সিরিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব
সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের ওপর দমন অভিযানের প্রতিবাদে সে দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে সৌদি আরব। গত রোববার সিরিয়াজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যার পর সৌদি আরব তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিল।
গতকাল সোমবার আল-আরাবিয়া টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বলেন, সৌদি আরব সিরিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিচ্ছে। তিনি বলেন, সময় ফুরানোর আগেই হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাত বন্ধে দামেস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সৌদি আরব। এ ছাড়া সৌদির বাদশা সমন্বিত ও দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দামেস্কর প্রতি আহ্বান জানান।
সৌদির বাদশা বলেন, সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য দুটি পথ খোলা রয়েছে: সিরিয়া স্বেচ্ছায় যৌক্তিক পথ অবলম্বন করবে অথবা গভীর সংকট ও পরাজয়ের পথে এগিয়ে যাবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গতকাল বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান আরও জোরদার করেছেন। এদিন সেনারা দেইর আল-জর শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালায়। একজন বাসিন্দা জানান, শহরের আল-হাওয়িকা নামক জায়গায় ব্যাপক গুলি ও গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এখান বেসরকারি হাপাতালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং গোপন পুলিশের ভয়ে মানুষ আহত ব্যক্তিদের সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে পারছে না। শহর থেকে প্রাণভয়ে হাজার হাজার লোক পালিয়ে গেছে। সেনারা গতকাল পাশ্ববর্তী আল-জরা শহরেও হামলা চালায়।
দামেস্কে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট ফোর্ড যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশনকে সাক্ষা ৎ কারে বলেছেন, ওয়াশিংটন বাশার আল-আসাদের শাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আরব লিগ সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের ওপর দমন অভিযানের আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর সৌদি আরব রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহরের ওই পদক্ষেপ নেয়। গত রোববার আরব লিগ অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে সিরিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ ছাড়া ছয় জাতির গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলও (জিসিসি) প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সহিংসতার নিন্দা জানায়।
বিশ্লেষকেরা সৌদি আরবের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করছেন। কারণ, আগে আরব বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটিকে এ ধরনের ভূমিকায় দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরবের পদক্ষেপে দামেস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি সৌদি বাদশার বিবৃতি একটি শক্তিশালী বার্তা।
সৌদি বাদশার বিবৃতি প্রচারের কিছুক্ষণ পর আল-আরাবিয়া টেলিভিশন জানায়, কুয়েতের আইনপ্রণেতারা জিসিসির সদস্যদেশগুলোকে দামেস্ক থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার আল-আরাবিয়া টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বলেন, সৌদি আরব সিরিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিচ্ছে। তিনি বলেন, সময় ফুরানোর আগেই হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাত বন্ধে দামেস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সৌদি আরব। এ ছাড়া সৌদির বাদশা সমন্বিত ও দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দামেস্কর প্রতি আহ্বান জানান।
সৌদির বাদশা বলেন, সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য দুটি পথ খোলা রয়েছে: সিরিয়া স্বেচ্ছায় যৌক্তিক পথ অবলম্বন করবে অথবা গভীর সংকট ও পরাজয়ের পথে এগিয়ে যাবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গতকাল বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান আরও জোরদার করেছেন। এদিন সেনারা দেইর আল-জর শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালায়। একজন বাসিন্দা জানান, শহরের আল-হাওয়িকা নামক জায়গায় ব্যাপক গুলি ও গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এখান বেসরকারি হাপাতালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং গোপন পুলিশের ভয়ে মানুষ আহত ব্যক্তিদের সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে পারছে না। শহর থেকে প্রাণভয়ে হাজার হাজার লোক পালিয়ে গেছে। সেনারা গতকাল পাশ্ববর্তী আল-জরা শহরেও হামলা চালায়।
দামেস্কে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট ফোর্ড যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশনকে সাক্ষা ৎ কারে বলেছেন, ওয়াশিংটন বাশার আল-আসাদের শাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আরব লিগ সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের ওপর দমন অভিযানের আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর সৌদি আরব রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহরের ওই পদক্ষেপ নেয়। গত রোববার আরব লিগ অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে সিরিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ ছাড়া ছয় জাতির গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলও (জিসিসি) প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সহিংসতার নিন্দা জানায়।
বিশ্লেষকেরা সৌদি আরবের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করছেন। কারণ, আগে আরব বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটিকে এ ধরনের ভূমিকায় দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরবের পদক্ষেপে দামেস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি সৌদি বাদশার বিবৃতি একটি শক্তিশালী বার্তা।
সৌদি বাদশার বিবৃতি প্রচারের কিছুক্ষণ পর আল-আরাবিয়া টেলিভিশন জানায়, কুয়েতের আইনপ্রণেতারা জিসিসির সদস্যদেশগুলোকে দামেস্ক থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments