কোয়েটায় আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেন একজন নারী
পাকিস্তানের কোয়েটায় গত শনিবারের বোমা ও সশস্ত্র হামলার দায়দায়িত্ব
স্বীকার করেছে দেশটির সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-জাংভি। সংগঠনটি বলেছে,
একজন নারী আত্মঘাতী হামলাকারী কোয়েটার বাসে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। ওই
হামলায় ১৪ জন নারী শিক্ষার্থী নিহত হন। বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায়
সরদার বাহাদুর খান উইমেনস ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বাস ও একটি হাসপাতালে
ওই হামলা চালানো হয়। বাসে বোমা হামলার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কোয়েটা শহরের
বোলান মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। সেখানে বাসে
বোমা হামলায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। মেডিকেল কমপ্লেক্সে
সশস্ত্র জঙ্গি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলিতে আরও অন্তত
১১ জন নিহত হন। আত্মঘাতী ও সশস্ত্র হামলার পরপরই লস্কর-ই-জাংভির মুখপাত্র
আবুবকর সিদ্দিক কোয়েটার পত্রিকা অফিসগুলোতে ফোন করে বলেন, ‘আমাদের এক বোন
বাসে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বাসে উঠে নিজেকে
উড়িয়ে দিয়েছেন।’ মুখপাত্র বলেন, ‘এরপর আমরা হাসপাতালে দ্বিতীয় হামলা
চালাই। আমাদের যোদ্ধারা সেখানে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। খারোতাবাদে
নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের কয়েকজন যোদ্ধা ও তাঁদের স্ত্রীকে হত্যা করায়
আমরা এ হামলা চালিয়েছি।’ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী গত ৬ জুন কোয়েটার
পার্শ্ববর্তী খারোতাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে কমপক্ষে তিন
জঙ্গি ও দুজন নারী নিহত হন। কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তিরা
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে
লস্কর-ই-জাংভির যোগসাজশ রয়েছে। এএফপি, বিবিসি।
No comments