লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ -আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি
মহানবী সা: ও হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডিয়ামের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্মের অবমাননা ও কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুুভূতিতে আঘাত দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আবদুুল লতিফ সিদ্দিকীর গর্হিত মন্তব্যের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তাতে তাকে মন্ত্রিসভায় রাখার কোনো সুযোগ ছিল না। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির জন্য তিনি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ফলে তাকে মন্ত্রিসভা ও দলীয় পদ থেকে সরানো ক্ষমতাসীন দলের একটি সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এটা। তাকে সরিয়ে দেয়া না হলে ক্ষমতাসীনদের রাজনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হতো।
মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী অপরাধ করেছেন। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার করা সম্ভব। ধর্মের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের কারণে সাধারণ মানুষ তার বিচার দাবি করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি; বরং আমরা গণমাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য দেখছি। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখন প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি প্রয়োজনে ধর্মদ্রোহী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে তিনি সরে আসবেন না। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্তও নন। অর্থাৎ লতিফ সিদ্দিকী জেনেবুঝেই ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস ও মহানবী সা:-কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এখন সরকারের উচিত হবে তাকে আইনের আওতায় আনা।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দাবি করে থাকেন লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। দল বা সরকার তার কোনো দায় নেবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী হওয়ায় এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার সাহস পেয়েছেন। এ ছাড়া এর আগেও তিনি এ ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। এমনকি ধর্মবিরোধী বক্তব্য রাখার পরও এ দেশে অনেকে ক্ষমতাসীন দল ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সমর্থন পেয়েছেন। ভুলে গেলে চলবে না, শাহবাগকেন্দ্রিক কিছু ধর্মবিরোধী তরুণকে নানাভাবে সমর্থন দেয়া হয়েছিল। মহানবী সা:-কে নিয়ে ব্লগে কুৎসিত রচনা লেখার কারণে একজন অভিযুক্তকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ’ বলে সংসদে বক্তব্য রাখা হয়েছিল। এসবের ধারাবাহিকতায় লতিফ সিদ্দিকীর মতো একজন সিনিয়র মন্ত্রীও এ ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন। তার এই বক্তব্য যেকোনো ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। সরকার বিষয়টি অনুমান করতে পেরে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
কিন্তু আমরা মনে করি, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া কিংবা দলের পদ থেকে সরিয়ে দেয়াই যথেষ্ট নয়। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একই সাথে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধর্মবিরোধী ব্যক্তিদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার নীতি থেকে সরে আসতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমেই কেবল সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী অপরাধ করেছেন। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার করা সম্ভব। ধর্মের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের কারণে সাধারণ মানুষ তার বিচার দাবি করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি; বরং আমরা গণমাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য দেখছি। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখন প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি প্রয়োজনে ধর্মদ্রোহী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে তিনি সরে আসবেন না। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্তও নন। অর্থাৎ লতিফ সিদ্দিকী জেনেবুঝেই ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস ও মহানবী সা:-কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এখন সরকারের উচিত হবে তাকে আইনের আওতায় আনা।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দাবি করে থাকেন লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। দল বা সরকার তার কোনো দায় নেবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী হওয়ায় এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার সাহস পেয়েছেন। এ ছাড়া এর আগেও তিনি এ ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। এমনকি ধর্মবিরোধী বক্তব্য রাখার পরও এ দেশে অনেকে ক্ষমতাসীন দল ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সমর্থন পেয়েছেন। ভুলে গেলে চলবে না, শাহবাগকেন্দ্রিক কিছু ধর্মবিরোধী তরুণকে নানাভাবে সমর্থন দেয়া হয়েছিল। মহানবী সা:-কে নিয়ে ব্লগে কুৎসিত রচনা লেখার কারণে একজন অভিযুক্তকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ’ বলে সংসদে বক্তব্য রাখা হয়েছিল। এসবের ধারাবাহিকতায় লতিফ সিদ্দিকীর মতো একজন সিনিয়র মন্ত্রীও এ ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন। তার এই বক্তব্য যেকোনো ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। সরকার বিষয়টি অনুমান করতে পেরে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
কিন্তু আমরা মনে করি, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া কিংবা দলের পদ থেকে সরিয়ে দেয়াই যথেষ্ট নয়। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একই সাথে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধর্মবিরোধী ব্যক্তিদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার নীতি থেকে সরে আসতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমেই কেবল সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
No comments