সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিলেন মরক্কোর বাদশাহ
নিজের ক্ষমতা সীমিত করে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ। গত শুক্রবার তিনি এক স্মরণীয় ভাষণে দেশটিতে গণতান্ত্রিক পার্লামেন্টের পাশাপাশি একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন। অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষমতা তিনি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। এ সংস্কারের ফলে দেশটিতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাদশাহ বলেন, আগামী ১ জুলাই ওই প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তাবে বাদশাহর বেশ কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের কাছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোয় রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কারপন্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ এ প্রস্তাব দেন।
১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আরোহণ করেন আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত রাজবংশের উত্তরাধিকারী বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ। কার্যত তিনি উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটির সব ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।
বাদশাহ মোহাম্মদ বলেন, ভবিষ্যতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি সরকারের প্রধান হবেন। এর ফলে সর্বসাধারণের সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্ট বিলোপের ক্ষমতা দেওয়া হবে। এত দিন ধরে এ ক্ষমতাটি বাদশাহর বিশেষ অধিকারে ছিল। এ ছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন বাদশাহ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে। বর্তমানে মরক্কোয় বিচারকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাদশাহকে প্রধান করে একটি কাউন্সিল রয়েছে।
জনগণের দাবির মুখে গত মার্চে বাদশাহ সংস্কারের জন্য একটি প্যানেল গঠন করেন। প্যানেলের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা ও প্রশাসকদের নিয়োগ দিতে পারবেন। আগে সেই অধিকার ছিল একমাত্র বাদশাহর। এ ছাড়া বাদশাহর অনুপস্থিতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা নিয়ে সরকারি কাউন্সিলের সঙ্গে বিতর্ক করতে পারবেন। বর্তমান সংবিধান অনুসারে কেবল বাদশাহর উপস্থিতিতেই মন্ত্রীসভা এ ধরনের সভা করতে পারে।
ওই প্রস্তাবে আরবির পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত বেরবের ভাষাকেও সরকারি ভাষা করার কথা বলা হয়েছে।
সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা: ফেব্রুয়ারি ২০ মুভমেন্ট নামের মরক্কোর তরুণদের একটি সংগঠনকারীরা বাদশাহ মোহাম্মদের সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। গতকাল শনিবার তাঁরা দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। একজন আন্দোলনকারী বলেন, আজ রোববার থেকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ আহ্বান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাদশাহর প্রস্তাবে জনগণের দাবি অনুযায়ী ক্ষমতা পৃথক্করণের কথা বলা হয়নি।
বাদশাহ বলেন, আগামী ১ জুলাই ওই প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তাবে বাদশাহর বেশ কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের কাছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোয় রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কারপন্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ এ প্রস্তাব দেন।
১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আরোহণ করেন আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত রাজবংশের উত্তরাধিকারী বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ। কার্যত তিনি উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটির সব ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।
বাদশাহ মোহাম্মদ বলেন, ভবিষ্যতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি সরকারের প্রধান হবেন। এর ফলে সর্বসাধারণের সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্ট বিলোপের ক্ষমতা দেওয়া হবে। এত দিন ধরে এ ক্ষমতাটি বাদশাহর বিশেষ অধিকারে ছিল। এ ছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন বাদশাহ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে। বর্তমানে মরক্কোয় বিচারকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাদশাহকে প্রধান করে একটি কাউন্সিল রয়েছে।
জনগণের দাবির মুখে গত মার্চে বাদশাহ সংস্কারের জন্য একটি প্যানেল গঠন করেন। প্যানেলের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা ও প্রশাসকদের নিয়োগ দিতে পারবেন। আগে সেই অধিকার ছিল একমাত্র বাদশাহর। এ ছাড়া বাদশাহর অনুপস্থিতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা নিয়ে সরকারি কাউন্সিলের সঙ্গে বিতর্ক করতে পারবেন। বর্তমান সংবিধান অনুসারে কেবল বাদশাহর উপস্থিতিতেই মন্ত্রীসভা এ ধরনের সভা করতে পারে।
ওই প্রস্তাবে আরবির পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত বেরবের ভাষাকেও সরকারি ভাষা করার কথা বলা হয়েছে।
সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা: ফেব্রুয়ারি ২০ মুভমেন্ট নামের মরক্কোর তরুণদের একটি সংগঠনকারীরা বাদশাহ মোহাম্মদের সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। গতকাল শনিবার তাঁরা দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। একজন আন্দোলনকারী বলেন, আজ রোববার থেকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ আহ্বান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাদশাহর প্রস্তাবে জনগণের দাবি অনুযায়ী ক্ষমতা পৃথক্করণের কথা বলা হয়নি।
No comments