অনলাইন থেকে-সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতি
অনেকের মতো আমিও তুরস্কের ঘটনাবলি অত্যন্ত
বেদনার সঙ্গে অবলোকন করেছি। তুরস্ক কোনো সাধারণ দেশ নয়। গত কয়েক দশকে,
এমনকি দমনপীড়ন চালানো সরকারগুলোও ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ তীরের এই দেশে শক্ত
অবস্থা তৈরি করেছে।
বিশ্ব তুরস্ককে সমর্থন জানিয়েছে
প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের গণতন্ত্র ও ইসলামকে সফলভাবে একীভূত
করার কারণে। মাত্র কয়েক মাস আগে আরব যুবকরা এরদোয়ানকে হিরো হিসেবে প্রশংসা
করেছে। এ অঞ্চলের অনেক বাজে শাসকের তুলনায় এরদোয়ানকে ভালো মানুষ হিসেবে
দেখেছে। অতি সম্প্রতি আরব জনগণের সৃষ্ট আন্দোলন ফিকে হয়ে আসতে শুরু করে এবং
তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিসরসহ সর্বত্র সমাজে মেরুকরণ ঘটতে থাকে; সমাজে
বিভক্তি সৃষ্টি হতে থাকে।
এখন আর সে অবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান কঠোর হাতে প্রতিবাদকারীদের প্রত্যুত্তর দেওয়ায় তুরস্কের শাসন, সুনাম ও অবস্থান বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে। এখন পর্যন্ত তুরস্কের আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী যে প্রভাবিত করার ক্ষমতা, তা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে। গত দুই সপ্তাহের ঘটনায় ইউরোপে অনেকের তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে রাখার চিন্তাকে আরো দৃঢ় করে তুলেছে। আমি দুঃখিত ও হতাশ। মুসলিম বিশ্বের অন্তত একজন নেতা প্রয়োজন, যাঁর ওপর ভরসা করা যায়। একটি প্রেরণাদায়ক রোল মডেল প্রয়োজন, যিনি উত্তরণ ঘটাবেন।
মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র প্রতিবন্ধকতা ও অসহিষ্ণুতা লক্ষ করা যায় এবং দুর্ভাগ্যবশত অভিবাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও মুসলমান বলতে যা বোঝা যায়, সে সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টি লক্ষ করা যায়।
অস্বস্তিকর সত্য হলো, ইউরোপের অনেকেই মুসলমান দেশের জন্য মুক্তদ্বারের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই খুব ভালো ধারণা পোষণ করে না, যদিও অনেক দেশের রয়েছে সেক্যুলার সংবিধান। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির রক্ষণশীলতার প্রতি ঝোঁকের কারণে ইউরোপের অনেকের উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
যারা তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদের সমর্থক, তারা মনে করে, অর্থনৈতিকভাবে তুরস্ক মজবুত হয়ে উঠলে দেশটি কামাল আতাতুর্কের সেক্যুলার পথে ধাবিত হবে। এখানে এই ব্রাাজিলে, আমি প্রায়ই শুনি এরদোয়ানের কর্তৃত্বপরায়ণ ও অটোমান সাম্রাজ্যের ধারণা প্রভাবিত পররাষ্ট্রনীতির কথা এবং তাঁর আঞ্চলিক নেতা হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা।
লেখক : শাদা ইসলাম, ডন পত্রিকার ব্রাসেলস প্রতিনিধি।
ডন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
এখন আর সে অবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান কঠোর হাতে প্রতিবাদকারীদের প্রত্যুত্তর দেওয়ায় তুরস্কের শাসন, সুনাম ও অবস্থান বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে। এখন পর্যন্ত তুরস্কের আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী যে প্রভাবিত করার ক্ষমতা, তা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে। গত দুই সপ্তাহের ঘটনায় ইউরোপে অনেকের তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে রাখার চিন্তাকে আরো দৃঢ় করে তুলেছে। আমি দুঃখিত ও হতাশ। মুসলিম বিশ্বের অন্তত একজন নেতা প্রয়োজন, যাঁর ওপর ভরসা করা যায়। একটি প্রেরণাদায়ক রোল মডেল প্রয়োজন, যিনি উত্তরণ ঘটাবেন।
মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র প্রতিবন্ধকতা ও অসহিষ্ণুতা লক্ষ করা যায় এবং দুর্ভাগ্যবশত অভিবাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও মুসলমান বলতে যা বোঝা যায়, সে সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টি লক্ষ করা যায়।
অস্বস্তিকর সত্য হলো, ইউরোপের অনেকেই মুসলমান দেশের জন্য মুক্তদ্বারের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই খুব ভালো ধারণা পোষণ করে না, যদিও অনেক দেশের রয়েছে সেক্যুলার সংবিধান। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির রক্ষণশীলতার প্রতি ঝোঁকের কারণে ইউরোপের অনেকের উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
যারা তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদের সমর্থক, তারা মনে করে, অর্থনৈতিকভাবে তুরস্ক মজবুত হয়ে উঠলে দেশটি কামাল আতাতুর্কের সেক্যুলার পথে ধাবিত হবে। এখানে এই ব্রাাজিলে, আমি প্রায়ই শুনি এরদোয়ানের কর্তৃত্বপরায়ণ ও অটোমান সাম্রাজ্যের ধারণা প্রভাবিত পররাষ্ট্রনীতির কথা এবং তাঁর আঞ্চলিক নেতা হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা।
লেখক : শাদা ইসলাম, ডন পত্রিকার ব্রাসেলস প্রতিনিধি।
ডন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments