লন্ডনে হামলা-লুটপাট চলছেই
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গত রোববার রাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ও লুটপাট ছড়িয়ে পড়ে টটেনহামের বাইরে শহরের অন্যান্য এলাকায়। এতে আহত হয়েছে অনেকে। সারা রাতে পুলিশ শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে পুলিশ দাবি করেছে, শনিবার রাতের তুলনায় রোববার রাতের বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এ সময় তাদের নয় সদস্য আহত হয়।
লন্ডনের ডেপুটি মেয়র কিট ম্যালথাউস বলেছেন, পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর নিয়ে উদ্বেগ থেকে নয়, বরং লুটপাট চালানোর উদ্দেশ্যেই অল্প কিছু অপরাধী এ বিক্ষোভ ও সহিংসতায় মদদ দিচ্ছে।
স্কাই নিউজকে ম্যালথাউস বলেন, লন্ডনের অধিবাসীদের মধ্যেই কিছু মানুষ আছে, যারা সুযোগ পেলেই কিছু হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারাই এ কাজ করছে। এ জন্য তারা বেছে বেছে দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে।
পুলিশ কমান্ডার ক্রিস্টিন জোনস বলেন, শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় রোববার রাতে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ শতাধিক মানুষকে আটক করে। গত শনিবার রাতে ও রোববার সকালে আটক করা হয়েছিল ৬১ জনকে।
গত বৃহস্পতিবার টটেনহাম এলাকায় পুলিশের গুলিতে ট্যাক্সির এক যাত্রী নিহত হন। এর প্রতিবাদে গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিক্ষুব্ধ লোকজন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে হামলা ও লুটপাট করে এবং আগুন দেয় গাড়িতে।
পরদিন গত রোববার রাতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে টটেনহামের বাইরে উত্তর লন্ডনের হ্যাকনি, এনফিলড, পন্ডার্স অ্যান্ড ও পালমার্স গ্রিন; পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথাম ফরেস্ট, চিংফোর্ড মাউন্ট ও দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটন, ক্রয়ডন এলাকায়। কোথাও কোথাও পুলিশের গাড়ি ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, মধ্য লন্ডনের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা অক্সফোর্ড স্ট্রিটের অনেক দোকানে হামলা ও লুটপাট চালান অর্ধশতাধিক যুবক। দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটন এলাকায়ও অনেক দোকানে লুটপাট হয়। গতকাল সোমবার সকালে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ।
এসব ঘটনার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রকে দায়ী করা হলেও স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, এটা মানুষের উদ্বেগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের ভয়ে তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে হচ্ছে।
তবে সাম্প্রদায়িক নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার আকস্মিকতা ও ব্যাপকতায় স্থানীয় ব্যক্তিরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় পার্লামেন্ট সদস্য ডেভিড ল্যামি বলেন, আটক করা ব্যক্তিদের অনেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। তারা বাইরে থেকে এসে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে। আর এ জন্য তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে।
গতকাল টাইমস পত্রিকায় ডেভিড ল্যামি লিখেছেন, গত দুই দিনের সহিংসতার ঘটনা কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। এটা টটেনহামের বাসিন্দাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা। টুইটারেই এর আয়োজন করা হয়েছে। একটি পরিবারের শোককে কাজে লাগিয়ে অন্য অনেক পরিবারের ওপর শোকের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
লন্ডনে কয়েক বছরের মধ্যে এটা অন্যতম বড় সংঘাতের ঘটনা। ১৯৮৫ সালে ব্রডওয়াটার ফার্ম এলাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন দাঙ্গা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, পুলিশের দুর্ব্যবহারের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। ব্রডওয়াটার এলাকার বাসিন্দা তুর্কি বংশোদ্ভূত এক যুবক বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি। কিন্তু ইদানীং দেখছি, পুলিশ বিনা কারণেই তুর্কি ও কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতন করছে।’
তবে পুলিশ দাবি করেছে, শনিবার রাতের তুলনায় রোববার রাতের বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এ সময় তাদের নয় সদস্য আহত হয়।
লন্ডনের ডেপুটি মেয়র কিট ম্যালথাউস বলেছেন, পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর নিয়ে উদ্বেগ থেকে নয়, বরং লুটপাট চালানোর উদ্দেশ্যেই অল্প কিছু অপরাধী এ বিক্ষোভ ও সহিংসতায় মদদ দিচ্ছে।
স্কাই নিউজকে ম্যালথাউস বলেন, লন্ডনের অধিবাসীদের মধ্যেই কিছু মানুষ আছে, যারা সুযোগ পেলেই কিছু হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারাই এ কাজ করছে। এ জন্য তারা বেছে বেছে দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে।
পুলিশ কমান্ডার ক্রিস্টিন জোনস বলেন, শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় রোববার রাতে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ শতাধিক মানুষকে আটক করে। গত শনিবার রাতে ও রোববার সকালে আটক করা হয়েছিল ৬১ জনকে।
গত বৃহস্পতিবার টটেনহাম এলাকায় পুলিশের গুলিতে ট্যাক্সির এক যাত্রী নিহত হন। এর প্রতিবাদে গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিক্ষুব্ধ লোকজন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে হামলা ও লুটপাট করে এবং আগুন দেয় গাড়িতে।
পরদিন গত রোববার রাতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে টটেনহামের বাইরে উত্তর লন্ডনের হ্যাকনি, এনফিলড, পন্ডার্স অ্যান্ড ও পালমার্স গ্রিন; পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথাম ফরেস্ট, চিংফোর্ড মাউন্ট ও দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটন, ক্রয়ডন এলাকায়। কোথাও কোথাও পুলিশের গাড়ি ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, মধ্য লন্ডনের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা অক্সফোর্ড স্ট্রিটের অনেক দোকানে হামলা ও লুটপাট চালান অর্ধশতাধিক যুবক। দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটন এলাকায়ও অনেক দোকানে লুটপাট হয়। গতকাল সোমবার সকালে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ।
এসব ঘটনার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রকে দায়ী করা হলেও স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, এটা মানুষের উদ্বেগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের ভয়ে তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে হচ্ছে।
তবে সাম্প্রদায়িক নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার আকস্মিকতা ও ব্যাপকতায় স্থানীয় ব্যক্তিরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় পার্লামেন্ট সদস্য ডেভিড ল্যামি বলেন, আটক করা ব্যক্তিদের অনেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। তারা বাইরে থেকে এসে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে। আর এ জন্য তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে।
গতকাল টাইমস পত্রিকায় ডেভিড ল্যামি লিখেছেন, গত দুই দিনের সহিংসতার ঘটনা কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। এটা টটেনহামের বাসিন্দাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা। টুইটারেই এর আয়োজন করা হয়েছে। একটি পরিবারের শোককে কাজে লাগিয়ে অন্য অনেক পরিবারের ওপর শোকের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
লন্ডনে কয়েক বছরের মধ্যে এটা অন্যতম বড় সংঘাতের ঘটনা। ১৯৮৫ সালে ব্রডওয়াটার ফার্ম এলাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন দাঙ্গা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, পুলিশের দুর্ব্যবহারের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। ব্রডওয়াটার এলাকার বাসিন্দা তুর্কি বংশোদ্ভূত এক যুবক বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি। কিন্তু ইদানীং দেখছি, পুলিশ বিনা কারণেই তুর্কি ও কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতন করছে।’
No comments