নতুন সংবিধানের পক্ষে রায় দিল মিসর
মিসরে
নতুন সংবিধান অনুমোদনের জন্য গৃহীত দু'দিনের গণভোটে নতুন সংবিধানের পক্ষে
ব্যাপক সমর্থন দিয়েছেন ভোটাররা। এ ছাড়া ভোটদানের হারও আগের যে কোনো সময়ের
চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা
সংস্থা জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ ভোটার নতুন সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। আজ শুক্রবার
আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। গত মঙ্গল ও বুধবার_ দু'দিনে এই ভোট
গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এখন চলছে ভোট গণনা। এই ভোটে মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক
সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার। মিসরের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ ওসমান
বেসরকারি টেলিভিশন আল হায়াতকে বলেছেন, দেশের ৫৫ শতাংশের বেশি মানুষ তাদের
ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এবং ভোটদাতাদের ৯৫ শতাংশের বেশি সংবিধানের পক্ষে
রায় দিয়েছেন। দেশটির শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা নাবিল সালিব জানান, 'আগের
যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটারের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। তবে কত
শতাংশ ভোট পড়েছে, তা স্পষ্ট করে না জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি, এ
হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।' বুধবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা
মেনা সরকারি কর্মকর্তাদের উদৃব্দতি দিয়ে জানিয়েছে, ৯০ শতাংশ ভোটার নতুন
সংবিধান অনুমোদন করে 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছেন। তবে ব্রাদারহুড প্রভাবিত
এলাকাগুলোতে ভোট কম পড়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে মুরসির শাসনামলে ৩৩ শতাংশ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশ 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড ব্যাপক চাপে থাকায় তারা 'না' ভোটের পক্ষে তেমন কোনো প্রচারও চালাতে পারেনি। ভোটের দু'দিনে ৪৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন। গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে এখন সেনা অভ্যুত্থানের নায়ক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মুরসির শাসনামলে প্রণীত সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করে। সেই খসড়া সংবিধানের ব্যাপারে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হলো। মিসরের ভঙ্গুর অর্থনীতি আর রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে।
এর আগে মুরসির শাসনামলে ৩৩ শতাংশ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশ 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড ব্যাপক চাপে থাকায় তারা 'না' ভোটের পক্ষে তেমন কোনো প্রচারও চালাতে পারেনি। ভোটের দু'দিনে ৪৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন। গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে এখন সেনা অভ্যুত্থানের নায়ক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মুরসির শাসনামলে প্রণীত সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করে। সেই খসড়া সংবিধানের ব্যাপারে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হলো। মিসরের ভঙ্গুর অর্থনীতি আর রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে।
No comments