ক্রিকেটারদের দায়, বিসিবিরও কি নয়!
বিশ্ব ক্রিকেটে ‘দলনেতা’ পদটা বাংলাদেশের আবিষ্কার। প্রতি সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন পরিচালক দলনেতা হয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেন। জিম্বাবুয়ে সফরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দলনেতা হিসেবে এসেছেন শফিকুর রহমান, যাঁকে বাংলাদেশের পরাজয়ের পর খুব মর্মাহত দেখাল।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনমানসিকতায় আগে থেকেই একটু বিরক্ত ছিলেন। এমন লজ্জাজনক পরাজয়ের পর সেই বিরক্তি আরও বাড়বে স্বাভাবিক। যতটা পরাজয়ে, তার চেয়ে বেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে নিবেদনের অভাব দেখে।
হারারে টেস্টে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, সেটির জন্য সবার আগে খেলোয়াড়দেরই দাঁড়াতে হবে কাঠগড়ায়। পুরো দেশের মানুষ উন্মুখ প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে তাঁদের দিকে—এই উপলব্ধিটা সবার মধ্যে যে দায়িত্ববোধ জাগানোর কথা, সেটি অনেকটাই অনুপস্থিত। জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ পৌনে তিন দিনেই হেরে যাওয়ার পরও খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো বিকার নেই। টেস্ট ম্যাচ নিয়ে কথা উঠলে ‘ওটা আমরাই জিতব’ এমন একটা ভঙ্গি। টেস্ট শেষে শফিকুর রহমানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি নিশ্চয়ই খেলোয়াড়দের ধুয়ে দিতেন।
খেলোয়াড়দের দায় তো অবশ্যই আছে। তবে শফিকুর রহমানের কি নিজেরও একটু আয়নার সামনে দাঁড়ানো উচিত নয়? সেটি ব্যক্তি শফিকুর রহমান হিসেবে নয়, বিসিবির পরিচালক হিসেবে। মানুষ হিসেবে নিপাট ভদ্রলোক, ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ। কিন্তু বিসিবির প্রতিনিধি হিসেবে এই পরাজয়ের দায়ভার তো তাঁকেও নিতে হবে। বিসিবির দায়ও তো কম নয়।
দুই দলের মধ্যে খুব পার্থক্য নেই। মাঝখানে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটে লাগা আগুনের কল্যাণে বাংলাদেশই হয়তো এগিয়ে। কিন্তু হারারে টেস্টে দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধান গড়ে দিল প্রস্তুতি। একদল সাড়ে ছয় বছর পর টেস্ট খেলতে নামলেও সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছে। আরেক দল চৌদ্দ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে গেছে বলতে গেলে প্রস্তুতি ছাড়াই। ক্রিকেট এত সহজ খেলা নয়, টেস্ট ক্রিকেট তো নয়ই।
এই যে দুই দলের প্রস্তুতিতে যোজন যোজন ব্যবধান, সেটির দায় তো পুরোপুরিই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। বিজয়োল্লাসরত জিম্বাবুয়ে দলের পাশে দাঁড়িয়ে মাঠেই কথা বলছিলেন অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক। গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিকের মতো সাবেক খেলোয়াড়দের জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত করার মূলেও তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে এমন স্মরণীয় প্রত্যাবর্তনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত থাকবেন স্বাভাবিক। সেই উচ্ছ্বাসের মধ্যেও মনে করিয়ে দিলেন, অনেক পরিকল্পনা, অনেক প্রস্তুতির ফসল এই জয়, ‘এমন না যে, আমরা হঠা ৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই বছর আগে থেকে আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলেছি হিসাব করে। যখন মনে হয়েছে আমরা পুরো প্রস্তুত, তখনই ফিরেছি।’
সেই প্রস্তুতির পুরোটাই হয়েছে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের পরের মৌসুম থেকে ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস টুর্নামেন্টে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বিদেশি কোচরা এসেছেন, ব্রায়ান লারার মতো নামী বিদেশি খেলোয়াড়েরাও। ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষে জিম্বাবুইয়ান খেলোয়াড়েরা দুই বছরে বারবার ২৪টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন। এর বাইরেও দেশে ও দেশের বাইরে খেলেছেন বিভিন্ন দেশের ‘এ’ দলের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই টেস্টের আগে দেশে খেলেছেন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সঙ্গে। যে কারণে জিম্বাবুয়ের কোচ অ্যালান বুচার বলতে পারছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া “এ” দলের সঙ্গে সিরিজটা আমাদের খুব কাজে লেগেছে। জিততে না পারলেও এটি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। যে কারণে আমরা এই টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে নয়, জেতার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছি।’ অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর নিজেদের কৃতিত্ব খাটো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েও বলে দিলেন, ‘আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল। ওরা অনেক দিন লংগার ভার্সন ম্যাচ খেলেনি।’
অনেক দিন মানে টেস্ট বিরতির ওই চৌদ্দ মাসই। তামিম ইকবালের মতো অনেকের জন্য গত বছর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের পর হারারে টেস্টই প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ। মাঝের সময়টায় বিসিবি কী করেছে, সেটিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। চৌদ্দ মাস পর টেস্ট খেলার ব্যাপারটি তো আর হঠা ৎ জানা যায়নি। আবার টেস্টে ফেরার আগে কেন সেটি নিয়ে ভাবা হয়নি? শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাচ খেলার চেষ্টাটাকে লোক-দেখানো মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। জিম্বাবুয়েতে কদিন আগে এসে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বাড়তি কিছু টাকা খরচ হবে বলে। বিসিবির টাকা খরচ করার অগ্রাধিকার তালিকায় টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি যে অনেক পরে আসে। বাংলাদেশ দল টেস্টের প্রস্তুতি নিয়েছে একাডেমির কিশোরদের সঙ্গে ম্যাচ খেলে। তার একটি আবার হয়েছে এমন মাঠে, যেখানে মাঠের সোজাসুজি দৈর্ঘ্য কম বলে ‘সোজা মারলে রান নেই’ নিয়মে। অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল শুনলে নিশ্চিত হাসতে হাসতে বিষম খাবেন।
চৌদ্দ মাসের বিরতিতেও তো বিসিবির মূর্খামির দায় আছে। বাকি সব দেশ যখন টেস্ট ম্যাচ খেলছে, ‘বিশ্বকাপ জয়ের’ প্রস্তুতিতে ফাঁক না রাখতে চেয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১১ বছর পরও ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট হয়ে আছে তামাশা। এতটাই যে, বাংলাদেশের এই দলের বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর জাতীয় লিগে খেলেনইনি। বিসিবির এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই, সেখানে ব্যস্ততা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। বিসিবির পরিচালকদের মধ্যে সাবেক ক্রিকেটারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। অথচ জাতীয় লিগটাকে অর্থপূর্ণ করার চেষ্টা না করে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করে কী লাভ—এই প্রশ্নটা তোলার মতো কেউ নেই।
হারারে টেস্টে পরাজয়ের পর ক্রিকেটারদের কমিটমেন্ট নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে। সেটি অন্যায়ও হবে না। তবে একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের তুলনায় সম্ভবত ২০ গুণেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরিচালকসমৃদ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও কি কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত নয়?
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনমানসিকতায় আগে থেকেই একটু বিরক্ত ছিলেন। এমন লজ্জাজনক পরাজয়ের পর সেই বিরক্তি আরও বাড়বে স্বাভাবিক। যতটা পরাজয়ে, তার চেয়ে বেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে নিবেদনের অভাব দেখে।
হারারে টেস্টে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, সেটির জন্য সবার আগে খেলোয়াড়দেরই দাঁড়াতে হবে কাঠগড়ায়। পুরো দেশের মানুষ উন্মুখ প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে তাঁদের দিকে—এই উপলব্ধিটা সবার মধ্যে যে দায়িত্ববোধ জাগানোর কথা, সেটি অনেকটাই অনুপস্থিত। জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ পৌনে তিন দিনেই হেরে যাওয়ার পরও খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো বিকার নেই। টেস্ট ম্যাচ নিয়ে কথা উঠলে ‘ওটা আমরাই জিতব’ এমন একটা ভঙ্গি। টেস্ট শেষে শফিকুর রহমানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি নিশ্চয়ই খেলোয়াড়দের ধুয়ে দিতেন।
খেলোয়াড়দের দায় তো অবশ্যই আছে। তবে শফিকুর রহমানের কি নিজেরও একটু আয়নার সামনে দাঁড়ানো উচিত নয়? সেটি ব্যক্তি শফিকুর রহমান হিসেবে নয়, বিসিবির পরিচালক হিসেবে। মানুষ হিসেবে নিপাট ভদ্রলোক, ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ। কিন্তু বিসিবির প্রতিনিধি হিসেবে এই পরাজয়ের দায়ভার তো তাঁকেও নিতে হবে। বিসিবির দায়ও তো কম নয়।
দুই দলের মধ্যে খুব পার্থক্য নেই। মাঝখানে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটে লাগা আগুনের কল্যাণে বাংলাদেশই হয়তো এগিয়ে। কিন্তু হারারে টেস্টে দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধান গড়ে দিল প্রস্তুতি। একদল সাড়ে ছয় বছর পর টেস্ট খেলতে নামলেও সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছে। আরেক দল চৌদ্দ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে গেছে বলতে গেলে প্রস্তুতি ছাড়াই। ক্রিকেট এত সহজ খেলা নয়, টেস্ট ক্রিকেট তো নয়ই।
এই যে দুই দলের প্রস্তুতিতে যোজন যোজন ব্যবধান, সেটির দায় তো পুরোপুরিই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। বিজয়োল্লাসরত জিম্বাবুয়ে দলের পাশে দাঁড়িয়ে মাঠেই কথা বলছিলেন অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক। গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিকের মতো সাবেক খেলোয়াড়দের জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত করার মূলেও তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে এমন স্মরণীয় প্রত্যাবর্তনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত থাকবেন স্বাভাবিক। সেই উচ্ছ্বাসের মধ্যেও মনে করিয়ে দিলেন, অনেক পরিকল্পনা, অনেক প্রস্তুতির ফসল এই জয়, ‘এমন না যে, আমরা হঠা ৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই বছর আগে থেকে আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলেছি হিসাব করে। যখন মনে হয়েছে আমরা পুরো প্রস্তুত, তখনই ফিরেছি।’
সেই প্রস্তুতির পুরোটাই হয়েছে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের পরের মৌসুম থেকে ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস টুর্নামেন্টে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বিদেশি কোচরা এসেছেন, ব্রায়ান লারার মতো নামী বিদেশি খেলোয়াড়েরাও। ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষে জিম্বাবুইয়ান খেলোয়াড়েরা দুই বছরে বারবার ২৪টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন। এর বাইরেও দেশে ও দেশের বাইরে খেলেছেন বিভিন্ন দেশের ‘এ’ দলের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই টেস্টের আগে দেশে খেলেছেন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সঙ্গে। যে কারণে জিম্বাবুয়ের কোচ অ্যালান বুচার বলতে পারছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া “এ” দলের সঙ্গে সিরিজটা আমাদের খুব কাজে লেগেছে। জিততে না পারলেও এটি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। যে কারণে আমরা এই টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে নয়, জেতার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছি।’ অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর নিজেদের কৃতিত্ব খাটো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েও বলে দিলেন, ‘আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল। ওরা অনেক দিন লংগার ভার্সন ম্যাচ খেলেনি।’
অনেক দিন মানে টেস্ট বিরতির ওই চৌদ্দ মাসই। তামিম ইকবালের মতো অনেকের জন্য গত বছর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের পর হারারে টেস্টই প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ। মাঝের সময়টায় বিসিবি কী করেছে, সেটিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। চৌদ্দ মাস পর টেস্ট খেলার ব্যাপারটি তো আর হঠা ৎ জানা যায়নি। আবার টেস্টে ফেরার আগে কেন সেটি নিয়ে ভাবা হয়নি? শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাচ খেলার চেষ্টাটাকে লোক-দেখানো মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। জিম্বাবুয়েতে কদিন আগে এসে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বাড়তি কিছু টাকা খরচ হবে বলে। বিসিবির টাকা খরচ করার অগ্রাধিকার তালিকায় টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি যে অনেক পরে আসে। বাংলাদেশ দল টেস্টের প্রস্তুতি নিয়েছে একাডেমির কিশোরদের সঙ্গে ম্যাচ খেলে। তার একটি আবার হয়েছে এমন মাঠে, যেখানে মাঠের সোজাসুজি দৈর্ঘ্য কম বলে ‘সোজা মারলে রান নেই’ নিয়মে। অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল শুনলে নিশ্চিত হাসতে হাসতে বিষম খাবেন।
চৌদ্দ মাসের বিরতিতেও তো বিসিবির মূর্খামির দায় আছে। বাকি সব দেশ যখন টেস্ট ম্যাচ খেলছে, ‘বিশ্বকাপ জয়ের’ প্রস্তুতিতে ফাঁক না রাখতে চেয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১১ বছর পরও ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট হয়ে আছে তামাশা। এতটাই যে, বাংলাদেশের এই দলের বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর জাতীয় লিগে খেলেনইনি। বিসিবির এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই, সেখানে ব্যস্ততা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। বিসিবির পরিচালকদের মধ্যে সাবেক ক্রিকেটারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। অথচ জাতীয় লিগটাকে অর্থপূর্ণ করার চেষ্টা না করে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করে কী লাভ—এই প্রশ্নটা তোলার মতো কেউ নেই।
হারারে টেস্টে পরাজয়ের পর ক্রিকেটারদের কমিটমেন্ট নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে। সেটি অন্যায়ও হবে না। তবে একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের তুলনায় সম্ভবত ২০ গুণেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরিচালকসমৃদ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও কি কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত নয়?
No comments