যাত্রার শুরুতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল টাইটানিক
বিলাসবহুল টাইটানিক জাহাজের করুণ পরিণতির
কথা প্রায় সবারই জানা। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে
যাত্রা করার চারদিন পর উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। এতে
প্রাণ হারিয়েছিলেন দেড় হাজারেরও বেশি যাত্রী। কিন্তু নতুন তথ্য হলো,
সাউদাম্পটন থেকে যাত্রার পর দুটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগতে গিয়ে অল্পের
জন্য রক্ষা পেয়েছিল টাইটানিক। ১৫ এপ্রিলের ওই মর্মান্তিক ঘটনার ১০২ বছর পর
নতুন এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। আর তা প্রকাশ হয়েছে একটি চিঠি থেকে। গতকাল
শনিবার বিকেলে চিঠিটি নিলামে উঠেছিল। বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার ইউরোয়।
(বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৩ টাকা প্রায়) টাইটানিকের চিফ
ইঞ্জিনিয়ার জোসেফ বেল তার ছেলে ফ্রাঙ্ককে চিঠিটি লিখেছিলেন। ১১ এপ্রিল তিনি
চিঠিটি পোস্ট করেন। দুই দিন পর টাইটানিকডুবির ঘটনায় জোসেফও প্রাণ হারান।
ছেলেকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে জোসেফ লিখেছিলেন-
‘আমরা খুব ভালোভাবেই সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করেছি। সবকিছু ঠিক আছে। তবে সাউদাম্পটন ছেড়ে আসার সময় দুটি জাহাজের সাথে অল্পের জন্য ধাক্কা লাগেনি। যদি লাগল তবে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হতে হত। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা।
ইতি
তোমার বাবা জে. বেল’
চিঠিটি নিলামের সময় নিলামদার অ্যান্ড্রু অলরিজ বলেন, যদি টাইটানিক যাত্রার দ্বিতীয় দিনই ওই জাহাজ দুটির সাথে ধাক্কা লাগত তাহলে ইতিহাসটা অন্য রকম হতো। তিনি বলেন, ছয় মাস আগে আমরা ব্রিটেনের এক দম্পতির ফোন পাই। জোসেফ বেল তাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে জানান। তারা বাড়ির চিলেকোঠায় চিঠিটি পান।
ছেলেকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে জোসেফ লিখেছিলেন-
‘আমরা খুব ভালোভাবেই সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করেছি। সবকিছু ঠিক আছে। তবে সাউদাম্পটন ছেড়ে আসার সময় দুটি জাহাজের সাথে অল্পের জন্য ধাক্কা লাগেনি। যদি লাগল তবে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হতে হত। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা।
ইতি
তোমার বাবা জে. বেল’
চিঠিটি নিলামের সময় নিলামদার অ্যান্ড্রু অলরিজ বলেন, যদি টাইটানিক যাত্রার দ্বিতীয় দিনই ওই জাহাজ দুটির সাথে ধাক্কা লাগত তাহলে ইতিহাসটা অন্য রকম হতো। তিনি বলেন, ছয় মাস আগে আমরা ব্রিটেনের এক দম্পতির ফোন পাই। জোসেফ বেল তাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে জানান। তারা বাড়ির চিলেকোঠায় চিঠিটি পান।
No comments