ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট -জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে স্কটল্যান্ড
ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি
দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব
কমনসের সদস্যরা। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল সোমবার
অনুষ্ঠিত ওই ভোটাভুটির ফল যুক্তরাজ্যের দাপ্তরিক নীতির ওপর কোনো প্রভাব
ফেলবে না। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ফলের প্রতীকী মূল্য রয়েছে।
৬৫০ সদস্যবিশিষ্ট হাউস অব কমনসে অনুষ্ঠিত এই ভোটাভুটিতে অর্ধেকেরও কম সংখ্যক এমপি অংশ নেন। প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ২৭৪ ভোট। বিপক্ষে ১২ ভোট। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ সরকারের মন্ত্রীরা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। সমঝোতার ভিত্তিতে দুই রাষ্ট্র সমাধান নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার উদ্দেশে হাউস অব কমনস এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী টবিয়াস এলউড বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ‘উপযুক্ত’ সময়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার অধিকার ব্রিটেনের রয়েছে। হাউস অব কমনসে এই ভোটাভুটির উদ্যোগ নেন বিরোধী দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা গ্রাহাম মরিস। তা কিছুটা সংশোধন করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র।
লেবার পার্টির নেতারা এই উদ্যোগের পক্ষে ভোট দিতে বলেন। অন্য দলগুলো নিজেদের আইনপ্রণেতাদের নিজস্ব বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। আইনপ্রণেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন কি না।
ভোটের এই ফলে তেমন কোনো কাজ হবে না। কারণ ভোটের ফল মানা বাধ্যতামূলক নয়। এই ফল যুক্তরাজ্যের দাপ্তরিক নীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটা মধ্যপ্রাচ্য-সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক অবস্থান বদলাতেও সরকারকে বাধ্য করবে না।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না যুক্তরাজ্য। তবে দেশটি বলে আসছে, তারা যেকোনো সময়ই তা করতে পারে। কিন্তু, তার আগে এটা মনে হতে হবে যে, এ ধরনের পদক্ষেপ ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য উপকারী হবে।
২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্বের শতাধিক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
৬৫০ সদস্যবিশিষ্ট হাউস অব কমনসে অনুষ্ঠিত এই ভোটাভুটিতে অর্ধেকেরও কম সংখ্যক এমপি অংশ নেন। প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ২৭৪ ভোট। বিপক্ষে ১২ ভোট। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ সরকারের মন্ত্রীরা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। সমঝোতার ভিত্তিতে দুই রাষ্ট্র সমাধান নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার উদ্দেশে হাউস অব কমনস এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী টবিয়াস এলউড বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ‘উপযুক্ত’ সময়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার অধিকার ব্রিটেনের রয়েছে। হাউস অব কমনসে এই ভোটাভুটির উদ্যোগ নেন বিরোধী দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা গ্রাহাম মরিস। তা কিছুটা সংশোধন করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র।
লেবার পার্টির নেতারা এই উদ্যোগের পক্ষে ভোট দিতে বলেন। অন্য দলগুলো নিজেদের আইনপ্রণেতাদের নিজস্ব বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। আইনপ্রণেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন কি না।
ভোটের এই ফলে তেমন কোনো কাজ হবে না। কারণ ভোটের ফল মানা বাধ্যতামূলক নয়। এই ফল যুক্তরাজ্যের দাপ্তরিক নীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটা মধ্যপ্রাচ্য-সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক অবস্থান বদলাতেও সরকারকে বাধ্য করবে না।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না যুক্তরাজ্য। তবে দেশটি বলে আসছে, তারা যেকোনো সময়ই তা করতে পারে। কিন্তু, তার আগে এটা মনে হতে হবে যে, এ ধরনের পদক্ষেপ ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য উপকারী হবে।
২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্বের শতাধিক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে হবে: স্কটল্যান্ড
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে স্কটল্যান্ড।
গতকাল সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডনে ফিলিস্তিনের দূতাবাস খোলার অনুমতি দিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্কটল্যান্ড।
স্কটল্যান্ডের বৈদেশিক সম্পর্ক-বিষয়ক মন্ত্রী হুমজা ইউসাফ বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, যাতে তারা যুক্তরাজ্যে নিজস্ব দূতাবাস খুলতে পারে।’
গতকাল হাউস অব কমন্সে এ বিষয়ে বিতর্ক ও ভোটাভুটির প্রাক্কালে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান ইউসাফ।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের কাছে লেখা এক চিঠিতে স্কটল্যান্ডে ফিলিস্তিনের কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে স্কটিশ সরকারের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন ইউসাফ। একই সঙ্গে লন্ডনে ফিলিস্তিনের একটি দূতাবাস খোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউসাফ বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল—এই দুই রাষ্ট্রের সমাধানকে পুরোপুরি সমর্থন করে স্কটিশ সরকার।
এর আগে যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যারনেস সাইয়েদা ভার্সি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
গতকাল সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডনে ফিলিস্তিনের দূতাবাস খোলার অনুমতি দিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্কটল্যান্ড।
স্কটল্যান্ডের বৈদেশিক সম্পর্ক-বিষয়ক মন্ত্রী হুমজা ইউসাফ বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, যাতে তারা যুক্তরাজ্যে নিজস্ব দূতাবাস খুলতে পারে।’
গতকাল হাউস অব কমন্সে এ বিষয়ে বিতর্ক ও ভোটাভুটির প্রাক্কালে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান ইউসাফ।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের কাছে লেখা এক চিঠিতে স্কটল্যান্ডে ফিলিস্তিনের কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে স্কটিশ সরকারের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন ইউসাফ। একই সঙ্গে লন্ডনে ফিলিস্তিনের একটি দূতাবাস খোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউসাফ বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল—এই দুই রাষ্ট্রের সমাধানকে পুরোপুরি সমর্থন করে স্কটিশ সরকার।
এর আগে যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যারনেস সাইয়েদা ভার্সি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
No comments