ভাগ্যতরীতে চেপে ফাইনালে প্যারাগুয়ে
একটাও ম্যাচ না জিতে কি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা সম্ভব? খুবই সম্ভব। সেটাই দেখিয়ে দিল প্যারাগুয়ে। এখন পর্যন্ত কোপায় পাঁচ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় নেই। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ ড্র করার পর কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে তারা হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। এবার সেমিফাইনালেও ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর সেই টাইব্রেকারেই ৫-৩ গোলে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে ৩২ বছর পর ফাইনালে উঠে গেল প্যারাগুয়ে। দুবারের চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়ে রোববার মুখোমুখি হবে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের।
ভাগ্যদেবী যেন এবার প্যারাগুয়ের ফাইনাল-নিয়তি নির্ধারণ করেই রেখেছিল। না হলে ভালো খেলেও কেন হেরে যাবে ভেনেজুয়েলা, কেন তিন-তিনবার গোলপোস্টে গিয়ে লাগবে বল, কেন বাতিল হয়ে যাবে ভেনেজুয়েলার একটা গোল! শেষ ১৮ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ঠিকই গোলপোস্ট অরক্ষিত রাখল প্যারাগুয়ে। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে আসা ভেনেজুয়েলার প্রথমবার ফাইনালে যেতে না পারা তাই নেহাতই দুর্ভাগ্য। অবশ্য এ জন্য নিজেকে দুষতে পারেন ফ্রাঙ্কলিন লুসেনা। টাইব্রেকারে ভেনেজুয়েলার হয়ে নেওয়া তাঁর তৃতীয় শটটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল ম্যাচের হিরো, প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক জাস্টো ভিলার।
কোপার গত ছয় ম্যাচের তিনটিই নির্ধারিত হলো টাইব্রেকারে। লাল কার্ডের ধারা বজায় থাকল এই ম্যাচেও। বরং রেফারি একটা লাল কার্ড কমই দেখিয়েছেন। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্যারাগুয়ের দারিও ভেরন ঢুঁস মেরেছিলেন নিকোলাস ফেদরকে। মেক্সিকান রেফারি অবশ্য শুধু হলুদ কার্ডই দেখিয়েছেন ভেরনকে। এই ভেরনই শেষ পর্যন্ত জয়সূচক পেনাল্টি শটটা নিয়েছেন প্যারাগুয়ের পক্ষে। লাল কার্ড অবশ্য প্যারাগুয়ে তিনটিই দেখেছে। রেফারির সঙ্গে তর্ক করে লাল কার্ড দেখেছেন প্যারাগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। মজার ব্যাপার, কয়েক মিনিট পর ডাগ-আউটে মার্টিনোর স্থলাভিষিক্ত সহকারীকেও লাল কার্ড দেখিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রেফারি।
সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি একটু উত্তপ্তই হয়ে উঠেছিল। যেটির রেশ ধরে ম্যাচ শেষে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। শেষে নিরাপত্তাকর্মী আর পুলিশকে এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে হয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভেনেজুয়েলা কোচ সিজার ফারিয়াস উত্তেজনা ছড়ানোর দায় প্যারাগুয়ের ওপরেই চাপিয়ে দিলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো অঘটনকে উসকে দিই না।’ ফাইনালে যেতে না পারলেও দক্ষিণ আমেরিকার নতুন ফুটবল শক্তি হিসেবে ভেনেজুয়েলার উত্থানটাই তাঁর কাছে তৃপ্তির হয়ে থাকল, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে, আমাদের পক্ষে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা কাউকেই আর ভয় পাই না। মাথা উঁচু করেই আমরা দেশে ফিরব। ফাইনালে যেতে না পারায় কাউকেই আমরা দুষছি না। আমরা অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের কাছেই হেরেছি।’
তবে ফারিয়াস এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভাগ্যটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় নির্ধারক, ‘আমি ওদের কৃতিত্ব খাটো করে দেখছি না। তার পরও বলতে হচ্ছে, প্যারাগুয়ে আজ (গতকাল) খুবই ভাগ্যবান ছিল। আমাদের একটা গোল বাতিল হয়েছে। তিনবার গোলপোস্টে বল লেগেছে। আমরা ওদের চেয়ে বেশি সুযোগও তৈরি করেছিলাম।’
ভাগ্যের পক্ষপাত পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক জাস্টো ভিলারও, ‘এমন নয় আমরা বেশি করে পেনাল্টির অনুশীলন করেছি। আমরা বরং সৌভাগ্যবান ছিলাম।’
সান্ত্বনার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে আগামীকাল পেরুর মুখোমুখি হবে ভেনেজুয়েলা। ১৯৫৩ ও ১৯৭৯ কোপার চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়ের সামনে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জেতার সুযোগ। তবে রেকর্ড ১৫ নম্বর শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় থাকা উরুগুয়ে-বাধা কঠিনই হবে তাদের জন্য। যদি না এবারও ভাগ্য তাদের পক্ষেই যায়!
ভাগ্যদেবী যেন এবার প্যারাগুয়ের ফাইনাল-নিয়তি নির্ধারণ করেই রেখেছিল। না হলে ভালো খেলেও কেন হেরে যাবে ভেনেজুয়েলা, কেন তিন-তিনবার গোলপোস্টে গিয়ে লাগবে বল, কেন বাতিল হয়ে যাবে ভেনেজুয়েলার একটা গোল! শেষ ১৮ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ঠিকই গোলপোস্ট অরক্ষিত রাখল প্যারাগুয়ে। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে আসা ভেনেজুয়েলার প্রথমবার ফাইনালে যেতে না পারা তাই নেহাতই দুর্ভাগ্য। অবশ্য এ জন্য নিজেকে দুষতে পারেন ফ্রাঙ্কলিন লুসেনা। টাইব্রেকারে ভেনেজুয়েলার হয়ে নেওয়া তাঁর তৃতীয় শটটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল ম্যাচের হিরো, প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক জাস্টো ভিলার।
কোপার গত ছয় ম্যাচের তিনটিই নির্ধারিত হলো টাইব্রেকারে। লাল কার্ডের ধারা বজায় থাকল এই ম্যাচেও। বরং রেফারি একটা লাল কার্ড কমই দেখিয়েছেন। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্যারাগুয়ের দারিও ভেরন ঢুঁস মেরেছিলেন নিকোলাস ফেদরকে। মেক্সিকান রেফারি অবশ্য শুধু হলুদ কার্ডই দেখিয়েছেন ভেরনকে। এই ভেরনই শেষ পর্যন্ত জয়সূচক পেনাল্টি শটটা নিয়েছেন প্যারাগুয়ের পক্ষে। লাল কার্ড অবশ্য প্যারাগুয়ে তিনটিই দেখেছে। রেফারির সঙ্গে তর্ক করে লাল কার্ড দেখেছেন প্যারাগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। মজার ব্যাপার, কয়েক মিনিট পর ডাগ-আউটে মার্টিনোর স্থলাভিষিক্ত সহকারীকেও লাল কার্ড দেখিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রেফারি।
সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি একটু উত্তপ্তই হয়ে উঠেছিল। যেটির রেশ ধরে ম্যাচ শেষে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। শেষে নিরাপত্তাকর্মী আর পুলিশকে এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে হয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভেনেজুয়েলা কোচ সিজার ফারিয়াস উত্তেজনা ছড়ানোর দায় প্যারাগুয়ের ওপরেই চাপিয়ে দিলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো অঘটনকে উসকে দিই না।’ ফাইনালে যেতে না পারলেও দক্ষিণ আমেরিকার নতুন ফুটবল শক্তি হিসেবে ভেনেজুয়েলার উত্থানটাই তাঁর কাছে তৃপ্তির হয়ে থাকল, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে, আমাদের পক্ষে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা কাউকেই আর ভয় পাই না। মাথা উঁচু করেই আমরা দেশে ফিরব। ফাইনালে যেতে না পারায় কাউকেই আমরা দুষছি না। আমরা অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের কাছেই হেরেছি।’
তবে ফারিয়াস এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভাগ্যটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় নির্ধারক, ‘আমি ওদের কৃতিত্ব খাটো করে দেখছি না। তার পরও বলতে হচ্ছে, প্যারাগুয়ে আজ (গতকাল) খুবই ভাগ্যবান ছিল। আমাদের একটা গোল বাতিল হয়েছে। তিনবার গোলপোস্টে বল লেগেছে। আমরা ওদের চেয়ে বেশি সুযোগও তৈরি করেছিলাম।’
ভাগ্যের পক্ষপাত পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক জাস্টো ভিলারও, ‘এমন নয় আমরা বেশি করে পেনাল্টির অনুশীলন করেছি। আমরা বরং সৌভাগ্যবান ছিলাম।’
সান্ত্বনার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে আগামীকাল পেরুর মুখোমুখি হবে ভেনেজুয়েলা। ১৯৫৩ ও ১৯৭৯ কোপার চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়ের সামনে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জেতার সুযোগ। তবে রেকর্ড ১৫ নম্বর শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় থাকা উরুগুয়ে-বাধা কঠিনই হবে তাদের জন্য। যদি না এবারও ভাগ্য তাদের পক্ষেই যায়!
No comments