ইংল্যাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক
সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে
থাকা ইংলাক সরকারের জন্য এটি আরেক বড় আঘাত হয়ে দেখা দিতে পারে।
থাইল্যান্ডের জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী কমিশন জানায়, ধানচাষিদের জন্য গৃহীত
ভর্তুকি প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন কিনা
এটিই তারা অনুসন্ধান করছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের মুখপাত্র
জানান, প্রধানমন্ত্রী ফৌজদারি আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা এটি খতিয়ে দেখা হবে।
তবে অপরাধী প্রমাণিত হলে তার কী শাস্তি হতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি
সংস্থাটি। ইংলাকের সঙ্গে আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবে সংস্থাটি। তাদের
মধ্যে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। চাষিদের জন্য নেওয়া ওই প্রকল্পে ঘোর
আপত্তি জানিয়েছিল ইংলাকবিরোধীরা। এর মাধ্যমে ইংলাক তার জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছেন
বলে অভিযোগ ছিল তাদের। প্রায় মাস দুয়েক আগে বিরোধীদের আন্দোলন শুরু হওয়ার
পর থেকে নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ইংলাক সরকারের ওপর। থাইল্যান্ডে
এতদিন ধরে প্রায় শান্ত থাকা সরকারবিরোধী আন্দোলন এবার সহিংস হয়ে ওঠার
আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা পদত্যাগে বাধ্য হলে
পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার সমর্থকরা বিপুল অস্ত্র মজুদ করছে বলে খবর ছড়িয়েছে।
খবর টাইমস ও এপির।
গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো 'ব্যাংকক অচল কর্মসূচি' নিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছে সরকারবিরোধী হলুদ শার্ট সমর্থক ও প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতাকর্মীরা। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়েছে তারা। যদিও তাতে জনসমাগম কমে আসছে। গতকাল তারা আরও কয়েকটি সরকারি ভবন অবরুদ্ধ করে। আগে এসব ভবনে প্রবেশ করেনি তারা। ইংলাককে পদত্যাগে বাধ্য করতে এসব ভবন অবরুদ্ধ করে সরকারি কার্যক্রম অচল করে ফেলেছে তারা। দুই মাস আগে আন্দোলনের শুরুতেও বেশ ক'টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন অবরুদ্ধ করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ব্যাংকক পোস্ট নামের একটি থাই দৈনিক জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক লাল শার্টধারীরা বিপুল অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে। সামরিক বা বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপে ইংলাক যদি ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হন_ এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এ প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। লাল শার্টধারীদের একটি সূত্রের উদৃব্দতি দিয়ে ব্যাংকক পোস্ট জানায়, 'লাল শার্টধারীদের মধ্যে প্রবল সামরিক অভ্যুত্থান ও আদালতবিরোধী মনোভাব রয়েছে। লাল শার্ট সমর্থকরা অস্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে পরিচিত ও অভিজ্ঞ।'
ইংলাকবিরোধীদের অভিযোগ হচ্ছে, তিনি তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করছেন। পারিবারিক সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় তহবিল ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত ও ক্ষমতা সুসংহত করছেন। ইংলাকবিরোধীরা মূলত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এবং শহুরে মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর। কিন্তু সিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রতি দেশের গ্রামীণ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র জনসাধারণের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। থাকসিন ক্ষমতায় থাকাকালে জনপ্রিয় কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে তাদের সমর্থন আদায় করেন। ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন থাকসিন। গত নভেম্বরে থাকসিন পরিবারের প্রভাবমুক্ত রাজনীতি গড়ার ডাক দিয়ে ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে রাজা, সেনাবাহিনী ও অভিজাতদের সমর্থক হলুদ শার্টধারীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন ইংলাক। কিন্তু বিরোধীরা এতে অংশ নিতে অস্বীকার করেছে। কেননা থাইল্যান্ডে কোনো নির্বাচন হলে তাতে সিনাওয়াত্রা পরিবারই জয়ী হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো 'ব্যাংকক অচল কর্মসূচি' নিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছে সরকারবিরোধী হলুদ শার্ট সমর্থক ও প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতাকর্মীরা। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়েছে তারা। যদিও তাতে জনসমাগম কমে আসছে। গতকাল তারা আরও কয়েকটি সরকারি ভবন অবরুদ্ধ করে। আগে এসব ভবনে প্রবেশ করেনি তারা। ইংলাককে পদত্যাগে বাধ্য করতে এসব ভবন অবরুদ্ধ করে সরকারি কার্যক্রম অচল করে ফেলেছে তারা। দুই মাস আগে আন্দোলনের শুরুতেও বেশ ক'টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন অবরুদ্ধ করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ব্যাংকক পোস্ট নামের একটি থাই দৈনিক জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক লাল শার্টধারীরা বিপুল অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে। সামরিক বা বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপে ইংলাক যদি ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হন_ এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এ প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। লাল শার্টধারীদের একটি সূত্রের উদৃব্দতি দিয়ে ব্যাংকক পোস্ট জানায়, 'লাল শার্টধারীদের মধ্যে প্রবল সামরিক অভ্যুত্থান ও আদালতবিরোধী মনোভাব রয়েছে। লাল শার্ট সমর্থকরা অস্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে পরিচিত ও অভিজ্ঞ।'
ইংলাকবিরোধীদের অভিযোগ হচ্ছে, তিনি তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করছেন। পারিবারিক সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় তহবিল ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত ও ক্ষমতা সুসংহত করছেন। ইংলাকবিরোধীরা মূলত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এবং শহুরে মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর। কিন্তু সিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রতি দেশের গ্রামীণ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র জনসাধারণের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। থাকসিন ক্ষমতায় থাকাকালে জনপ্রিয় কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে তাদের সমর্থন আদায় করেন। ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন থাকসিন। গত নভেম্বরে থাকসিন পরিবারের প্রভাবমুক্ত রাজনীতি গড়ার ডাক দিয়ে ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে রাজা, সেনাবাহিনী ও অভিজাতদের সমর্থক হলুদ শার্টধারীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন ইংলাক। কিন্তু বিরোধীরা এতে অংশ নিতে অস্বীকার করেছে। কেননা থাইল্যান্ডে কোনো নির্বাচন হলে তাতে সিনাওয়াত্রা পরিবারই জয়ী হয়।
No comments