৭ জন ব্যক্তি রয়েছে।
No comments