আইএসের হাতে ইরাকের হিত শহরের পতন -যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে তুরস্ক সম্মত
আনবার প্রদেশের হিত শহরের ওপর ইসলামি স্টেটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শহরের কাছাকাছি বিমান ঘাঁটিতে ইরাকি সৈন্যদের সরিয়ে নেয়ার পর তারা এ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। পুলিশের একজন কর্নেল এ কথা বলেন। এদিকে তুরস্ক আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে তার বিমানঘাটি ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারি বাহিনীর প্রতি শিয়া মিলিশিয়াদের সমর্থন আইএসের অগ্রাভিযান ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে লড়াই চলার পর ইরাকি বাহিনী আনবার প্রদেশের তাদের শেষ এই ঘাঁটি থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে গ্রুপটি শহরটির ওপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। বাগদাদের নিরাপত্তা সূত্র এ খবর জানায়।
প্রাদেশিক রাজধানী রামাদিতে পুলিশের কর্নেলের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, আসাদ বিমান ঘাঁটিটি রক্ষায় সহায়তা করতে শত শত সৈন্যকে হিত থেকে প্রত্যাহার ও অন্যত্র মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সেনা কর্মকর্তারা বলেন, আইএসের হামলার শিকার সৈন্যদের হিত থেকে প্রত্যাহার করে আসাদ বিমান ঘাঁটি রক্ষা করা হবে অনেক উত্তম। হিত শহরের শতভাগ এখন আইএসের দখলে।
সম্প্রতি সপ্তাহগুলোতে ইরাকি বাহিনী আনবারে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একের পর এক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রাদেশিক রাজধানী রামাদিতে বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আলজাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান বাগদাদ থেকে জানান, হিতের পতনের পর নিকটবর্তী শহর আমিরি হুমকির মধ্যে পড়েছে। আমিরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর, এটি বাগদাদসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে আনবারের সরবরাহ পাঠানোর প্রধান সড়কে অবস্থিত।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস এ কথা জানিয়েছেন।
নতুন এই সমঝোতাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে উল্লেখ করে বিবিসি বলছে, এই সমঝোতার অংশ হিসেবে দণি তুরস্কের ইনকির্লিক বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক মাসে সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেয়া আইএসের বিরুদ্ধে জোটগত বিমান হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া ও ইরাক উভয় দেশের সাথে তুরস্কের সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো স্থল অভিযান পরিচালনার বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি চ্যানেলকে সুসান বলেন, ‘সিরিয়ার মধ্যপন্থী বিরোধীদলীয় বাহিনীকে প্রশিণ দেয়ার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি ও এলাকা ব্যবহার করতে দিতে তুরস্ক সম্প্রতি সম্মত হয়েছে এবং সিরিয়া ও ইরাকের অভ্যন্তরে চালানো তৎপরতায় ‘অংশগ্রহণ’ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তিনি বলেন,‘এগুলো নতুন প্রতিশ্রুতি আর এই বিষয়টিকে আমরা দারুণভাবে স্বাগত জানাই।’
সম্প্রতি আইএস যোদ্ধারা সিরিয়ার সীমান্ত শহর কোবানির দখল নিতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কুর্দি প্রতিরোধ বাহিনী তাদের ঠেকিয়ে রাখলেও প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে। কোবানি হয়ে তুর্কি সীমান্ত অতিক্রম করার একটি পথ রয়েছে। আইএসের অগ্রযাত্রার মুখে সীমান্তে নিজেদের সেনা সমাবেশ ঘটালেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো পদপে নেয়ার বিষয়ে উদাসীন তুরস্ক। দেশের সংখ্যালঘু কুর্দিদের সাথে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অভিজ্ঞতাই তুরস্ককে আইএস-কুর্দি লড়াইয়ে কোনো পদপে নেয়ার ব্যাপারে নিষ্পৃহ করে রেখেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
সরকারি বাহিনীর প্রতি শিয়া মিলিশিয়াদের সমর্থন আইএসের অগ্রাভিযান ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে লড়াই চলার পর ইরাকি বাহিনী আনবার প্রদেশের তাদের শেষ এই ঘাঁটি থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে গ্রুপটি শহরটির ওপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। বাগদাদের নিরাপত্তা সূত্র এ খবর জানায়।
প্রাদেশিক রাজধানী রামাদিতে পুলিশের কর্নেলের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, আসাদ বিমান ঘাঁটিটি রক্ষায় সহায়তা করতে শত শত সৈন্যকে হিত থেকে প্রত্যাহার ও অন্যত্র মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সেনা কর্মকর্তারা বলেন, আইএসের হামলার শিকার সৈন্যদের হিত থেকে প্রত্যাহার করে আসাদ বিমান ঘাঁটি রক্ষা করা হবে অনেক উত্তম। হিত শহরের শতভাগ এখন আইএসের দখলে।
সম্প্রতি সপ্তাহগুলোতে ইরাকি বাহিনী আনবারে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একের পর এক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রাদেশিক রাজধানী রামাদিতে বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আলজাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান বাগদাদ থেকে জানান, হিতের পতনের পর নিকটবর্তী শহর আমিরি হুমকির মধ্যে পড়েছে। আমিরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর, এটি বাগদাদসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে আনবারের সরবরাহ পাঠানোর প্রধান সড়কে অবস্থিত।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস এ কথা জানিয়েছেন।
নতুন এই সমঝোতাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে উল্লেখ করে বিবিসি বলছে, এই সমঝোতার অংশ হিসেবে দণি তুরস্কের ইনকির্লিক বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক মাসে সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেয়া আইএসের বিরুদ্ধে জোটগত বিমান হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া ও ইরাক উভয় দেশের সাথে তুরস্কের সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো স্থল অভিযান পরিচালনার বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি চ্যানেলকে সুসান বলেন, ‘সিরিয়ার মধ্যপন্থী বিরোধীদলীয় বাহিনীকে প্রশিণ দেয়ার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি ও এলাকা ব্যবহার করতে দিতে তুরস্ক সম্প্রতি সম্মত হয়েছে এবং সিরিয়া ও ইরাকের অভ্যন্তরে চালানো তৎপরতায় ‘অংশগ্রহণ’ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তিনি বলেন,‘এগুলো নতুন প্রতিশ্রুতি আর এই বিষয়টিকে আমরা দারুণভাবে স্বাগত জানাই।’
সম্প্রতি আইএস যোদ্ধারা সিরিয়ার সীমান্ত শহর কোবানির দখল নিতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কুর্দি প্রতিরোধ বাহিনী তাদের ঠেকিয়ে রাখলেও প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে। কোবানি হয়ে তুর্কি সীমান্ত অতিক্রম করার একটি পথ রয়েছে। আইএসের অগ্রযাত্রার মুখে সীমান্তে নিজেদের সেনা সমাবেশ ঘটালেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো পদপে নেয়ার বিষয়ে উদাসীন তুরস্ক। দেশের সংখ্যালঘু কুর্দিদের সাথে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অভিজ্ঞতাই তুরস্ককে আইএস-কুর্দি লড়াইয়ে কোনো পদপে নেয়ার ব্যাপারে নিষ্পৃহ করে রেখেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
No comments