পা-হীন লিমন: ন্যায়বিচার কত দূরে! by মশিউল আলম
ঝালকাঠির লিমন হোসেন অবশেষে নিস্তার পেল।
আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হলো, কিশোর লিমন ও
তার দরিদ্র মা-বাবা, এক ভাই ও এক বোন ‘ক্রিমিনাল’ নয়। গত বৃহস্পতিবার
ঝালকাঠির মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত ‘সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার
অভিযোগ-সম্পর্কিত’ মামলা থেকে লিমনকে অব্যাহতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত
হলো, র্যাব নামের এলিট ফোর্সের সদস্যদের কর্তব্য পালনে লিমন বাধা
দিয়েছিল—র্যাবের এই অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। কিন্তু এই মিথ্যা মামলা থেকে
অব্যাহতি পেতে অসহায় দরিদ্র কিশোরটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে সাড়ে তিন বছরেরও
বেশি সময়। হয়রানি, ভয়ভীতি, ক্লেশ ও শঙ্কা-অনিশ্চয়তার মধ্যে পেরিয়ে গেছে
তার কৈশোর। দুশ্চিন্তায় ও মানসিক পীড়নে রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেননি তার
মা হেনোয়ারা বেগম ও বাবা তোফাজ্জেল হোসেন। কারণ শুধু এই ছিল না যে
র্যাবের গুলিতে তাঁদের কিশোর ছেলেটি একটা পা হারিয়ে চিরতরে ‘পঙ্গু’ হয়ে
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েছে। তাঁদের দুশ্চিন্তা, ভীতি, মানসিক পীড়নের
কারণ এও ছিল যে তাঁদের বিরুদ্ধে শত্রুর রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে খোদ
রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্র অসহায়ের সহায় হবে, দুর্বলের পাশে দাঁড়াবে বলে
প্রত্যাশা করা হয়।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামে নিজের বাড়ির অদূরে গরু চরানোর সময় র্যাবের একজন উপসহকারী পরিচালকের (ডিএডি) হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লিমন প্রাণ হারায়নি বটে। কিন্তু র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ যারা মরে গিয়ে বাঁচে, এক অর্থে তাদের থেকে অনেক কঠিন ও দুর্বহ জীবনসংগ্রাম শুরু হয় লিমন ও তার পরিবারের। কারণ, র্যাবের সদস্যরা লিমনকে পা-হীন করেই ক্ষান্ত হন না, তার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। একটি মামলার অভিযোগ, লিমন দুর্বৃত্ত, একজন অবৈধ অস্ত্রধারী। অন্য মামলায় র্যাব অভিযোগ করে, ঘটনার দিন লিমন তাদের সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছিল। শুধু মামলা নয়, র্যাব ও সরকারের দায়িত্বশীল নেতারা প্রচারণা চালাতে থাকেন যে লিমন একটা সন্ত্রাসী। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাও বলেছিলেন, শুধু লিমন নয়, তার গোটা পরিবার সন্ত্রাসী। কিন্তু সেসব মিথ্যা প্রচারণায় কাজ হয়নি। জনসাধারণ র্যাব ও সরকারের নেতাদের অবিশ্বাস্য কথাগুলো বিশ্বাস করেনি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বৃহত্তর নাগরিক সমাজ প্রবল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। তারা ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে লিমনের শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন। হাইকোর্টের বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দিয়ে লিমনকে দেখে বলেছেন, ‘এ তো বাচ্চা ছেলে!’ সংবাদমাধ্যমে দিনের পর দিন লিমনকে নিয়ে প্রতিবেদন, নিবন্ধ, বিবৃতি ছাপা হয়েছে। এসবের ফলে সরকারের ওপর জনমতের যে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি বলে যদি ধরা যায়, তবে অনেক বিলম্বে হলেও তা খানিকটা স্বস্তি এনে দেয়। কারণ, লিমন ও তার দরিদ্র পরিবারের জন্য র্যাবের দায়ের করা মামলা দুটি ছিল বিরাট দুর্ভোগ ও দুশ্চিন্তার বিষয়। র্যাবের মতো ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে, এমনটি তারা কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। ২০১২ সালে সাতুরিয়া গ্রামে লিমনদের বাড়ি গেলে তার মা হেনোয়ারা বেগম দুশ্চিন্তাক্লিষ্ট দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, র্যাবের সঙ্গে কি আমরা পারব?’ কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামে নিজের বাড়ির অদূরে গরু চরানোর সময় র্যাবের একজন উপসহকারী পরিচালকের (ডিএডি) হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লিমন প্রাণ হারায়নি বটে। কিন্তু র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ যারা মরে গিয়ে বাঁচে, এক অর্থে তাদের থেকে অনেক কঠিন ও দুর্বহ জীবনসংগ্রাম শুরু হয় লিমন ও তার পরিবারের। কারণ, র্যাবের সদস্যরা লিমনকে পা-হীন করেই ক্ষান্ত হন না, তার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। একটি মামলার অভিযোগ, লিমন দুর্বৃত্ত, একজন অবৈধ অস্ত্রধারী। অন্য মামলায় র্যাব অভিযোগ করে, ঘটনার দিন লিমন তাদের সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছিল। শুধু মামলা নয়, র্যাব ও সরকারের দায়িত্বশীল নেতারা প্রচারণা চালাতে থাকেন যে লিমন একটা সন্ত্রাসী। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাও বলেছিলেন, শুধু লিমন নয়, তার গোটা পরিবার সন্ত্রাসী। কিন্তু সেসব মিথ্যা প্রচারণায় কাজ হয়নি। জনসাধারণ র্যাব ও সরকারের নেতাদের অবিশ্বাস্য কথাগুলো বিশ্বাস করেনি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বৃহত্তর নাগরিক সমাজ প্রবল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। তারা ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে লিমনের শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন। হাইকোর্টের বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দিয়ে লিমনকে দেখে বলেছেন, ‘এ তো বাচ্চা ছেলে!’ সংবাদমাধ্যমে দিনের পর দিন লিমনকে নিয়ে প্রতিবেদন, নিবন্ধ, বিবৃতি ছাপা হয়েছে। এসবের ফলে সরকারের ওপর জনমতের যে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি বলে যদি ধরা যায়, তবে অনেক বিলম্বে হলেও তা খানিকটা স্বস্তি এনে দেয়। কারণ, লিমন ও তার দরিদ্র পরিবারের জন্য র্যাবের দায়ের করা মামলা দুটি ছিল বিরাট দুর্ভোগ ও দুশ্চিন্তার বিষয়। র্যাবের মতো ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে, এমনটি তারা কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। ২০১২ সালে সাতুরিয়া গ্রামে লিমনদের বাড়ি গেলে তার মা হেনোয়ারা বেগম দুশ্চিন্তাক্লিষ্ট দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, র্যাবের সঙ্গে কি আমরা পারব?’ কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মিথ্যা মামলাই প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রসংক্রান্ত মামলাটি থেকে লিমনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এক বছর আগে, দ্বিতীয় মামলাটি থেকে তার অব্যাহতি পেতে এক বছর বিলম্ব হলো সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারকের অভাবে। তবে শেষ পর্যন্ত যে লিমন দুটি মামলা থেকেই অব্যাহতি পেল, সেটা স্বস্তির বিষয়। কিন্তু এই স্বস্তির মধ্য দিয়ে পুরো ঘটনাটির অবসান ঘটছে না। বৃহস্পতিবার শেষ মামলাটি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর লিমন বিবিসি বাংলাকে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছে, সে খুশি নয়। শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে আমি যখন তাকে পাই, তখন সে আমাকে বলে, ঝালকাঠির ওই আদালতকক্ষে বিচারক যে মুহূর্তে বললেন যে লিমনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো, তৎক্ষণাৎ তার মনে পড়েছে তার হারানো বাঁ পা’টির কথা। মুঠোফোনে লিমনের কণ্ঠ ভারী শোনাচ্ছিল, সে বলেছিল, ‘সাথে সাথে আমার চোখ চলে গেছে পায়ের দিকে। আমার মনে হচ্ছিল, বিচারক যদি বলতেন, লিমন নির্দোষ, সে তার পা ফিরে পাবে!’ এটুকু বলেই সে থেমে গেল। কিন্তু একজন বিচারক কেন, এ দেশের ১৫ কোটি মানুষও যদি সমস্বরে দাবি জানায়, লিমনকে তার পা’টি ফিরিয়ে দেওয়া হোক, আমাদের এলিট বাহিনী র্যাব, তার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সর্বময় ক্ষমতাধর সরকারের কি সাধ্য আছে তা করার? নেই যে লিমন তা বোঝে। তার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে যে অংশটি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের শল্যচিকিৎসকেরা সাড়ে তিন বছর আগে কেটে ফেলে দিয়েছেন, তা যে আর এ জীবনে ফিরে পাওয়ার নয়—এই নিষ্করুণ সত্যের চেয়ে বড় সত্য তার জীবনে আর নেই। তাই আমি যখন তাকে বলি, যা হারিয়ে গেছে তা নিয়ে আর দুঃখ করে কী হবে, তখন সে বলে, ‘তবু তো এটাই সত্য যে রাষ্ট্রের একটা বাহিনী বিনা দোষে আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।’
এরপর লিমনকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খোঁজা অর্থহীন।
লিমনের শেষ বাক্যটির ‘বিনা দোষে’ কথাটা লক্ষ করা জরুরি। সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে র্যাব ও সরকার গোটা জাতিকে বোঝাতে চেয়েছে লিমন সন্ত্রাসী, আর অন্য পক্ষে লিমনের পরিবারের সংগ্রাম ছিল এটা প্রমাণ করা যে সে নিরপরাধ। আমি যখন লিমনের স্কুলে যাই, তখন সে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আশপাশের দোকানি ও গ্রামের লোকজন বলেন, লিমন ভালো ছেলে। র্যাব তাকে গুলি করেছে বিনা দোষে। অর্থাৎ র্যাব ও সরকারের পক্ষ থেকে যেমন, তেমনই লিমন, তার পরিবার ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও এমন একটা দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটে যে কেউ ক্রিমিনাল হলে র্যাব বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তাকে গুলি করার মধ্যে খারাপ কিছু নেই। লিমন যেহেতু ক্রিমিনাল নয়, তাই তাকে গুলি করে র্যাব অন্যায় করেছে। র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে ‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ইত্যাদি নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এই সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিই সবচেয়ে বড় সমস্যা ও বিপদ। বৃহস্পতিবার লিমনের মামলা থেকে অব্যাহতির পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলায় মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, র্যাব একজন সন্ত্রাসীকে ধরতে গিয়ে লিমনকে গুলি করেছিল ভুল করে। অর্থাৎ, র্যাবের অপরাধ দমনের এ ব্যবস্থাটির মধ্যেই এমন মারাত্মক বিপদের ঝুঁকি নিহিত আছে যে ১৫ বছরের একটি কিশোর রোদঝলমলে বিকেলে খোলা আকাশের নিচে গরু আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। (যদিও লিমন নিজে আমাকে বলেছে, র্যাবের সদস্যরা যখন তাকে ধরে বলেন, তুই সন্ত্রাসী, তখন সে তাঁদের একজনের পা চেপে ধরে বলেছিল, স্যার, আমি স্টুডেন্ট। কিন্তু ওই র্যাব সদস্য তার কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে তাকে টেনে তুলে তার বাঁ পায়ের হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছিল।) আর এ রকম ‘ভুল’ করে র্যাব সদস্যরা যদি জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থেকে যেতে পারেন, উপরন্তু ওই রকম ‘ভুল’কারী র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে যদি গোটা প্রতিষ্ঠান ও সরকার তাঁদের রক্ষা করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই তৎপর হয়, তাহলে বিপদ ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। এভাবেই সম্ভবত র্যাব সদস্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটনের প্রবণতা সৃষ্টি হতে পেরেছে।
র্যাবের মিথ্যা মামলা থেকে লিমনের অব্যাহতি তাকে ও তার পরিবারকে স্বভাবতই খুশি করতে পারেনি। কারণ, তাদের মূল চাওয়া ন্যায়বিচার: লিমন যে অপরাধের শিকার হয়েছে, তার বিরুদ্ধে বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি। কিন্তু লিমনের মা র্যাবের যে ছয় সদস্যকে আসামি করে মামলা করেছেন, পুলিশ তাঁদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এর মানে কী? ওই র্যাব সদস্যরা লিমনকে গুলি করেননি? তাহলে লিমন পা হারিয়েছে কীভাবে?
লিমনের মা পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছেন। সেটাও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার আসলে কী চায়। লিমনকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে সরকার যদি মনে করে, একটা মহান কাজ করা হলো, তাহলে ভুল হবে। অথবা সরকার যদি এটা মনে করে যে লিমনকে সব মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার মধ্য দিয়েই এ অধ্যায়টির পরিসমাপ্তি ঘটবে, তাহলে সেটা হবে অন্যায়। র্যাবের অপরাধ দমন ব্যবস্থার মৌলিক ত্রুটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে লিমনের ঘটনাটি যেমন দৃষ্টান্তমূলক, তেমনই দৃষ্টান্তমূলক হওয়া উচিত এর আইনি প্রতিকার।
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
No comments