সিটি করপোরেশন নির্বাচন: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জনগণ ও গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে by ওবায়দুল কাদের
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ফলাফল
বিশ্লেষণ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
চার
সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার বা
ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এটা জনগণের রায়। তাই আমি
নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন জানাই। এ নির্বাচনে সরকারি দল
পরাজিত হয়েছে।
কিন্তু এই ফলাফল সরকার ও সরকারি দল—উভয়ের জন্যই সতর্কবার্তা। এটা ভুল স্বীকার। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। ভুল সংশোধনের জন্য এ নির্বাচন যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে, তা হাতছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই।
বরিশাল, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী—এই চার সিটি করপোরেশনসহ মোট আটটি সিটি করপোরেশন এবং দুটি উপনির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নিয়েছে। এসব নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীন এবং কর্তৃত্বপূর্ণ, তা তর্কাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষতা আগামী সাধারণ নির্বাচনে নিরপেক্ষতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে এই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করবে।
আমি বলব, এই ফলাফল সত্যিই সরকার ও সরকারি দলের জন্য একটা সতর্কবার্তা। এই নির্বাচন এবং এর ফলাফলের রেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে শেষ হবে না। এটা সত্যি, নির্বাচনে সরকার ও সরকারি দল হেরে গেছে। সবগুলো সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হওয়া সত্ত্বেও সরকারি দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। কিন্তু নির্বাচনে জনগণ ও গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।
তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা স্থানীয় নির্বাচন। জাতীয় রাজনীতির প্রভাব এ নির্বাচনে থাকার কথা নয়। যেহেতু এ নির্বাচন দলভিত্তিক হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো এ নির্বাচনে অংশ নেয়, রাজনৈতিক নেতারাও নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যোগ দেন, কাজেই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও সেখানে জাতীয় রাজনীতির একটা প্রভাব থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সদ্য অনুষ্ঠিত চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জাতীয় রাজনীতির একটা প্রভাব ছিল।
রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তাঁরাই প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁরা নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে ব্যাপক কাজও করেছেন। বর্তমান সরকারও এসব সিটি করপোরেশনে উন্নয়নকাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এত উন্নয়নের পরও কেন সরকারি দল হেরেছে। একটা বিষয় সবাই ভুলে যায়। ১০টা উন্নয়নমূলক কাজকে একটা খারাপ আচরণ ম্লান করে দিতে পারে। আচরণগত ব্যাপারটা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে কৌশলগত ভুলও থাকতে পারে। আগে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়াও এ নির্বাচনে কাজ করতে পারে। সমন্বয়ের অভাব থাকতে পারে। সাংগঠনিক দুর্বলতাও থাকতে পারে। তবে সাংগঠনিক দুর্বলতা যে ছিল এবং আছে তাতে সন্দেহ নেই।
কথা উঠেছে, এ নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার হয়েছে। ধর্মের ব্যবহার যদি হয়েই থাকে, যাঁরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন,
তাঁরা জনমতকে প্রভাবিত করতে পারেননি, এটি নিশ্চয়ই তাঁদের ব্যর্থতা। পাশাপাশি নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির প্রচারণায়ও হয়তো দুর্বলতা ছিল।
এই নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ
থাকলে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব। সদ্য অনুষ্ঠিত চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হওয়ায় তা প্রমাণিত হয়েছে।
এটা সত্য, এই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করবে।
ওবায়দুল কাদের: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী।
কিন্তু এই ফলাফল সরকার ও সরকারি দল—উভয়ের জন্যই সতর্কবার্তা। এটা ভুল স্বীকার। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। ভুল সংশোধনের জন্য এ নির্বাচন যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে, তা হাতছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই।
বরিশাল, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী—এই চার সিটি করপোরেশনসহ মোট আটটি সিটি করপোরেশন এবং দুটি উপনির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নিয়েছে। এসব নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীন এবং কর্তৃত্বপূর্ণ, তা তর্কাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষতা আগামী সাধারণ নির্বাচনে নিরপেক্ষতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে এই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করবে।
আমি বলব, এই ফলাফল সত্যিই সরকার ও সরকারি দলের জন্য একটা সতর্কবার্তা। এই নির্বাচন এবং এর ফলাফলের রেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে শেষ হবে না। এটা সত্যি, নির্বাচনে সরকার ও সরকারি দল হেরে গেছে। সবগুলো সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হওয়া সত্ত্বেও সরকারি দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। কিন্তু নির্বাচনে জনগণ ও গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।
তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা স্থানীয় নির্বাচন। জাতীয় রাজনীতির প্রভাব এ নির্বাচনে থাকার কথা নয়। যেহেতু এ নির্বাচন দলভিত্তিক হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো এ নির্বাচনে অংশ নেয়, রাজনৈতিক নেতারাও নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যোগ দেন, কাজেই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও সেখানে জাতীয় রাজনীতির একটা প্রভাব থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সদ্য অনুষ্ঠিত চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জাতীয় রাজনীতির একটা প্রভাব ছিল।
রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তাঁরাই প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁরা নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে ব্যাপক কাজও করেছেন। বর্তমান সরকারও এসব সিটি করপোরেশনে উন্নয়নকাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এত উন্নয়নের পরও কেন সরকারি দল হেরেছে। একটা বিষয় সবাই ভুলে যায়। ১০টা উন্নয়নমূলক কাজকে একটা খারাপ আচরণ ম্লান করে দিতে পারে। আচরণগত ব্যাপারটা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে কৌশলগত ভুলও থাকতে পারে। আগে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়াও এ নির্বাচনে কাজ করতে পারে। সমন্বয়ের অভাব থাকতে পারে। সাংগঠনিক দুর্বলতাও থাকতে পারে। তবে সাংগঠনিক দুর্বলতা যে ছিল এবং আছে তাতে সন্দেহ নেই।
কথা উঠেছে, এ নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার হয়েছে। ধর্মের ব্যবহার যদি হয়েই থাকে, যাঁরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন,
তাঁরা জনমতকে প্রভাবিত করতে পারেননি, এটি নিশ্চয়ই তাঁদের ব্যর্থতা। পাশাপাশি নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির প্রচারণায়ও হয়তো দুর্বলতা ছিল।
এই নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ
থাকলে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব। সদ্য অনুষ্ঠিত চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হওয়ায় তা প্রমাণিত হয়েছে।
এটা সত্য, এই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করবে।
ওবায়দুল কাদের: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী।
No comments