এমপির ক্ষমতার দাপট -দেশ কি নৈরাজ্যের কবলে পড়েছে
সরকারি দলের নেতারা নানা ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের জন্ম দিয়ে আসছেন। পুলিশ, শিক্ষক এবং প্রশাসনের লোকেরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি। এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও পিছিয়ে নেই। সর্বশেষ, ভাঙা রাস্তা কেন ঠিক করেন নাÑ এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এমপির নির্দেশে তিন যুবককে থানায় নেয়া হয়। রাজশাহী-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্যকে রাস্তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার অভিযোগে তারই নির্দেশে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এই জিজ্ঞাসাকে জবাবদিহিতার বিষয় না ভেবে কটূক্তি ধরে নিয়ে তাদের হয়রানি ও শায়েস্তা করার উদ্যোগ নিলেন সংসদ সদস্য। থানার ওসি জানালেন, সংসদ সদস্যকে কটূক্তি করায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তাদের আটক করা হয়েছে, এমনটি ঠিক নয়। তারা মতাসীন দলেরই লোক। তাদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। কিছুণ পরই তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। নিজ থানা এলাকার বাইরে গিয়ে আটক করে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে অতি উৎসাহী ওসি বললেন, খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় পুঠিয়া থানা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থলের আশপাশেই ছিল। তবে দুর্গাপুর থানা পুলিশ আগে যাওয়ায় তারাই ওই তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে।
সংসদ সদস্য নিজেও স্বীকার করেছেন, তাকে কটূক্তি করার দায়ে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আমি পুলিশকে বলেছি, তাদের ব্যাপারে আইনি কোনো পদপে নেয়ার দরকার নেই। একটু শাসন করে ছেড়ে দিলেই হবে। আটকেরা দলীয় লোক নয় বলেও দাবি করেন তিনি। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ভোগের শিকার হওয়ায় যুবকেরা রাস্তা ঠিক করার কথা বলতেই পারেন। তাই বলে ক্ষমতার জোর খাটানোর বিষয়টি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে একেবারেই সাংঘর্ষিক।
এমনিতেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। তার ওপর বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জনগণকে এভাবে শাসাতে শুরু করলে দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎই শুধু অনিশ্চিত হয়ে পড়বে না, জনগণ একধরনের প্রচ্ছন্ন একনায়কতন্ত্রের নিগড়ে বন্দী হয়ে পড়বে। ক্ষমতা দেখানোর এই মহড়া জাতীয় জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আইনের শাসনকে অনিশ্চিত করে দিচ্ছে। নির্বাচিত কোনো সদস্য কখনো এমন আচরণ করতে পারেন না। তাই জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই এসব মন্দ কাজ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা মনে করি পুলিশি বাড়াবাড়ি, একজন অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার আইনের অপপ্রয়োগ এবং সংসদ সদস্যের ক্ষমতার দাপট দেখানোর এমন দৃষ্টান্ত নাগরিক অধিকার ুণœ করল কি না তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের নীতিনিষ্ঠ ভূমিকাই জনগণ প্রত্যাশা করে।
সংসদ সদস্য নিজেও স্বীকার করেছেন, তাকে কটূক্তি করার দায়ে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আমি পুলিশকে বলেছি, তাদের ব্যাপারে আইনি কোনো পদপে নেয়ার দরকার নেই। একটু শাসন করে ছেড়ে দিলেই হবে। আটকেরা দলীয় লোক নয় বলেও দাবি করেন তিনি। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ভোগের শিকার হওয়ায় যুবকেরা রাস্তা ঠিক করার কথা বলতেই পারেন। তাই বলে ক্ষমতার জোর খাটানোর বিষয়টি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে একেবারেই সাংঘর্ষিক।
এমনিতেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। তার ওপর বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জনগণকে এভাবে শাসাতে শুরু করলে দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎই শুধু অনিশ্চিত হয়ে পড়বে না, জনগণ একধরনের প্রচ্ছন্ন একনায়কতন্ত্রের নিগড়ে বন্দী হয়ে পড়বে। ক্ষমতা দেখানোর এই মহড়া জাতীয় জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আইনের শাসনকে অনিশ্চিত করে দিচ্ছে। নির্বাচিত কোনো সদস্য কখনো এমন আচরণ করতে পারেন না। তাই জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই এসব মন্দ কাজ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা মনে করি পুলিশি বাড়াবাড়ি, একজন অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার আইনের অপপ্রয়োগ এবং সংসদ সদস্যের ক্ষমতার দাপট দেখানোর এমন দৃষ্টান্ত নাগরিক অধিকার ুণœ করল কি না তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের নীতিনিষ্ঠ ভূমিকাই জনগণ প্রত্যাশা করে।
No comments