হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৩১ মার্কিন সেনা নিহত
আফাগানিস্তানের ওয়ারদাক প্রদেশে গত শুক্রবার রাতে তালেবানের গুলিতে একটি মার্কিন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর ৩১ জন ও সাত আফগান সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। প্রদেশের একজন মুখপাত্র এই তথ্য দিয়েছেন।
শহীদুল্লাহ শহীদ নামে ওই মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, প্রদেশের সাইদ আবাদ এলাকায় তালেবানের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তাঁদের যোদ্ধারা গুলি করে হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করেছে। এটি ছিল মার্কিন চিনুক হেলিকপ্টার।
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনী (আইএসএএফ) ও আফগান সরকারের পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মার্কিন ও আফগান সেনা নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে হেলিকপ্টারটি তালেবান জঙ্গিরা গুলি করে ভূপাতিত করেছে, নাকি অন্য কোনো কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা নিশ্চিত করেনি আইএসএএফ।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর এটাই তালেবানের হামলায় এক দিনে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।
৩১ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার এ ঘটনায় আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ন্যাটোর ওই হেলিকপ্টার ওয়ারদাক প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়। এতে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর ৩১ জন ও সাত আফগান সেনাসদস্য ছিলেন। তাঁদের সবাই নিহত হয়েছেন।
অইএসএএফের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনার ব্যাপারে যথাযথ সময়ে তাঁদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হবে।
মুহাম্মদ সাবের নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, ‘শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকের ঘটনা। আমাদের গ্রামের ওপর কয়েকটি হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখি। আমি তখন বাড়িতেই ছিলাম। একপর্যায়ে গ্রামের এক তালেবান কমান্ডারের বাড়ির ছাদে একটি হেলিকপ্টার নামতে দেখি। আর তখনই গোলাগুলি শুরু হয়। পরে হেলিকপ্টারটি আবার উড্ডয়ন করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ভূপাতিত ও বিধ্বস্ত হয়।’
২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর পর থেকে ন্যাটোর নেতৃত্বে দেশটিতে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার বিদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে। হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে তালেবানরা বিদেশি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। এর আগে ২০০৫ সালের ২৮ জুন কুনার প্রদেশে তালেবানের রকেট হামলায় মার্কিন চিনুক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৬ জন মার্কিন সেনাসদস্য নিহত হন।
শহীদুল্লাহ শহীদ নামে ওই মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, প্রদেশের সাইদ আবাদ এলাকায় তালেবানের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তাঁদের যোদ্ধারা গুলি করে হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করেছে। এটি ছিল মার্কিন চিনুক হেলিকপ্টার।
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনী (আইএসএএফ) ও আফগান সরকারের পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মার্কিন ও আফগান সেনা নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে হেলিকপ্টারটি তালেবান জঙ্গিরা গুলি করে ভূপাতিত করেছে, নাকি অন্য কোনো কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা নিশ্চিত করেনি আইএসএএফ।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর এটাই তালেবানের হামলায় এক দিনে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।
৩১ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার এ ঘটনায় আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ন্যাটোর ওই হেলিকপ্টার ওয়ারদাক প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়। এতে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর ৩১ জন ও সাত আফগান সেনাসদস্য ছিলেন। তাঁদের সবাই নিহত হয়েছেন।
অইএসএএফের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনার ব্যাপারে যথাযথ সময়ে তাঁদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হবে।
মুহাম্মদ সাবের নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, ‘শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকের ঘটনা। আমাদের গ্রামের ওপর কয়েকটি হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখি। আমি তখন বাড়িতেই ছিলাম। একপর্যায়ে গ্রামের এক তালেবান কমান্ডারের বাড়ির ছাদে একটি হেলিকপ্টার নামতে দেখি। আর তখনই গোলাগুলি শুরু হয়। পরে হেলিকপ্টারটি আবার উড্ডয়ন করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ভূপাতিত ও বিধ্বস্ত হয়।’
২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর পর থেকে ন্যাটোর নেতৃত্বে দেশটিতে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার বিদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে। হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে তালেবানরা বিদেশি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। এর আগে ২০০৫ সালের ২৮ জুন কুনার প্রদেশে তালেবানের রকেট হামলায় মার্কিন চিনুক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৬ জন মার্কিন সেনাসদস্য নিহত হন।
No comments