জিম্বাবুয়েতে নির্যাতন ক্যাম্পের সন্ধান
জিম্বাবুয়েতে বন্দীদের নির্যাতন করা হয়—এমন একটি ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর ক্যাম্পটি পরিচালনা করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। জিম্বাবুয়ের খনিক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ম্যারেঞ্জ এলাকায় এই ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া গেছে। ম্যারেঞ্জ বিশ্বের হীরকক্ষেত্রগুলোর একটি।
বিবিসির অনুসন্ধানমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘প্যানোরামা’র এক অনুসন্ধানে এ নির্যাতন ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্ভবত, তিন বছর ধরে নির্যাতন ক্যাম্পটি চালু রয়েছে। তবে এ বিষয়ে জিম্বাবুয়ের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রধান নির্যাতন ক্যাম্পটি স্থানীয়ভাবে ‘ডায়মন্ড বেস’ নামে পরিচিত। এটি হীরার খনি এমবাদা থেকে প্রায় এক মাইল দূরে জেনগেনি এলাকায় অবস্থিত। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের এক বন্ধু এমবাদা খনির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটা প্রত্যন্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর নির্যাতন ক্যাম্পের একটি।
গত ফেব্রুয়ারিতে নির্যাতন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, ‘এটা একটি নির্যাতনকেন্দ্র। খনিশ্রমিকেরা কাজে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। নারীশ্রমিকদের করা হয় ধর্ষণ।’
ক্যাম্পে নির্যাতনের ফলে হাত অকেজো হওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘চাবুক দিয়ে সকালে ৪০ বার, দুপুরে ৪০ বার ও সন্ধ্যায় ৪০ বার আঘাত করা হয়। তাঁরা লাঠি দিয়ে পায়ের নিচে পেটাত, তখন আমি মাটিতে পড়ে যেতাম। পাথর দিয়েও মাঝে মাঝে আমরা পায়ের গোড়ালিতে আঘাত করা হতো। এখানে পুরুষদের বেশ কিছুদিন রাখা হয়। তবে নতুন বন্দীরা এলে পুরোনোদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, প্রায়ই দেখা যায় ধর্ষণের পর নারীদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে প্রধান নির্যাতন ক্যাম্পে কাজ করেছেন দেশটির এমন একজন সাবেক আধা-সামরিক পুলিশ সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিবিসিকে জানান, তিনি নিজে অনেকের সামনে চাবুক দিয়ে বন্দীদের যৌনাঙ্গে আঘাত করে নির্যাতন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বন্দীদের আঘাত করার জন্য কুকুরও ব্যবহার করা হতো। বন্দীদের হাতকড়া পরানো থাকত, ফলে কুকুর বন্দীকে সহজেই কামড়াতে পারত। বন্দীদের চি ৎ কারে তখন এক নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হতো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিম্বাবুয়ের একজন সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, কোনো বন্দী মারা গেলে সেনারা সেটা প্রকাশ করে না। কারণ সেটা তারা জানাতে চায় না।
হীরার আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে নীতিনির্ধারণের আন্তর্জাতিক সংস্থা কিম্বারলি প্রসেস (কেপি) ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের হীরার বাণিজ্যের ওপর স্বল্পপরিসরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সম্ভবত, ম্যারেঞ্জ হীরা অঞ্চলে জিম্বাবুয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সংস্থাটি। ২০১০ সালের আগস্টে কেপির প্রতিনিধিরা এ অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং এলাকাটিতে সমস্যা রয়েছে বলে অভিহিত করেন। কেপি জিম্বাবুয়ের পুলিশকে এ হীরকক্ষেত্রটি নিরাপদ রাখতে অনুরোধও করেন।
কেপির পর্যবেক্ষণ দলের মুখপাত্র নিক ওয়েস্টকট বিবিসির এ অনুসন্ধান সম্পর্কে বলেন, কেপি যে বিষয়গুলো পেয়েছিল সেগুলোর তুলনায় এটা কিছুই নয়।
বিবিসির অনুসন্ধানমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘প্যানোরামা’র এক অনুসন্ধানে এ নির্যাতন ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্ভবত, তিন বছর ধরে নির্যাতন ক্যাম্পটি চালু রয়েছে। তবে এ বিষয়ে জিম্বাবুয়ের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রধান নির্যাতন ক্যাম্পটি স্থানীয়ভাবে ‘ডায়মন্ড বেস’ নামে পরিচিত। এটি হীরার খনি এমবাদা থেকে প্রায় এক মাইল দূরে জেনগেনি এলাকায় অবস্থিত। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের এক বন্ধু এমবাদা খনির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটা প্রত্যন্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর নির্যাতন ক্যাম্পের একটি।
গত ফেব্রুয়ারিতে নির্যাতন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, ‘এটা একটি নির্যাতনকেন্দ্র। খনিশ্রমিকেরা কাজে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। নারীশ্রমিকদের করা হয় ধর্ষণ।’
ক্যাম্পে নির্যাতনের ফলে হাত অকেজো হওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘চাবুক দিয়ে সকালে ৪০ বার, দুপুরে ৪০ বার ও সন্ধ্যায় ৪০ বার আঘাত করা হয়। তাঁরা লাঠি দিয়ে পায়ের নিচে পেটাত, তখন আমি মাটিতে পড়ে যেতাম। পাথর দিয়েও মাঝে মাঝে আমরা পায়ের গোড়ালিতে আঘাত করা হতো। এখানে পুরুষদের বেশ কিছুদিন রাখা হয়। তবে নতুন বন্দীরা এলে পুরোনোদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, প্রায়ই দেখা যায় ধর্ষণের পর নারীদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে প্রধান নির্যাতন ক্যাম্পে কাজ করেছেন দেশটির এমন একজন সাবেক আধা-সামরিক পুলিশ সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিবিসিকে জানান, তিনি নিজে অনেকের সামনে চাবুক দিয়ে বন্দীদের যৌনাঙ্গে আঘাত করে নির্যাতন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বন্দীদের আঘাত করার জন্য কুকুরও ব্যবহার করা হতো। বন্দীদের হাতকড়া পরানো থাকত, ফলে কুকুর বন্দীকে সহজেই কামড়াতে পারত। বন্দীদের চি ৎ কারে তখন এক নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হতো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিম্বাবুয়ের একজন সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, কোনো বন্দী মারা গেলে সেনারা সেটা প্রকাশ করে না। কারণ সেটা তারা জানাতে চায় না।
হীরার আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে নীতিনির্ধারণের আন্তর্জাতিক সংস্থা কিম্বারলি প্রসেস (কেপি) ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের হীরার বাণিজ্যের ওপর স্বল্পপরিসরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সম্ভবত, ম্যারেঞ্জ হীরা অঞ্চলে জিম্বাবুয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সংস্থাটি। ২০১০ সালের আগস্টে কেপির প্রতিনিধিরা এ অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং এলাকাটিতে সমস্যা রয়েছে বলে অভিহিত করেন। কেপি জিম্বাবুয়ের পুলিশকে এ হীরকক্ষেত্রটি নিরাপদ রাখতে অনুরোধও করেন।
কেপির পর্যবেক্ষণ দলের মুখপাত্র নিক ওয়েস্টকট বিবিসির এ অনুসন্ধান সম্পর্কে বলেন, কেপি যে বিষয়গুলো পেয়েছিল সেগুলোর তুলনায় এটা কিছুই নয়।
No comments