স্মরণ- প্রফেসর আর আই চৌধুরী by মীযানুল করীম
আজ ১৩ অক্টোবর। প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর আর আই চৌধুরী ২০০৮ সালের এ দিনে ৭৮ বছর বয়সে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে অসুস্থ ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে দাফন করা হয়। ড. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী তার পুরো নাম। তিনি বর্তমান ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার গুথুমা গ্রামের বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের সন্তান। দেশবিখ্যাত ভাইবোন হাবীবুল্লাহ বাহার ও শামসুন নাহার মাহমুদসহ অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের পৈতৃক নিবাস এই বাড়ি। ড. আর আই চৌধুরী ছিলেন ভাষাসৈনিক। ষাটের দশকে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সংগ্রামে যেসব বুদ্ধিজীবী সম্পৃক্ত ছিলেন, তিনি তাদের অন্যতম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর আর আই চৌধুরী ১৯৫৬ সালে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ষাটের দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন শেষে সে দেশের অরিগন, বোস্টন ও হাওয়াইসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। পরের বছরই দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবগঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজনীতিবিজ্ঞান’ বিভাগ গড়ে তোলার। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সুদীর্ঘ কর্মজীবনের একপর্যায়ে ১৯৯১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এ ছাড়া এক যুগের মতো ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। প্রক্টর এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যও ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়ে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমৃত্যু ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের সহপাঠী ও বন্ধু। নামের আদ্যাক্ষর আর আই সি সহযোগে তিনি সংক্ষেপে ‘রিক’ নামেও অভিহিত হতেন।
ড. আর আই চৌধুরীর ইন্তেকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শোকবার্তায় বলেছিলেন, অধ্যাপক চৌধুরী বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষক হারাল। জাতি গঠনে তার অবদান হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করে উল্লেখ করেছিল, এই প্রিয় শিক্ষকের ইন্তেকালে দেশ ও জাতির উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, একসময়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জোরালো প্রবক্তা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর শাসক দলের ব্যর্থতা ও কুশাসন এবং একদলীয় ব্যবস্থা চালুর প্রেক্ষাপটে তার চিন্তাচেতনায় পরিবর্তন আসে। এরপর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর আর আই চৌধুরী ১৯৫৬ সালে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ষাটের দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন শেষে সে দেশের অরিগন, বোস্টন ও হাওয়াইসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। পরের বছরই দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবগঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজনীতিবিজ্ঞান’ বিভাগ গড়ে তোলার। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সুদীর্ঘ কর্মজীবনের একপর্যায়ে ১৯৯১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এ ছাড়া এক যুগের মতো ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। প্রক্টর এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যও ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়ে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমৃত্যু ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের সহপাঠী ও বন্ধু। নামের আদ্যাক্ষর আর আই সি সহযোগে তিনি সংক্ষেপে ‘রিক’ নামেও অভিহিত হতেন।
ড. আর আই চৌধুরীর ইন্তেকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শোকবার্তায় বলেছিলেন, অধ্যাপক চৌধুরী বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষক হারাল। জাতি গঠনে তার অবদান হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করে উল্লেখ করেছিল, এই প্রিয় শিক্ষকের ইন্তেকালে দেশ ও জাতির উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, একসময়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জোরালো প্রবক্তা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর শাসক দলের ব্যর্থতা ও কুশাসন এবং একদলীয় ব্যবস্থা চালুর প্রেক্ষাপটে তার চিন্তাচেতনায় পরিবর্তন আসে। এরপর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী।
No comments