ফেসবুক কর্নার গ্রন্থনা: পাভেল মহিতুল আলম

স্পট ফিক্সিং
রাকিব: কিরে শামীম, তুই কই?
শামীম: দোস্ত, আমি তো স্পট ফিক্সিং করতেছি।
রাকিব: কী বললি? স্পট ফিক্সিং! শেষ পর্যন্ত তুইও...
শামীম: আরে দূর! আগামী সপ্তাহে আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে পিকনিকে যাব বলে ঠিক করেছি। এ জন্য ভালো দেখে একটা পিকনিক স্পট ফিক্সড করার জন্য ঘোরাঘুরি করছি আরকি।
 জাহিদ হাসান

প্রশংসা
নিজের প্রশংসা শুনতে চান? তাহলে কোনো পোশাকের দোকানে যান এবং দোকানিকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এই পোশাকটায় আমাকে কেমন লাগছে?’
 সায়ন বিশ্বাস

সময়
ঘটনার সূত্রপাত স্বাক্ষর করার কাগজে স্বাক্ষর করা নিয়ে। আর দশজনের হাত ঘুরে কাগজটা যখন আমার সামনের বেঞ্চের আগের বেঞ্চে এল, তখন শিক্ষক দেখতে পেলেন বাদবাকি সব ঘর সঠিকভাবে পূরণ করা হলেও ‘সময়’ নামক ঘরটিতে কিছু গোলমাল আছে। আর গোলমালের পেছনে কাগজে যে পরীক্ষার্থীর নাম লেখা, সে-ই দায়ী। সময়ের ঘরে যেখানে সকাল ‘১০.০০টা’ লেখার কথা, সেখানে পরীক্ষার্থীটি ‘৩ ঘণ্টা’ লিখে রেখেছে এবং নিশ্চিন্ত মনে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক তার ওপর রাশভারী বক্তব্য বর্ষণ এবং সময় ভুল লেখার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ভুল সংশোধন করে কাগজটি পেছনের পরীক্ষার্থীকে দিল। আমার সামনের আসনের পরীক্ষার্থীটি হয়তো আগে থেকেই সতর্ক ছিল, যাতে সে-ও আগের পরীক্ষার্থীর মতো ভুল না করে। কিন্তু যখন শোনা গেল, আমার সামনের আসনের পরীক্ষার্থী সময়ের ঘরে ১০.০০ ঘণ্টা লিখে রেখেছে, তখন শুধু টিচার নন হলের সবার চক্ষু চড়কগাছ।
 আবদুল ওয়াহাব

দেশপ্রেম
আমার এক ছোট ভাই এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দিয়ে মন খারাপ করে আছে দেখে কারণ জিজ্ঞেস করলাম। সে তখন বলল, ‘স্বদেশপ্রেম’ রচনা লিখতে গিয়ে পুরোটা শেষ করতে পারেনি। আমি ওর হতাশা দূর করার জন্য বললাম, ‘চিন্তা করো না। এক্সামিনার নিশ্চয় বুঝতে পারবেন, তোমার এত স্বদেশপ্রেম যে তুমি লিখে তা শেষ করতে পারোনি...।’
 ফাতিহ মুহাম্মদ

হিন্দি ছবির নাম
আমরা প্রায়ই বাংলা ছবির নাম নিয়ে হাসাহাসি করি। অথচ হিন্দি ছবির কত বিদঘুটে নামই আমাদের কাছে যথার্থ মনে হয়। চলুন, কয়েকটা হিন্দি ছবির নামের বঙ্গানুবাদ দেখি—
১. তেরে নাম—তোর নাম (!)
২. জাব তাক হ্যায় জান—যতক্ষণ জীবন আছে
৩. এক থা টাইগার—এক ছিল বাঘ
৪. তালাশ—খোঁজ (খোঁজ দ্য সার্চ)
৫. বাঁচনা হ্যায় হাসিনো—সাবধান হে রমণীগণ
 সাফাত সৈকত

দুশমন
মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন কে?
উত্তর: মানুষ তা নিজেই জানে। তা ছাড়া তাদের পারসোনাল লাইফে আমি কেন নাক গলাতে যাব!
 মালিহা রহমান

অপদার্থ
সময়টা ছিল ২০০৭ সাল। আমি ছিলাম কমার্সের ছাত্র। নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় প্রশ্ন বিতরণের সময় স্যার বললেন, ‘কার কার পদার্থ পরীক্ষা? দাঁড়াও।’ বিজ্ঞান বিভাগের সবাই-দাঁড়াল, কিছু না বুঝে আমিও দাঁড়ালাম। যেহেতু পদার্থ পরীক্ষা তাই স্যার বললেন, ‘তুমি কি পদার্থ? ’উত্তরে আমি বললাম, না স্যার, অপদার্থ।
সবাই তো হেসে খুন। সেদিন থেকে সবাই আমাকে অপদার্থ নামেই চেনে।
 আহাম্মেদ সেকুল

সম্মিলিত রাজা
এবার এইচএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় কমপ্লিটিং সেনটেন্স এসেছিল—উই উইশ...
আমার এক বন্ধু পেছন থেকে আমাকে বলল, ‘উই উইশ উই ওয়্যার এ কিং। কিরে, ঠিক আছে না?’
আমি বলি, হুম্, একদম ঠিক, আমরা সবাই একটা রাজা হব।
 মহিবুল আহসান

লিখুন ফেসবুকে, ছাপা হবে ‘রস+আলো’তে
পাঠক, এখন থেকে ফেসবুকে রস+আলোর পেজের মাধ্যমে আইডিয়া, মজার স্ট্যাটাস, ছবি, কার্টুন, প্যারোডি গল্প ইত্যাদি পাঠাতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.