কংগ্রেস নয় লড়াই হবে এএপি ও বিজেপির : কেজরিওয়াল
ভারতের আসন্ন লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেস নয় বরং আম আদমি পার্টি (এএপি) ও বিজেপির মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মন্তব্য করেছেন এএপির দিল্লি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবারের করা ওই মন্তব্যে কংগ্রেস আগের মতো অবস্থানে নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আগামী মে মাসে ভারতের লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এতদিন ধরে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও হিন্দুবাদী বিজেপিকে ধরা হতো। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লিতে এএপির সরকার গঠনের পর দেশটির রাজনৈতিক হিসেব অনেকটাই পাল্টে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তার মন্তব্যে বলেন, ‘দেশের জনগণের কাছে এখন দুটি দল পছন্দ। একদিকে বিজেপি অপরদিকে এএপি।’ তিনি আরও বলেন, বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও এএপির নেতাদের জনগণ সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবেই জানে। প্রসঙ্গত দিল্লির ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিপুল সদস্য সংগ্রহ করেছে ভারতের জনপ্রিয় দল এএপি। ইতোমধ্যেই দলটিতে অনেক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিরাও যোগ দিয়েছেন।
বিদেশী চেইন শপগুলোর জন্য দিল্লির দরজা বন্ধ করল এএপি : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিদেশী সুপার চেইন শপগুলোর দোকান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজ্যের নির্বাচিত নতুন সরকার আম আদমি পার্টি (এএপি)। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিদেশী চেইন শপগুলোকে ভারতে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। ড. মনমোহনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল দিল্লির তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। কিন্তু সোমবার ওই অনুমোদন বাতিল করে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এএপি। এএপির এই সিদ্ধান্ত ড. মনমোহনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১২ সালের শেষ দিকে মনমোহন ভারতের পাঁচশ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের খুচরা পণ্যের বাজার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। মনমোহনের ওই সিদ্ধান্ত ওয়ালমার্ট ও টেসকো পিএলসি’র মতো বহুজাতিক খুচরা পণ্য বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর জন্য ভারতের বাজারে প্রবেশের পথ করে দেয়। কিন্তু কংগ্রেস সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এই খাত, যা পারিবারিক ও ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত ছোট ছোট দোকানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তা বড় একটি ধাক্কা খাবে এবং এতে এই খাতের সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের বড় একটি অংশ বেকার হয়ে যাবে বলে খুচরা বিক্রেতা ও রাজনৈতিক দলগুলো আশংকা প্রকাশ করে এর সমালোচনা করেছিল। নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়ে ডিসেম্বরে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় এএপি।
No comments