গবেষণা- হাইডেলবার্গের লরেট ফোরাম by মোহাম্মদ কায়কোবাদ
প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে রাশিয়ার ইকেটেরিনবার্গ শহরের একটি কমদামি হোটেলে বসে ই-মেইল দেখছি। ইদানীং অপরিচিত জায়গা থেকে প্রচুর ই-মেইল আসছে। আন্দ্রিয়াস রয়টার নামে কম্পিউটার বিজ্ঞানী আমাকে আমন্ত্রণ করেছেন হাইডেলবার্গের লরেট ফোরামে, যেখানে গণিতের ফিল্ডস মেডাল ও আবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং কম্পিউটারের টুরিং এবং নেভানলিনা পুরস্কার বিজয়ীদের সঙ্গে উঠতি বয়সী গবেষকদের সমন্বয়ে একটি মিলনমেলা হবে। গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার না থাকলেও উল্লিখিত পুরস্কারগুলো সমমানের পুরস্কার বলে গণ্য হয়। যা হোক, আমন্ত্রণ পাওয়ার পর চিন্তাভাবনা না করেই যথেষ্ট ধন্যবাদসহ সম্মতি জানিয়ে দিলাম, যাতে ভুলক্রমে হলেও আর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ না থাকে। এবারসহ দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। খোদ নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নিয়ে যে লিন্ডাও কনফারেন্স, তা-ও জার্মানিতেই হয় এবং আমাদের দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের সেখানে অংশ নেওয়ার সুযোগ হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। এমনকি এবারের ফিল্ডস মেডাল বিজয়ী মার্টিন হেয়ারার ও মঞ্জুল ভার্গাভাও এতে যোগ দেবেন, বয়স্কদের মধ্যে ১৯৬৬ সালের ফিল্ডস মেডালিস্ট ও ২০০৪ সালের আবেল বিজয়ী স্যার মাইকেল ফ্রান্সিস আতিয়াহ। মনে মনে বলি, বিদেশভ্রমণের কথায় এমনিতেই আমার এক পা দরজার বাইরে থাকে৷ তার মধ্যে এমন নামী-দামি একজন মানুষ থাকলে তো কথাই নেই। বিমানের টিকিট কিংবা ভ্রমণবিমা—সবই আয়োজক কর্তৃপক্ষ করল। আমাদের মেধাবী ছাত্র এবং বর্তমানে শিক্ষক হিমেল দেবও যাবেন। হিমেলকে তাঁর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট থিসিসের জন্য এবার আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং পুরস্কার দেবেন৷ তা ছাড়া তাঁর একাধিক পেপার নামী-দামি কনফারেন্সে গৃহীত হওয়ায় তিনি এখন রীতিমতো একজন আত্মবিশ্বাসী গবেষক।
ফ্রাঙ্কফুর্ট পৌঁছালে বন্ধুবর মোশারফ বুলেট ট্রেনে কোলন যাওয়ার টিকিট কেটে দিল। ট্রেনে না উঠলে বুঝতেই পারতাম না যে ট্রেনটি ৩০০ কিলোমিটার বেগে চলে। সেখানে আমি কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মাইকেল জুঙ্গের ও পেত্রা মুতজেলের আমন্ত্রণক্রমে একটি সেমিনার দিয়ে ফেললাম। তবে ফোরামের উপস্থাপনা ছাড়াও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারটি অবশ্য হোটেল থেকেই দিয়েছি। দেখলাম, সেখানেও ট্রেন দেরিতে ছাড়ে। কয়েকটি ট্রেন মিস করে রাত সাড়ে নয়টায় যখন হাইডেলবার্গে পৌঁছে রেলস্টেশনে ড. জুলিয়াসকে পেলাম—যাঁর জন্মই হয়েছে সমাজকে সেবাদানের জন্য। ২০০৫ সালে যখন কিছুদিন কোরিয়ায় ছিলাম, তখন জুলিয়াস সেখানে পড়াশোনা করতেন। ২০১২ সালে যখন ছয় সদস্যের ইনফরমেটিকস দল নিয়ে এসেছি, তখন জুলিয়াস ফুসলিয়ে গোটা দলটিকেই নিজের বাসায় উঠিয়েছিলেন। পরে জানলাম, আতিথেয়তা করতে করতে জানলাম জুলিয়াসের সহধর্মিণী হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ভারতের খড়্গপুর আইআইটির পিএইচডি গবেষক তন্বী জানালেন, দেশের টাকায় ভ্রমণ, তাই তাঁকে এয়ার ইন্ডিয়ায় যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে দিল্লি যেতে হয়েছে। এটাই নিয়ম, সরকারি টাকায় ভ্রমণ হবে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে এমন নিয়ম নেই। যা হোক হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেন্যুতে গিয়ে দেখি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও গণিতের রথী–মহারথীদের আগমনে জায়গাটি আলোকিত। কার্নেগি মেলনের নামজাদা টুরিং বিজয়ী অধ্যাপক ম্যানুয়েল ব্লুম যেমন এসেছেন, তেমনি এসেছেন কুইকসর্টের আবিষ্কারক স্যার এন্থনি হোর, উইলিয়াম কাহান, ল্যাম্পোর্ট, পিটার নাউর, ইভান সাদারল্যান্ড, রবার্ট টারজান এবং কম্পিউটেশনাল কমপ্লেক্সিটির জনক স্টেফেন কুক—যাঁর আবিষ্কার ছাড়া আমার পিএইচডি করাই হতো না। আবার গণিতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ফিল্ডস মেডাল ও আবেল পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে দেখা হলো স্যার ফ্রান্সিস আতিয়াহ, ভিয়েতনামের নগ বাও চাও, জন টেট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীনিভাস ভারাধন, মঞ্জুল ভার্গাভা, ভ্লাদিমির ভায়েভুদস্কি, ওয়েন্ডিন ওয়ের্নের এবং মার্টিন হেয়ারার সঙ্গে।
এটা অনেকটা একই আসরে পেলে, বেকেনবাওয়ার, মুলার, ম্যারাডোনা, পাওলো রসি, প্লাতিনি, মেসি, রোনালদোদের সঙ্গে সাক্ষাৎ! অথবা গাভাস্কার, হ্যাডলি, ইমরান খান, মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, অ্যালান বর্ডার, ভিভ রিচার্ডস, সোবার্স, টেন্ডুলকার আর লারার সঙ্গে একই মাঠে সাক্ষাৎ! এ ছাড়া রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথমেটিকস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ইনগ্রিড দোবেচি, আবেল পুরস্কার কমিটির প্রেসিডেন্ট, এসিএমএর প্রেসিডেন্ট। তাঁদের সঙ্গে ছয় দিন কথা বলার সুযোগ পাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ দুয়েক তরুণ ছাত্র ও গবেষক, যার ১৭ থেকে ১৮ জনই ভারতের—তাও আবার অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যয় বহন করছে ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মেধাবী মানুষদের সঙ্গে মিশে ভারতের তরুণ মেধাবী গবেষকেরা একদিকে যেমন উৎসাহের বারুদ নিয়ে দেশে ফিরবেন, অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেধাবী মানুষদের মধ্যে ভারতীয়দের জ্ঞানপিপাসা সম্পর্কে শ্রেয়তর ধারণা প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের সবেধন নীলমণি হিমেল দেবের সব খরচ আয়োজকেরা না দিলে তাঁর নিশ্চয়ই আর অংশগ্রহণ হতো না, পৃথিবীর ২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকত না।
টুরিং ও নেভানলিনা পদক বিজয়ী রবার্ট টারজানের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হলো। পারস্পরিক সম–আগ্রহের বিষয়ে তিনি যে আন্তরিকতার সঙ্গে আলাপ করলেন, তার কোনো তুলনা নেই, উৎসাহ জোগাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। আমাদের দেশের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াড কার্যক্রমগুলো সবারই নজর কেড়েছে। এই নামী-দামি মেধাবী মানুষেরা সবার সঙ্গেই আলাপ করছেন, সাহস দিচ্ছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে।
এ পর্যন্ত যতগুলো উপস্থাপনা হলো, সবই অত্যন্ত উপভোগ্য ছিল। এই মহামেধাবী মানুষেরা শুধু জ্ঞানের গভীরতায়ই নয়, রসবোধের সূক্ষ্মতায়ও তাঁরা অনন্য। পুরস্কার বিজয়ীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হলো, তাঁদের নানাভাবে সম্মানিত করা হলো। এই আসরে ভারত, চীন, জাপান, ইরান কিংবা ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে নেই শুধু বাংলাদেশের কেউ—তিনি দেশে বসবাসরত বা প্রবাসী—যা–ই হোন না কেন। সব আনন্দের মধ্যেও এই নিরানন্দ নিয়েই দেশে ফিরতে হবে। এই অনুভূতি নিয়ে যদি হিমেলরা দেশে ফেরেন এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, তাহলে নিশ্চয়ই আগামী দিনগুলোয় আমাদের অংশগ্রহণ অধিকতর সম্মানজনক হবে৷
মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
ফ্রাঙ্কফুর্ট পৌঁছালে বন্ধুবর মোশারফ বুলেট ট্রেনে কোলন যাওয়ার টিকিট কেটে দিল। ট্রেনে না উঠলে বুঝতেই পারতাম না যে ট্রেনটি ৩০০ কিলোমিটার বেগে চলে। সেখানে আমি কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মাইকেল জুঙ্গের ও পেত্রা মুতজেলের আমন্ত্রণক্রমে একটি সেমিনার দিয়ে ফেললাম। তবে ফোরামের উপস্থাপনা ছাড়াও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারটি অবশ্য হোটেল থেকেই দিয়েছি। দেখলাম, সেখানেও ট্রেন দেরিতে ছাড়ে। কয়েকটি ট্রেন মিস করে রাত সাড়ে নয়টায় যখন হাইডেলবার্গে পৌঁছে রেলস্টেশনে ড. জুলিয়াসকে পেলাম—যাঁর জন্মই হয়েছে সমাজকে সেবাদানের জন্য। ২০০৫ সালে যখন কিছুদিন কোরিয়ায় ছিলাম, তখন জুলিয়াস সেখানে পড়াশোনা করতেন। ২০১২ সালে যখন ছয় সদস্যের ইনফরমেটিকস দল নিয়ে এসেছি, তখন জুলিয়াস ফুসলিয়ে গোটা দলটিকেই নিজের বাসায় উঠিয়েছিলেন। পরে জানলাম, আতিথেয়তা করতে করতে জানলাম জুলিয়াসের সহধর্মিণী হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ভারতের খড়্গপুর আইআইটির পিএইচডি গবেষক তন্বী জানালেন, দেশের টাকায় ভ্রমণ, তাই তাঁকে এয়ার ইন্ডিয়ায় যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে দিল্লি যেতে হয়েছে। এটাই নিয়ম, সরকারি টাকায় ভ্রমণ হবে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে এমন নিয়ম নেই। যা হোক হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেন্যুতে গিয়ে দেখি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও গণিতের রথী–মহারথীদের আগমনে জায়গাটি আলোকিত। কার্নেগি মেলনের নামজাদা টুরিং বিজয়ী অধ্যাপক ম্যানুয়েল ব্লুম যেমন এসেছেন, তেমনি এসেছেন কুইকসর্টের আবিষ্কারক স্যার এন্থনি হোর, উইলিয়াম কাহান, ল্যাম্পোর্ট, পিটার নাউর, ইভান সাদারল্যান্ড, রবার্ট টারজান এবং কম্পিউটেশনাল কমপ্লেক্সিটির জনক স্টেফেন কুক—যাঁর আবিষ্কার ছাড়া আমার পিএইচডি করাই হতো না। আবার গণিতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ফিল্ডস মেডাল ও আবেল পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে দেখা হলো স্যার ফ্রান্সিস আতিয়াহ, ভিয়েতনামের নগ বাও চাও, জন টেট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীনিভাস ভারাধন, মঞ্জুল ভার্গাভা, ভ্লাদিমির ভায়েভুদস্কি, ওয়েন্ডিন ওয়ের্নের এবং মার্টিন হেয়ারার সঙ্গে।
এটা অনেকটা একই আসরে পেলে, বেকেনবাওয়ার, মুলার, ম্যারাডোনা, পাওলো রসি, প্লাতিনি, মেসি, রোনালদোদের সঙ্গে সাক্ষাৎ! অথবা গাভাস্কার, হ্যাডলি, ইমরান খান, মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, অ্যালান বর্ডার, ভিভ রিচার্ডস, সোবার্স, টেন্ডুলকার আর লারার সঙ্গে একই মাঠে সাক্ষাৎ! এ ছাড়া রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথমেটিকস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ইনগ্রিড দোবেচি, আবেল পুরস্কার কমিটির প্রেসিডেন্ট, এসিএমএর প্রেসিডেন্ট। তাঁদের সঙ্গে ছয় দিন কথা বলার সুযোগ পাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ দুয়েক তরুণ ছাত্র ও গবেষক, যার ১৭ থেকে ১৮ জনই ভারতের—তাও আবার অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যয় বহন করছে ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মেধাবী মানুষদের সঙ্গে মিশে ভারতের তরুণ মেধাবী গবেষকেরা একদিকে যেমন উৎসাহের বারুদ নিয়ে দেশে ফিরবেন, অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেধাবী মানুষদের মধ্যে ভারতীয়দের জ্ঞানপিপাসা সম্পর্কে শ্রেয়তর ধারণা প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের সবেধন নীলমণি হিমেল দেবের সব খরচ আয়োজকেরা না দিলে তাঁর নিশ্চয়ই আর অংশগ্রহণ হতো না, পৃথিবীর ২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকত না।
টুরিং ও নেভানলিনা পদক বিজয়ী রবার্ট টারজানের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হলো। পারস্পরিক সম–আগ্রহের বিষয়ে তিনি যে আন্তরিকতার সঙ্গে আলাপ করলেন, তার কোনো তুলনা নেই, উৎসাহ জোগাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। আমাদের দেশের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াড কার্যক্রমগুলো সবারই নজর কেড়েছে। এই নামী-দামি মেধাবী মানুষেরা সবার সঙ্গেই আলাপ করছেন, সাহস দিচ্ছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে।
এ পর্যন্ত যতগুলো উপস্থাপনা হলো, সবই অত্যন্ত উপভোগ্য ছিল। এই মহামেধাবী মানুষেরা শুধু জ্ঞানের গভীরতায়ই নয়, রসবোধের সূক্ষ্মতায়ও তাঁরা অনন্য। পুরস্কার বিজয়ীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হলো, তাঁদের নানাভাবে সম্মানিত করা হলো। এই আসরে ভারত, চীন, জাপান, ইরান কিংবা ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে নেই শুধু বাংলাদেশের কেউ—তিনি দেশে বসবাসরত বা প্রবাসী—যা–ই হোন না কেন। সব আনন্দের মধ্যেও এই নিরানন্দ নিয়েই দেশে ফিরতে হবে। এই অনুভূতি নিয়ে যদি হিমেলরা দেশে ফেরেন এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, তাহলে নিশ্চয়ই আগামী দিনগুলোয় আমাদের অংশগ্রহণ অধিকতর সম্মানজনক হবে৷
মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
No comments