তামিমকে মুখেও জবাব টেলরের
সানগ্লাসে চোখ দুটি ঢাকা। পুরস্কার বিতরণী শেষে মাঠে দাঁড়িয়ে স্টুয়ার্ট ল। মনটা খুব খারাপ, সেটি তো না বললেও চলে। ‘হাই স্টুয়ার্ট, বাংলাদেশের কোচ হিসেবে সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে শুরু, তাই না?’ কথাটা শুনে লর মুখে অদ্ভুত একটা হাসি ফুটল, ‘থ্যাংকস্ মেট।’ এরপর তীব্র ব্যঙ্গের সুরে নিজে থেকেই বললেন, ‘শুধু শুধু বড় বড় কথা। কথা একটু বেশিই হয়েছে। এখন সময় হয়েছে মুখ বন্ধ রেখে কিছু করে দেখানোর। বড় বড় কথা বলে সেটিকে কাজে পরিণত করতে না পারলে তা গাধার মতো দেখায়।’
স্টুয়ার্ট ল নির্দিষ্ট কারও নাম বলেননি। হয়তো সব খেলোয়াড় সম্পর্কেই বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা সবাই ধরে নিলেন, কথাটা তামিম ইকবাল সম্পর্কেই বললেন ল। কথা যে বাংলাদেশের বাঁ হাতি ওপেনারই বেশি বলেছেন। টেস্ট শুরুর আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষা ৎ কারে ঘোষণা করে দিয়েছেন, বাংলাদেশ সামর্থ্যের ৭০ ভাগ খেলতে পারলেও এই টেস্ট জিতবে। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তাচ্ছিল্যভরে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বের সেরা বোলারদের খেলেছি। ওদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে যাব কেন?’
ম্যাচের আগে এমন কথাবার্তা মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বিবেচিত। সমস্যা একটাই, যেটি স্টুয়ার্ট ল বললেন। সেই কথাকে কাজে পরিণত করতে না পারলে তখন নিজেকে ‘গাধা’ হয়ে যেতে হয়। দুই ইনিংসে ১৫ ও ৪৩। আগের দুই টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল, টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির বদলে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৮ রান—বাংলাদেশের পরাজয়ের দায়ভার তো তামিমের ওপর ভালোই বর্তায়।
তামিম ইকবাল অবশ্য বলতে পারেন, ‘আমি বলেছিলাম বাংলাদেশ ৭০ ভাগ খেলতে পারলেই জিতবে। আমরা ৭০ ভাগ খেলতে পারিনি।’ সমস্যা হলো, কোনো দলের ১০০ ভাগ খেলা বলতে কী বোঝায়, তার কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই। প্রতিপক্ষ কেমন খেলে, তার ওপরও তো নির্ভর করে নিজেদের খেলা। প্রতিপক্ষ ভালো বোলিং করলে ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করলে কঠিন হয়ে যায় বোলিং। এই টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই তো জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এক শ গজ এগিয়ে থাকল।
ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে গেলে হতো। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি পেসার ব্রায়ান ভিটরিকে ‘অর্ডিনারি’ বানিয়ে দিলেন তামিম। আরেক পেসার কাইল জার্ভিসকে দয়া করে বললেন, ‘হি ইজ ওকে’। ‘অর্ডিনারি’ আর ‘ওকে’ দুই পেসারই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে উপহার দিলেন লজ্জায় মুখ লুকোনোর মতো পরাজয়।
তামিমের ওই মন্তব্য জিম্বাবুয়ে শিবিরে দ্রুতই পৌঁছে যায়। টেস্ট জেতার পর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর সেটির কড়া জবাব দেওয়ার সুযোগটাও ছাড়লেন না, ‘ওসব মন্তব্য আমাদের অনেক উদ্দীপিত করেছে। আমার তো মনে হয়, এই ম্যাচে তামিমের পারফরম্যান্সও খুব অর্ডিনারি। কারণ ও ভালো খেলোয়াড়, দল ওর কাছ থেকে বড় রান প্রত্যাশা করেছিল। ও খামখেয়ালির মতো শট খেলে আউট হয়েছে। আমি মনে করি, মুখে বড় বড় কথা না বলে পারফরম্যান্সই যেন কথা বলে, এটি মনে রাখা ভালো। বাংলাদেশ সব সময়ই আমাদের সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে। বড় বড় কথা না বলে তামিমের উচিত নিজের দিকে তাকানো।’
তামিম যে ‘যুদ্ধ’ শুরু করে দিয়েছেন, নিশ্চিত থাকতে পারেন ওয়ানডে সিরিজ জুড়েই তা চলবে। তবে এই টেস্টের পর আপাতত মনে হয় তামিমের মুখ বন্ধ করে থাকাই ভালো। ব্রেন্ডন টেলর যেমন বলেছেন, পারফরম্যান্স কথা বললে মুখে আর কিছু বলতে হয় না।
স্টুয়ার্ট ল নির্দিষ্ট কারও নাম বলেননি। হয়তো সব খেলোয়াড় সম্পর্কেই বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা সবাই ধরে নিলেন, কথাটা তামিম ইকবাল সম্পর্কেই বললেন ল। কথা যে বাংলাদেশের বাঁ হাতি ওপেনারই বেশি বলেছেন। টেস্ট শুরুর আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষা ৎ কারে ঘোষণা করে দিয়েছেন, বাংলাদেশ সামর্থ্যের ৭০ ভাগ খেলতে পারলেও এই টেস্ট জিতবে। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তাচ্ছিল্যভরে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বের সেরা বোলারদের খেলেছি। ওদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে যাব কেন?’
ম্যাচের আগে এমন কথাবার্তা মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বিবেচিত। সমস্যা একটাই, যেটি স্টুয়ার্ট ল বললেন। সেই কথাকে কাজে পরিণত করতে না পারলে তখন নিজেকে ‘গাধা’ হয়ে যেতে হয়। দুই ইনিংসে ১৫ ও ৪৩। আগের দুই টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল, টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির বদলে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৮ রান—বাংলাদেশের পরাজয়ের দায়ভার তো তামিমের ওপর ভালোই বর্তায়।
তামিম ইকবাল অবশ্য বলতে পারেন, ‘আমি বলেছিলাম বাংলাদেশ ৭০ ভাগ খেলতে পারলেই জিতবে। আমরা ৭০ ভাগ খেলতে পারিনি।’ সমস্যা হলো, কোনো দলের ১০০ ভাগ খেলা বলতে কী বোঝায়, তার কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই। প্রতিপক্ষ কেমন খেলে, তার ওপরও তো নির্ভর করে নিজেদের খেলা। প্রতিপক্ষ ভালো বোলিং করলে ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করলে কঠিন হয়ে যায় বোলিং। এই টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই তো জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এক শ গজ এগিয়ে থাকল।
ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে গেলে হতো। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি পেসার ব্রায়ান ভিটরিকে ‘অর্ডিনারি’ বানিয়ে দিলেন তামিম। আরেক পেসার কাইল জার্ভিসকে দয়া করে বললেন, ‘হি ইজ ওকে’। ‘অর্ডিনারি’ আর ‘ওকে’ দুই পেসারই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে উপহার দিলেন লজ্জায় মুখ লুকোনোর মতো পরাজয়।
তামিমের ওই মন্তব্য জিম্বাবুয়ে শিবিরে দ্রুতই পৌঁছে যায়। টেস্ট জেতার পর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর সেটির কড়া জবাব দেওয়ার সুযোগটাও ছাড়লেন না, ‘ওসব মন্তব্য আমাদের অনেক উদ্দীপিত করেছে। আমার তো মনে হয়, এই ম্যাচে তামিমের পারফরম্যান্সও খুব অর্ডিনারি। কারণ ও ভালো খেলোয়াড়, দল ওর কাছ থেকে বড় রান প্রত্যাশা করেছিল। ও খামখেয়ালির মতো শট খেলে আউট হয়েছে। আমি মনে করি, মুখে বড় বড় কথা না বলে পারফরম্যান্সই যেন কথা বলে, এটি মনে রাখা ভালো। বাংলাদেশ সব সময়ই আমাদের সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে। বড় বড় কথা না বলে তামিমের উচিত নিজের দিকে তাকানো।’
তামিম যে ‘যুদ্ধ’ শুরু করে দিয়েছেন, নিশ্চিত থাকতে পারেন ওয়ানডে সিরিজ জুড়েই তা চলবে। তবে এই টেস্টের পর আপাতত মনে হয় তামিমের মুখ বন্ধ করে থাকাই ভালো। ব্রেন্ডন টেলর যেমন বলেছেন, পারফরম্যান্স কথা বললে মুখে আর কিছু বলতে হয় না।
No comments