এই বিজয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে: হাসান রুহানি
ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী নেতা হাসান রুহানি তাঁর
প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে উদার পন্থার জয় হয়েছে। এ
বিজয় প্রজ্ঞা, উদারতা ও পরিপক্বতার। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে হাসান রুহানি ৫০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
গত শনিবার হাসান রুহানিকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার পর তাঁর লাখো সমর্থক
রাজধানী তেহরানের পথে নেমে আসে। তারা ‘রুহানি দীর্ঘজীবী হোন’ বলে স্লোগান
দেয়। রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতেও স্লোগান দেওয়া হয়। ফল ঘোষণার পর এক
বিবৃতিতে রুহানি বলেন, সত্যিকারের গণতন্ত্র, পারস্পরিক লেনদেন ও মুক্ত
আলোচনার প্রতি যাদের গভীর শ্রদ্ধা আছে, এ বিজয় তাদের জন্য নতুন সুযোগ এনে
দিল।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্কতার সঙ্গে রুহানিকে স্বাগত জানিয়েছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে গত শনিবার এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ পালনের জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানান। ইরানের ‘জনগণের মঙ্গলের স্বার্থে’ রুহানি ও তাঁর সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এদিকে, ইরানের ভোটে ‘স্বচ্ছতার অভাব’, গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ এবং মতপ্রকাশের ‘সীমাবদ্ধতার’ সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ইরানের জনগণের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, তেহরানের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রুহানিকে স্বাগত জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আশা করেন, তেহরানের সঙ্গে রাশিয়ার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে। গতকাল রোববার ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট বন্ধুপ্রতিম দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী। এদিকে, ইসরায়েল মধ্যপন্থী রুহানির বিজয় সত্ত্বেও দেশটির নতুন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক প্রকল্প বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইরানের প্রায় পাঁচ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭২ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে মোট তিন কোটি ৬৭ লাখ চার হাজার ১৫৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। প্রার্থী ছিলেন মোট ছয়জন। রুহানি পেয়েছেন এক কোটি ৮৬ লাখ ১৩ হাজার ৩২৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ও তেহরানের মেয়র মোহাম্মদ বাঘের ঘালিবাফ পেয়েছেন ৬০ লাখ ৭৭ হাজার ২৯২ ভোট। আগামী ৩ আগস্ট দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নির্বাচনের ফল অনুমোদন করবেন। এরপর হাসান রুহানি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টে শপথ নেবেন। হাসান রুহানির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি হলো, দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অবরোধ শিথিল করা। তিনি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পাশ্চাত্যের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে চলা উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহী। অবরোধের কারণে ইরানের অর্থনীতির অবস্থা বেহাল। বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, মুদ্রার মান পড়ে গেছে ও ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্কতার সঙ্গে রুহানিকে স্বাগত জানিয়েছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে গত শনিবার এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ পালনের জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানান। ইরানের ‘জনগণের মঙ্গলের স্বার্থে’ রুহানি ও তাঁর সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এদিকে, ইরানের ভোটে ‘স্বচ্ছতার অভাব’, গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ এবং মতপ্রকাশের ‘সীমাবদ্ধতার’ সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ইরানের জনগণের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, তেহরানের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রুহানিকে স্বাগত জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আশা করেন, তেহরানের সঙ্গে রাশিয়ার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে। গতকাল রোববার ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট বন্ধুপ্রতিম দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী। এদিকে, ইসরায়েল মধ্যপন্থী রুহানির বিজয় সত্ত্বেও দেশটির নতুন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক প্রকল্প বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইরানের প্রায় পাঁচ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭২ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে মোট তিন কোটি ৬৭ লাখ চার হাজার ১৫৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। প্রার্থী ছিলেন মোট ছয়জন। রুহানি পেয়েছেন এক কোটি ৮৬ লাখ ১৩ হাজার ৩২৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ও তেহরানের মেয়র মোহাম্মদ বাঘের ঘালিবাফ পেয়েছেন ৬০ লাখ ৭৭ হাজার ২৯২ ভোট। আগামী ৩ আগস্ট দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নির্বাচনের ফল অনুমোদন করবেন। এরপর হাসান রুহানি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টে শপথ নেবেন। হাসান রুহানির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি হলো, দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অবরোধ শিথিল করা। তিনি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পাশ্চাত্যের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে চলা উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহী। অবরোধের কারণে ইরানের অর্থনীতির অবস্থা বেহাল। বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, মুদ্রার মান পড়ে গেছে ও ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments