কারিগরি বিদ্যালয়-কর্মমুখী শিক্ষার জন্য অপরিহার্য
কর্মমুখী শিক্ষার বিস্তার ও দক্ষ জনশক্তি
গড়ে তোলার জন্য কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। জাতীয় শিক্ষানীতিতেও এর
প্রতিফলন দেখা যায়। তার পরও এর বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা স্পষ্ট।
সনাতন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা দেশে হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার তৈরি করছে
জেনেও বিকল্প ও প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে কার্যকর
কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি মানুষের ঝোঁক অধিক।
কিন্তু এর মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি কতটা হচ্ছে, তা দেখা হচ্ছে
না। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, তাদের যোগ্যতা,
শিক্ষার্থীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি কোনো গুরুত্ব না দিয়ে তাদের ভর্তি করানো
হয়। আর মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিক্ষায়তনে সময় কাটিয়ে কোনো রকমে সনদ নিয়ে সে
ঘরে ফেরে। এতে তার ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত থেকে যায়, তেমনি রাষ্ট্রীয় অপচয়ও
বাড়ে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তীচ্ছুদের
পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যায়। প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী আগামী জুলাই মাস
থেকে এইচএসসিতে ক্লাস শুরু করবে, যাদের মধ্যে এক-দশমাংশেরও কম শিক্ষার্থী
জিপিএ ৫ অর্জন করেছে। বাকি ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা পাসের সনদপ্রাপ্তি ও
কলেজের ছাত্রছাত্রী হওয়ার সুনাম অর্জন ছাড়া কতটা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে
পারবে সন্দেহ। এই ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে সনাতন ধারার শিক্ষা থেকে সরিয়ে
এনে যদি পেশাভিত্তিক, বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করা যেত, তাহলে
তাদের ভবিষ্যৎ যে কর্মমুখী হতো- এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। সরকারের মেয়াদের
শেষ প্রান্তে এসে দেশের ১০০ উপজেলায় কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সরকারি
উদ্যোগ নেওয়া হলো। দেরিতে হলেও একে অবশ্যই স্বাগত জানাতে হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় বিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্বাচনের নীতিমালায় এক একর জমি থাকার বিষয়টি বলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় এত বেশি জমি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকার যদি বর্তমান শিক্ষায়তনগুলোকে এ কাজে ব্যবহার করে, তাহলে অবকাঠামোগত সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে অবকাঠামোগত ব্যয় কমে আসবে। কাজও দ্রুত সম্পন্ন হবে। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা থাকলে তরুণদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার মানসিকতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে, তাতে আগামী মৌসুমেই শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ কতটা পাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। সুতরাং ফাইল চালাচালির আমলাতান্ত্রিক রেওয়াজ থেকে বের হয়ে আসতে পারলেই সরকারের উদ্যোগ সফল হবে।
প্রাথমিক অবস্থায় বিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্বাচনের নীতিমালায় এক একর জমি থাকার বিষয়টি বলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় এত বেশি জমি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকার যদি বর্তমান শিক্ষায়তনগুলোকে এ কাজে ব্যবহার করে, তাহলে অবকাঠামোগত সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে অবকাঠামোগত ব্যয় কমে আসবে। কাজও দ্রুত সম্পন্ন হবে। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা থাকলে তরুণদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার মানসিকতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে, তাতে আগামী মৌসুমেই শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ কতটা পাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। সুতরাং ফাইল চালাচালির আমলাতান্ত্রিক রেওয়াজ থেকে বের হয়ে আসতে পারলেই সরকারের উদ্যোগ সফল হবে।
No comments