জাতীয় সংসদে শিশু বিল ২০১৩ পাস সন্ত্রাসী কাজে শিশুদের ব্যবহার করলে মৃত্যুদণ্ড
কোনো ব্যক্তি যদি শিশুকে সন্ত্রাসী কাজে
নিয়োজিত করেন, তবে তাঁর বিচার হবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। এ ধরনের অপরাধের
শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ বিধান রেখে গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে শিশু বিল, ২০১৩
পাস হয়েছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ
বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের ওপর দেওয়া জনমত
যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়।
পাস হওয়া বিলের ৭৯ দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি শিশুর প্রকৃত দায়িত্বসম্পন্ন বা তত্ত্বাবধানকারী হোক বা না হোক, কোনো শিশুকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এর ৬ ধারায় উল্লিখিত কোনো সন্ত্রাসী কাজে নিয়োজিত করলে বা ব্যবহার করলে তিনি স্বয়ং ওই সন্ত্রাসী কাজ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং তিনি ওই ধারায় উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজ সংঘটন করে থাকলে, তিনি বা ওই সত্তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা তিনি বা তাঁরা যে নামেই পরিচিত হোন না কেন, তিনি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০ বছর এবং কমপক্ষে চার বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ড আরোপ করা যাবে। এ আইনে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোনো অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাকে সন্ত্রাসী কাজ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে ১১ জুন সংসদে বিল পাস হয়। ১২ জুন রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশে ধারাটি বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিটি থেকে জানানো হয়, গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ এবং মতিঝিলের সমাবেশে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুদের ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে ধারাটি বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলের ৭৯ ধারায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো শিশুকে দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বা অবৈধ বা নিষিদ্ধ বস্তু বহন করান, তাহলে ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডে বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এ আইন অনুসারে, শিশু অপরাধের বিচারের জন্য আলাদা শিশু আদালত থাকবে। সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোনো মামলায় জড়িত থাকলে, যেকোনো আইনের অধীনেই হোক না কেন, ওই মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু-আদালতের থাকবে। আইনে শিশু অপরাধী ও প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীকে একসঙ্গে কোনো অপরাধের দায়ে অভিযোগপত্রভুক্ত না করার বিধান রাখা হয়েছে এবং যেকোনো মামলায় শিশুকে জামিন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, নয় বছরের নিচের কোনো শিশুকে কোনো অবস্থায় গ্রেপ্তার বা আটক রাখা যাবে না। নয় বছরের বেশি কোনো শিশুকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হলে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি পরানো যাবে না। কেউ ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখালে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আইনে আরও বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, যার দ্বারা শিশুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। এ বিধান লঙ্ঘন করলে এক বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলের ৭৯ দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি শিশুর প্রকৃত দায়িত্বসম্পন্ন বা তত্ত্বাবধানকারী হোক বা না হোক, কোনো শিশুকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এর ৬ ধারায় উল্লিখিত কোনো সন্ত্রাসী কাজে নিয়োজিত করলে বা ব্যবহার করলে তিনি স্বয়ং ওই সন্ত্রাসী কাজ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং তিনি ওই ধারায় উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজ সংঘটন করে থাকলে, তিনি বা ওই সত্তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা তিনি বা তাঁরা যে নামেই পরিচিত হোন না কেন, তিনি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০ বছর এবং কমপক্ষে চার বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ড আরোপ করা যাবে। এ আইনে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোনো অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাকে সন্ত্রাসী কাজ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে ১১ জুন সংসদে বিল পাস হয়। ১২ জুন রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশে ধারাটি বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিটি থেকে জানানো হয়, গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ এবং মতিঝিলের সমাবেশে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুদের ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে ধারাটি বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলের ৭৯ ধারায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো শিশুকে দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বা অবৈধ বা নিষিদ্ধ বস্তু বহন করান, তাহলে ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডে বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এ আইন অনুসারে, শিশু অপরাধের বিচারের জন্য আলাদা শিশু আদালত থাকবে। সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোনো মামলায় জড়িত থাকলে, যেকোনো আইনের অধীনেই হোক না কেন, ওই মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু-আদালতের থাকবে। আইনে শিশু অপরাধী ও প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীকে একসঙ্গে কোনো অপরাধের দায়ে অভিযোগপত্রভুক্ত না করার বিধান রাখা হয়েছে এবং যেকোনো মামলায় শিশুকে জামিন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, নয় বছরের নিচের কোনো শিশুকে কোনো অবস্থায় গ্রেপ্তার বা আটক রাখা যাবে না। নয় বছরের বেশি কোনো শিশুকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হলে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি পরানো যাবে না। কেউ ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখালে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আইনে আরও বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, যার দ্বারা শিশুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। এ বিধান লঙ্ঘন করলে এক বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
No comments