৫ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করলেই নাগরিকত্ব by সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগকারীদের দেয়া হতে পারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। আর ৭৫ হাজারের বেশি বিনিয়োগকারীদের দেয়া হবে আবাসিক ভিসা (রেসিডেন্ট ভিসা)। তা ছাড়া বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য দেয়া হবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর অবকাশ ও কর মওকুফ সুবিধা। দেয়া হবে কারিগরি জ্ঞান সম্পূর্ণ বিদেশী নাগরিকদের আয়ের পর আয়কর রেয়াত সুবিধাও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এ ধরনের প্রণোদনা দেয়ার কথা বলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে বা কর অবকাশ দেয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে ১০০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ৭০, পঞ্চম বছরে ৬০, ষষ্ঠ বছরে ৫০, সপ্তম বছরে ৪০, অষ্টম বছরে ৩০, নবম বছরে ২০ ও দশম বছরে ১০ শতাংশ হারে কর মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। কর অবকাশের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর প্রাপ্ত লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) ওপর কর অব্যাহতির বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের রয়্যালিটি, ফ্রি ফো এফডিআই অ্যাকাউন্ট খোলা, এফসি অ্যাকাউন্ট খোলাসহ নানা সুবিধা দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক মওকুফ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন নির্মাণসামগ্রী ও কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনলে সেক্ষেত্রে কোনো শুল্ক রেয়াত পাওয়া যাবে না। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প ইউনিট স্থাপনের পাঁচ বছর পর্যন্ত শুধু কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিদেশী নাগরিকের আয়ের ওপর প্রদেয় করের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত রেয়াত দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বিদেশী ঋণ গ্রহণের সুবিধা দেয়া হবে। বিনিয়োগকারী কোম্পানি কর্তৃক শেয়ার হস্তান্তর থেকে প্রাপ্ত মূলধনী লাভের ওপর কর মওকুফ করার মতো প্রণোদনা দেয়া হবে। বিদেশী শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক স্থানীয় শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে শেয়ার হস্তান্তরসংক্রান্ত সুবিধা দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছে সরকার। বিদেশী বিনিয়োগকারী কর্তৃক প্রেরণযোগ্য মুনাফা আবার বিনিয়োগ করলে তা নতুন বৈদেশিক বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হবে। কোনো বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা তার বেশি বিনিয়োগ করে তবে তাকে নাগরিকত্ব দেয়া এবং ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার বা তার বেশি বিনিয়োগ করলে রেসিডেন্ট ভিসা দেয়ার কথা বিশেষ বিবেচনায় রেখেছে সরকার।
বিদেশী ডেভেলপারদেরও প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ডেভেলপারদের ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হতে পারে। ১১তম বছরে ৭০ শতাংশ, ১২তম বছরে ৩০ শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা মওকুফের চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যবহারের জন্য যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বা ক্রয় করবে সে বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১০ বছর পর্যন্ত ভ্যাট বা কর মওকুফ করা হতে পারে। ডোমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়া (ডিটিএ) থেকে পেট্রলিয়াম দ্রব্যাদি ছাড়া সব ধরনের ক্রয়ের ভ্যাট মওকুফ করা হতে পারে। সেন্ট্রাল ইফুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) স্থাপনের ক্ষেত্রে মোট খরচের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া কাস্টম ডিউটি ও অন্যান্য বিষয়েও বিশেষ প্রণোদনা দেয়া যায় কি না তা ভেবে দেখছে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল।
ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের আরো আকৃষ্ট করতে সরকার এ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে বা কর অবকাশ দেয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে ১০০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ৭০, পঞ্চম বছরে ৬০, ষষ্ঠ বছরে ৫০, সপ্তম বছরে ৪০, অষ্টম বছরে ৩০, নবম বছরে ২০ ও দশম বছরে ১০ শতাংশ হারে কর মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। কর অবকাশের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর প্রাপ্ত লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) ওপর কর অব্যাহতির বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের রয়্যালিটি, ফ্রি ফো এফডিআই অ্যাকাউন্ট খোলা, এফসি অ্যাকাউন্ট খোলাসহ নানা সুবিধা দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক মওকুফ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন নির্মাণসামগ্রী ও কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনলে সেক্ষেত্রে কোনো শুল্ক রেয়াত পাওয়া যাবে না। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প ইউনিট স্থাপনের পাঁচ বছর পর্যন্ত শুধু কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিদেশী নাগরিকের আয়ের ওপর প্রদেয় করের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত রেয়াত দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বিদেশী ঋণ গ্রহণের সুবিধা দেয়া হবে। বিনিয়োগকারী কোম্পানি কর্তৃক শেয়ার হস্তান্তর থেকে প্রাপ্ত মূলধনী লাভের ওপর কর মওকুফ করার মতো প্রণোদনা দেয়া হবে। বিদেশী শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক স্থানীয় শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে শেয়ার হস্তান্তরসংক্রান্ত সুবিধা দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছে সরকার। বিদেশী বিনিয়োগকারী কর্তৃক প্রেরণযোগ্য মুনাফা আবার বিনিয়োগ করলে তা নতুন বৈদেশিক বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হবে। কোনো বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা তার বেশি বিনিয়োগ করে তবে তাকে নাগরিকত্ব দেয়া এবং ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার বা তার বেশি বিনিয়োগ করলে রেসিডেন্ট ভিসা দেয়ার কথা বিশেষ বিবেচনায় রেখেছে সরকার।
বিদেশী ডেভেলপারদেরও প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ডেভেলপারদের ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হতে পারে। ১১তম বছরে ৭০ শতাংশ, ১২তম বছরে ৩০ শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা মওকুফের চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যবহারের জন্য যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বা ক্রয় করবে সে বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১০ বছর পর্যন্ত ভ্যাট বা কর মওকুফ করা হতে পারে। ডোমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়া (ডিটিএ) থেকে পেট্রলিয়াম দ্রব্যাদি ছাড়া সব ধরনের ক্রয়ের ভ্যাট মওকুফ করা হতে পারে। সেন্ট্রাল ইফুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) স্থাপনের ক্ষেত্রে মোট খরচের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া কাস্টম ডিউটি ও অন্যান্য বিষয়েও বিশেষ প্রণোদনা দেয়া যায় কি না তা ভেবে দেখছে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল।
ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের আরো আকৃষ্ট করতে সরকার এ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়।
No comments