ফের কমলো পোশাক রপ্তানি
দেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আবারও কমলো। নতুন অর্থবছরের (২০১৪-১৫) তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরেও পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ধারায় চলে এসেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২০০ কোটি ডলার মূল্যের। যেখানে গত বছরের একই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২০৪ কোটি ডলার মূল্যের তৈরী পোশাক। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ২.০৬ শতাংশ। গত বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪১.৫৮ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ প্রতিবেদেন গতকাল প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদেনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, পোশাক রপ্তানির বিপর্যয়কর সময় অব্যাহত রয়েছে। ফলে অর্জন করতে পারছে না লক্ষ্যমাত্রা। এভাবে চলতে থাকলে এ বিপর্যয় আরও চরমে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ ছাড়া একের পর এক অঘটন দেশের তৈরী পোশাক খাতকে পিছিয়ে দেবে বলে মনে করেন তারা। তবে ইপিবি’র চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যানের গড় হিসাব করলে দেখা যায়, রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে মাত্র ০.৪৭ শতাংশ বেশি হয়। তবে আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তা ৩.৭৭ শতাংশ কম। জুলাই-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৬২৩ কোটি ডলারের তৈরী পোশাক রপ্তানি হয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার সমান।
বিজিএমইএ’র হালনাগাদ মাসিক রপ্তানি প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে ৬২৩ কোটি ৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার (গেঞ্জি, সোয়েটার) পোশাক রপ্তানি থেকে ১০৬ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ০.৫৫ শতাংশ বেশি। তবে ওভেন (শার্ট-প্যান্ট) পোশাক রপ্তানি করে আয় হছেয়ে ৯৩ কোটি ৩ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৮৭ শতাংশ কম। গত বছর আয় হয়েছিল ৯৮ কোটি ৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে গত তিন মাসে দেশের মোট পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৭৬৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এই আয় আলোচ্য সময়ের ৮০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৮৭ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের চেয়ে এটা ০.৮৮ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয় ১.৩৭ শতাংশ। আর প্রথম দুই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ২ শতাংশ। ইপিবি তথ্যে দেখা যায়, তৈরী পোশাকে সামান্য প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, টেরিটাওয়াল, প্রকৌশল পণ্য, বিশেষায়িত টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছসহ বেশকিছু পণ্যে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ৩০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২.৩৯ শতাংশ বেশি। এই ৩০ কোটি ডলারের মধ্যে ১০ কোটি ৯২ লাখ ডলারের চামড়া, ৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্য, ১৪ কোটি ডলারের পাদুকা রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যে ১৯ কোটি, হোম টেক্সটাইলে ১৮ কোটি, টেরিটাওয়ালে ১ কোটি, বাইসাইকেলে ৩ কোটি ৪৬ লাখ, প্লাস্টিকে ২ কোটি ৭৩ লাখ, প্রকৌশল পণ্যে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এদিকে কেবল গত সেপ্টেম্বরে ২৫৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা আলোচ্য সময়ের ২৩৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৮.৯১ শতাংশ বেশি। তবে এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১.৪৪ শতাংশ কম। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলার রপ্তানি আয় অর্জিত হয়। বিজিএমইএ সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, গত বছর অস্থিতিশীলতার কারণে কিছু ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে গেছে। কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমনিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটও রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ। তিনি বলেন, দেশে যখন রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল ছিল তখন আগের রপ্তানি অর্ডারগুলো ইপিবির হালনাগদ তথ্যে দেখানোয় আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন ওই সময়ের অস্থিতিশীল রাজনীতির ফলাফল দেশের পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ অবস্থা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বিজিএমইএ’র হালনাগাদ মাসিক রপ্তানি প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে ৬২৩ কোটি ৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার (গেঞ্জি, সোয়েটার) পোশাক রপ্তানি থেকে ১০৬ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ০.৫৫ শতাংশ বেশি। তবে ওভেন (শার্ট-প্যান্ট) পোশাক রপ্তানি করে আয় হছেয়ে ৯৩ কোটি ৩ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৮৭ শতাংশ কম। গত বছর আয় হয়েছিল ৯৮ কোটি ৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে গত তিন মাসে দেশের মোট পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৭৬৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এই আয় আলোচ্য সময়ের ৮০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৮৭ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের চেয়ে এটা ০.৮৮ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয় ১.৩৭ শতাংশ। আর প্রথম দুই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ২ শতাংশ। ইপিবি তথ্যে দেখা যায়, তৈরী পোশাকে সামান্য প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, টেরিটাওয়াল, প্রকৌশল পণ্য, বিশেষায়িত টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছসহ বেশকিছু পণ্যে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ৩০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২.৩৯ শতাংশ বেশি। এই ৩০ কোটি ডলারের মধ্যে ১০ কোটি ৯২ লাখ ডলারের চামড়া, ৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্য, ১৪ কোটি ডলারের পাদুকা রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যে ১৯ কোটি, হোম টেক্সটাইলে ১৮ কোটি, টেরিটাওয়ালে ১ কোটি, বাইসাইকেলে ৩ কোটি ৪৬ লাখ, প্লাস্টিকে ২ কোটি ৭৩ লাখ, প্রকৌশল পণ্যে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এদিকে কেবল গত সেপ্টেম্বরে ২৫৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা আলোচ্য সময়ের ২৩৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৮.৯১ শতাংশ বেশি। তবে এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১.৪৪ শতাংশ কম। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলার রপ্তানি আয় অর্জিত হয়। বিজিএমইএ সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, গত বছর অস্থিতিশীলতার কারণে কিছু ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে গেছে। কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমনিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটও রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ। তিনি বলেন, দেশে যখন রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল ছিল তখন আগের রপ্তানি অর্ডারগুলো ইপিবির হালনাগদ তথ্যে দেখানোয় আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন ওই সময়ের অস্থিতিশীল রাজনীতির ফলাফল দেশের পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ অবস্থা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
No comments