সিরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছেন পশ্চিমা নেতারা
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে নির্বিচার সহিংসতার পথ বেছে নেওয়ায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে আলাদাভাবে টেলিফোনে দামেস্কের বিরুদ্ধে নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।
বাশার আল-আসাদকে পদত্যাগ করতে ওয়াশিংটনের সরাসরি আহ্বান জানানোর প্রস্তুতির মধ্যেই তিন শীর্ষ নেতার এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো। ওয়াশিংটন চলতি সপ্তাহে বলেছে, সিরীয় সরকারে বাশারের উপস্থিতি অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে একটি কঠিন পথের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে সিরিয়ার বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, গত শুক্রবার দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। তবে সরকারের এই কঠোর দমন-পীড়নের পরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ছাড়েনি।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে আসাদ সরকারের অব্যাহত দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন নেতারা (ওবামা, সারকোজি ও মেরকেল)। সিরীয় সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁরা আসাদ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং সিরীয় জনগণকে সহায়তা করতে বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।’
তবে নতুন কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশের নাগরিকদের সিরিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
হামা শহর থেকে সম্প্রচারিত সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়েছে, এই শহর বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে হামা শহর আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে। গত কয়েক দিনে শহরটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা তলব করা হয়েছে। ট্যাংক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
সিরিয়াভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার দামেস্কের শহরতলিতেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। ইন্টারনেটে প্রকাশ করা ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, সেখানকার বিক্ষোভকারীরা ‘হামাবাসী, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি’ এবং ‘চলে যাও বাশার’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
সিরিয়ান লিগ ফর ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান আবদেল করিম রিহাবি বলেছেন, দির আল-জুর শহরে ৩০ হাজারের বেশি লোক বিক্ষোভ করেছে।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, গত মার্চে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার লোক মারা গেছে।
বাশার আল-আসাদকে পদত্যাগ করতে ওয়াশিংটনের সরাসরি আহ্বান জানানোর প্রস্তুতির মধ্যেই তিন শীর্ষ নেতার এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো। ওয়াশিংটন চলতি সপ্তাহে বলেছে, সিরীয় সরকারে বাশারের উপস্থিতি অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে একটি কঠিন পথের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে সিরিয়ার বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, গত শুক্রবার দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। তবে সরকারের এই কঠোর দমন-পীড়নের পরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ছাড়েনি।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে আসাদ সরকারের অব্যাহত দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন নেতারা (ওবামা, সারকোজি ও মেরকেল)। সিরীয় সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁরা আসাদ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং সিরীয় জনগণকে সহায়তা করতে বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।’
তবে নতুন কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশের নাগরিকদের সিরিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
হামা শহর থেকে সম্প্রচারিত সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়েছে, এই শহর বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে হামা শহর আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে। গত কয়েক দিনে শহরটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা তলব করা হয়েছে। ট্যাংক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
সিরিয়াভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার দামেস্কের শহরতলিতেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। ইন্টারনেটে প্রকাশ করা ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, সেখানকার বিক্ষোভকারীরা ‘হামাবাসী, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি’ এবং ‘চলে যাও বাশার’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
সিরিয়ান লিগ ফর ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান আবদেল করিম রিহাবি বলেছেন, দির আল-জুর শহরে ৩০ হাজারের বেশি লোক বিক্ষোভ করেছে।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, গত মার্চে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার লোক মারা গেছে।
No comments