তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি না হলে পরিস্থিতি হবে ভয়ানক
তালেবানের সঙ্গে পশ্চিমাদের আলোচনা চললেও আফগানিস্তানে সম্প্রতি রেকর্ড মাত্রায় তালেবান হামলা চলছে। এ অবস্থায় প্রধান প্রধান শহরের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে সেখান থেকে সরে আসছে ন্যাটো বাহিনী। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি না হলে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবারও হেরাত শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়ে সেখান থেকে সরে গেছে ন্যাটো বাহিনী। একই দিন তালেবান যোদ্ধাদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে আফগানিস্তান থেকে দুই ব্রিটিশ সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আফগান গোয়েন্দা সংস্থা বিবিসিকে বলেছে, হেরাতের একটি হোটেল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তবে আটক ওই দুই সেনার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এএফপির একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে জার্মানি ও কাতারে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর স্থায়ী ঘাঁটি ও স্থাপনা আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টানা ১০ বছর চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এখনো পৌঁছাতে পারেনি।
চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যাটো বাহিনী আফগান নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে হাজার দশেক ন্যাটো সেনার সে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিশিষ্ট আফগানিস্তান বিশেষজ্ঞ গিলেস ডরোনসরো বলেছেন, ২০১২ সালের গ্রীষ্মকেই কার্যত শান্তিচুক্তির সময়সীমা হিসেবে তাঁরা মনে করছেন। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনার সংখ্যা ও সেখানে বরাদ্দ করা ন্যাটো তহবিল এক-তৃতীয়াংশে এসে ঠেকবে। তাই তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করার এত বেশি প্রয়োজনীয়তা এর আগে কখনো তাঁরা মনে করেননি। তিনি বলেন, এ সময়সীমার পর তালেবানের চাপে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।
গিলেস ডরোনসরো বলেন, ন্যাটো বাহিনী সরে আসার পর তালেবান হামলা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আফগান সরকারের পক্ষে দুষ্কর হয়ে পড়বে।
গিলেস আরও বলেন, তালেবানের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে। তবে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে তালেবান আলোচনায় যেতে চাইবে না। কারণ, বিদেশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতিই হলো তাদের আপত্তির মূল বিষয়। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী ঘাঁটি থাকার বিষয়টিও আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য।
তবে অন্য বিশ্লেষকেরা বলেছেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের আলোচনার কথা শোনা গেলেও সম্প্রতি তালেবান যেভাবে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে শান্তিপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
গত মাসে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা সাংবাদিক ও আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ রশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০১০ সালের নভেম্বরে জার্মানির মিউনিখ শহরে প্রথমবারের মতো পশ্চিমাদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের মুখোমুখি বৈঠক হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবারও হেরাত শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়ে সেখান থেকে সরে গেছে ন্যাটো বাহিনী। একই দিন তালেবান যোদ্ধাদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে আফগানিস্তান থেকে দুই ব্রিটিশ সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আফগান গোয়েন্দা সংস্থা বিবিসিকে বলেছে, হেরাতের একটি হোটেল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তবে আটক ওই দুই সেনার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এএফপির একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে জার্মানি ও কাতারে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর স্থায়ী ঘাঁটি ও স্থাপনা আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টানা ১০ বছর চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এখনো পৌঁছাতে পারেনি।
চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যাটো বাহিনী আফগান নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে হাজার দশেক ন্যাটো সেনার সে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিশিষ্ট আফগানিস্তান বিশেষজ্ঞ গিলেস ডরোনসরো বলেছেন, ২০১২ সালের গ্রীষ্মকেই কার্যত শান্তিচুক্তির সময়সীমা হিসেবে তাঁরা মনে করছেন। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনার সংখ্যা ও সেখানে বরাদ্দ করা ন্যাটো তহবিল এক-তৃতীয়াংশে এসে ঠেকবে। তাই তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করার এত বেশি প্রয়োজনীয়তা এর আগে কখনো তাঁরা মনে করেননি। তিনি বলেন, এ সময়সীমার পর তালেবানের চাপে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।
গিলেস ডরোনসরো বলেন, ন্যাটো বাহিনী সরে আসার পর তালেবান হামলা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আফগান সরকারের পক্ষে দুষ্কর হয়ে পড়বে।
গিলেস আরও বলেন, তালেবানের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে। তবে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে তালেবান আলোচনায় যেতে চাইবে না। কারণ, বিদেশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতিই হলো তাদের আপত্তির মূল বিষয়। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী ঘাঁটি থাকার বিষয়টিও আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য।
তবে অন্য বিশ্লেষকেরা বলেছেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের আলোচনার কথা শোনা গেলেও সম্প্রতি তালেবান যেভাবে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে শান্তিপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
গত মাসে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা সাংবাদিক ও আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ রশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০১০ সালের নভেম্বরে জার্মানির মিউনিখ শহরে প্রথমবারের মতো পশ্চিমাদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের মুখোমুখি বৈঠক হয়।
No comments