পৌরসভার জন্য ৪১ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
পৌরসভা
ও জেলা শহরের নাগরিক সেবা বাড়াতে বিশ্বব্যাংক ৪১ কোটি ডলার নমনীয় ঋণ
অনুমোদন করেছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ হবে ৩ হাজার কোটি
টাকার কিছু বেশি। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পৌর সুশাসন ও
সেবা প্রকল্পে ওই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে গতকাল
বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১শ'
শহরের ৩৪ লাখ লোক উপকার পাবে। বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল
ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) ৪০ বছর মেয়াদে এ ঋণ দেবে। ঋণের গ্রেস
পিরিয়ড (কিস্তিমুক্ত সুবিধা) ১০ বছর এবং সার্ভিস চার্জ মাত্র শূন্য দশমিক
৭৫ শতাংশ। বিশ্ববাংকের পর্ষদ সভায় বাংলাদেশের জন্য ২০১০-২০১১ অর্থবছর
থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর মেয়াদে দেশ সহায়তা কৌশল (কান্ট্রি অ্যাসিসট্যান্স
ষ্ট্রাটেজি) অগ্রগতি রিপোর্টও অনুমোদন করা হয়েছে। শহর উন্নয়নের প্রকল্পটিসহ
আলোচ্য মেয়াদে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত অর্থের নতুন অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৪৫০
কোটি ডলার। বাংলাদেশের সহায়তা কৌশলে অবকাঠামো ও জ্বালানির মতো প্রবৃদ্ধি ও
কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট এ বিষয়ে বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ
অতি দারিদ্র্য দূর এবং অংশীদারভিত্তিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাংকের অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশ তার ৫০তম জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ ২০২১
সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে
বিশ্বব্যাংক তাতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় পৌরসভা ও শহর উন্নয়ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় করবে আগামী অর্থবছর থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। আর আওতাধীন নগরগুলো দেবে ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ সংস্থা আইডিএর এই বিনিয়োগ ঋণের একটি অংশ থেকে দেশের ২৩টি পৌরসভা ও ৩টি সিটি করপোরেশনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এই অংশে বিশ্বব্যাংক দেবে ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। প্রকল্পের আওতায় পৌরসভা উন্নয়ন তহবিল গঠিত হবে যেখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের পরিমাণ ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। প্রকল্পের আরেকটি অঙ্গে সক্ষমতা বাড়ানো ও বাস্তবায়ন সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক দেবে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।
প্রকল্পের প্রথম অঙ্গে ২৬টি পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বিবেচনায় আগে থেকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনটি সিটি করপোরেশন হলো_ সিলেট, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ। পৌরসভাগুলো হচ্ছে, ভৈরব, ভালুকা, চৌদ্দগ্রাম, চকরিয়া, চান্দিনা, দাউদকান্দি, এলেঙ্গা, ফেনী, গোবিন্দগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, মাধবদী, মাধবপুর, মিরসরাই, পটিয়া, সৈয়দপুর, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, সীতাকুণ্ডু, টাঙ্গাইল ও ত্রিশাল। এসব শহরের মূল নাগরিক সেবাগুলোর উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট, বাজার, বাস টার্মিনাল, পাবলিক টয়লেট, পয়ঃনিষ্কাশন, রাস্তার বাতিসহ নানা কাজে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে।
প্রকল্পের আওতায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের পৌরসভা উন্নয়ন তহবিল গঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরসভাগুলো দেবে ১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। কোন কোন পৌরসভা এই অঙ্গের আওতায় থাকবে তা স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্ধারণ করবে। এই অঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে ৮০ শতাংশ অনুদান ও ২০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। এখানে যে বিনিয়োগ হবে তার ৯০ শতাংশ আসবে ওই তহবিল থেকে। বাকি ১০ শতাংশ পৌরসভাগুলোর আয় থেকে দিতে হবে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় পৌরসভা ও শহর উন্নয়ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় করবে আগামী অর্থবছর থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। আর আওতাধীন নগরগুলো দেবে ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ সংস্থা আইডিএর এই বিনিয়োগ ঋণের একটি অংশ থেকে দেশের ২৩টি পৌরসভা ও ৩টি সিটি করপোরেশনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এই অংশে বিশ্বব্যাংক দেবে ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। প্রকল্পের আওতায় পৌরসভা উন্নয়ন তহবিল গঠিত হবে যেখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের পরিমাণ ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। প্রকল্পের আরেকটি অঙ্গে সক্ষমতা বাড়ানো ও বাস্তবায়ন সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক দেবে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।
প্রকল্পের প্রথম অঙ্গে ২৬টি পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বিবেচনায় আগে থেকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনটি সিটি করপোরেশন হলো_ সিলেট, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ। পৌরসভাগুলো হচ্ছে, ভৈরব, ভালুকা, চৌদ্দগ্রাম, চকরিয়া, চান্দিনা, দাউদকান্দি, এলেঙ্গা, ফেনী, গোবিন্দগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, মাধবদী, মাধবপুর, মিরসরাই, পটিয়া, সৈয়দপুর, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, সীতাকুণ্ডু, টাঙ্গাইল ও ত্রিশাল। এসব শহরের মূল নাগরিক সেবাগুলোর উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট, বাজার, বাস টার্মিনাল, পাবলিক টয়লেট, পয়ঃনিষ্কাশন, রাস্তার বাতিসহ নানা কাজে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে।
প্রকল্পের আওতায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের পৌরসভা উন্নয়ন তহবিল গঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরসভাগুলো দেবে ১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। কোন কোন পৌরসভা এই অঙ্গের আওতায় থাকবে তা স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্ধারণ করবে। এই অঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে ৮০ শতাংশ অনুদান ও ২০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। এখানে যে বিনিয়োগ হবে তার ৯০ শতাংশ আসবে ওই তহবিল থেকে। বাকি ১০ শতাংশ পৌরসভাগুলোর আয় থেকে দিতে হবে।
No comments