জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে বিতর্ক চলাকালে তিনি এ কথা বলেন।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন সরাসরি বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি কি হুমকি নয়, তা নিয়ে একমত হতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো। এই মতভেদকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বান কি মুন বলেন, এ ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে বান কি মুন বলেন, ‘ধনী ও দরিদ্র উভয় দেশেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এতে শুধু প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে না, একই সঙ্গে অবকাঠামোর ক্ষতি ও বাজেটেও ঘাটতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক অশুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা নিরাপত্তা শূন্যতার হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।’
বান কি মুন আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন শুধু বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি বাড়িয়ে দিচ্ছে না, এটি স্বয়ং শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বর্তমান হুমকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরের উন্নয়নশীল ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর অনুরোধ সত্ত্বেও ওই বিবৃতিতে জলবায়ু পরিবর্তনকে সরাসরি হুমকি বলে অভিহিত করা হয়নি।
বৈঠকে মালদ্বীপ ও সিসিলির মতো দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে কথা বলেন নাউরুর প্রেসিডেন্ট মার্কাস স্টিফেন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়া সমুদ্রে পানির স্তর বেড়ে অনেক দ্বীপ দেশ চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘পরিষদের সদস্যরা যেহেতু নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন, সেহেতু শুধু সান্ত্বনার বাক্যই এখন আর যথেষ্ট নয়।’
স্টিফেন আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
জাতিসংঘে চীনের দূত ওয়াং মিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে কিন্তু একই সঙ্গে এটা প্রয়োজনীয় টেকসই উন্নয়নেরও বিষয়। আর তা মোকাবিলার মতো সম্পদ নিরাপত্তা পরিষদের নেই।
রাশিয়ার দূত ভিতালি চুরকিন বলেন, সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো যে উদ্বেগে আছে তার দেশও তা মনে করে। আর এই সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কনভেনশন কাজ করছে। কাজেই নিরাপত্তা পরিষদে বারবার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় রাশিয়া সন্ধিগ্ধ।
চীন ও রাশিয়ার এই অবস্থানের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের দূত বলেন, সুস্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ সত্ত্বেও নিরাপত্তা পরিষদ জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে অভিহিত করতে পারল না। এটা চরম হতাশার বিষয়। এটা দুঃখজনক, দৃষ্টিভঙ্গির ঘাটতি এবং খোলাখুলি বললে এটা দায়িত্বহীনতা।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন সরাসরি বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি কি হুমকি নয়, তা নিয়ে একমত হতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো। এই মতভেদকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বান কি মুন বলেন, এ ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে বান কি মুন বলেন, ‘ধনী ও দরিদ্র উভয় দেশেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এতে শুধু প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে না, একই সঙ্গে অবকাঠামোর ক্ষতি ও বাজেটেও ঘাটতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক অশুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা নিরাপত্তা শূন্যতার হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।’
বান কি মুন আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন শুধু বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি বাড়িয়ে দিচ্ছে না, এটি স্বয়ং শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বর্তমান হুমকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরের উন্নয়নশীল ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর অনুরোধ সত্ত্বেও ওই বিবৃতিতে জলবায়ু পরিবর্তনকে সরাসরি হুমকি বলে অভিহিত করা হয়নি।
বৈঠকে মালদ্বীপ ও সিসিলির মতো দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে কথা বলেন নাউরুর প্রেসিডেন্ট মার্কাস স্টিফেন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়া সমুদ্রে পানির স্তর বেড়ে অনেক দ্বীপ দেশ চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘পরিষদের সদস্যরা যেহেতু নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন, সেহেতু শুধু সান্ত্বনার বাক্যই এখন আর যথেষ্ট নয়।’
স্টিফেন আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
জাতিসংঘে চীনের দূত ওয়াং মিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে কিন্তু একই সঙ্গে এটা প্রয়োজনীয় টেকসই উন্নয়নেরও বিষয়। আর তা মোকাবিলার মতো সম্পদ নিরাপত্তা পরিষদের নেই।
রাশিয়ার দূত ভিতালি চুরকিন বলেন, সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো যে উদ্বেগে আছে তার দেশও তা মনে করে। আর এই সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কনভেনশন কাজ করছে। কাজেই নিরাপত্তা পরিষদে বারবার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় রাশিয়া সন্ধিগ্ধ।
চীন ও রাশিয়ার এই অবস্থানের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের দূত বলেন, সুস্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ সত্ত্বেও নিরাপত্তা পরিষদ জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে অভিহিত করতে পারল না। এটা চরম হতাশার বিষয়। এটা দুঃখজনক, দৃষ্টিভঙ্গির ঘাটতি এবং খোলাখুলি বললে এটা দায়িত্বহীনতা।
No comments