বাজার স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত কমিটি করা হবে
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি বাজারের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে সেসব সমস্যা নিরসনে কাজ করবে।
সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি (বিএমবিএ) ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমন্বিত কমিটি গঠনের ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোনো রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই রূপরেখা তৈরি করা হবে।’ তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণা ও পরামর্শ সেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক পরামর্শ সেবা সুনির্দিষ্ট করা, ডিসক্রিশনারি বা ঐচ্ছিক হিসাবধারীদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যাতে আরও সুচিন্তিত পরামর্শ ও সহায়তা দেয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বিএমবিএ নেতা সোনালি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ালিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এসইসি আমাদের ডেকেছিল। সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো বাজারে বিনিয়োগ করছি এবং তা চালিয়ে যাব। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতার কারণে বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাঁদের শিক্ষিত করতে পারলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
এসইসির মুখপাত্র জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে বাজারে গুজব রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী যেসব ব্যাংক তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমা (সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিট) অতিক্রম করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণ সমন্বয় করতে হবে, যা মোটেই সত্য নয়। এটি নিতান্তই গুজব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে।
বাজারচিত্র: সোমবার দরপতনের ধারা থেকে বের হয়ে এসেছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। দুই বাজারেই লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম ও সূচক বেড়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২২৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ২২৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দাম। দিনশেষে ঢাকার বাজারে ৪৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা কম।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল ৩২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে। সিএসইতে হাতবদল হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬২টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ১২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে দিন শেষে চট্টগ্রামের বাজারে ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকা কম।
পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এসইসিতে ১৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল দুপুরে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ফান্ডের আকার পাঁচ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা, পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পুনর্বিনিয়োগে বাধ্য করা, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত এসএলআর ও সিআরআরের হার কমানো, বাজারে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে নিয়ে আসা, কোনো কোম্পানি আইপিওতে আসার ক্ষেত্রে মূল্য আয় অনুপাত (পিই) ১৫ নির্ধারণ, সব কোম্পানির শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় রূপান্তর, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন, মার্জিন ঋণের হার ১:২ কার্যকর করা ইত্যাদি।
সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি (বিএমবিএ) ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমন্বিত কমিটি গঠনের ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোনো রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই রূপরেখা তৈরি করা হবে।’ তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণা ও পরামর্শ সেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক পরামর্শ সেবা সুনির্দিষ্ট করা, ডিসক্রিশনারি বা ঐচ্ছিক হিসাবধারীদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যাতে আরও সুচিন্তিত পরামর্শ ও সহায়তা দেয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বিএমবিএ নেতা সোনালি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ালিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এসইসি আমাদের ডেকেছিল। সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো বাজারে বিনিয়োগ করছি এবং তা চালিয়ে যাব। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতার কারণে বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাঁদের শিক্ষিত করতে পারলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
এসইসির মুখপাত্র জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে বাজারে গুজব রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী যেসব ব্যাংক তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমা (সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিট) অতিক্রম করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণ সমন্বয় করতে হবে, যা মোটেই সত্য নয়। এটি নিতান্তই গুজব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে।
বাজারচিত্র: সোমবার দরপতনের ধারা থেকে বের হয়ে এসেছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। দুই বাজারেই লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম ও সূচক বেড়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২২৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ২২৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দাম। দিনশেষে ঢাকার বাজারে ৪৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা কম।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল ৩২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে। সিএসইতে হাতবদল হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬২টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ১২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে দিন শেষে চট্টগ্রামের বাজারে ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকা কম।
পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এসইসিতে ১৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল দুপুরে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ফান্ডের আকার পাঁচ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা, পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পুনর্বিনিয়োগে বাধ্য করা, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত এসএলআর ও সিআরআরের হার কমানো, বাজারে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে নিয়ে আসা, কোনো কোম্পানি আইপিওতে আসার ক্ষেত্রে মূল্য আয় অনুপাত (পিই) ১৫ নির্ধারণ, সব কোম্পানির শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় রূপান্তর, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন, মার্জিন ঋণের হার ১:২ কার্যকর করা ইত্যাদি।
No comments